Tag: Madhyom

Madhyom

  • SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    SIR Hearing Process: শুভেন্দুর দাবি মানল কমিশন, ওয়েবকাস্টিং-এর নজরদারিতেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ওই তালিকা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক অফিস এবং ডিইও অফিসে টাঙানো থাকবে। সূত্রের খবর ওই দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে যাচাই ও শুনানি (SIR Verification and Hearing) পর্ব‌। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব। এরই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে। এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা পর্যন্ত সেই সব ভিডিয়ো সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন।

    শুনানি পর্ব- নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন

    বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, এনুমারেশন পর্ব (Enumeration Phase) শেষ হচ্ছে। ঠিক চার দিন পরে, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপরই শুরু হবে শুনানি পর্ব- এই প্রস্তুতি নিতে আজ থেকেই কমিশন তৎপরতা শুরু করেছে। কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট ফর্মের ৯৯.৭৫ শতাংশ ডিজিটাইজ করা হয়েছে, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৮১টি ফর্ম অনলাইনে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এখনও ৯ হাজার ৬৩টি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ করা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৭ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে। রিপোর্টে দাবি করা হল, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা ৫৭ লক্ষ ১ হাজার ৫৪৮।

    আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত আনকালেক্টবল ফর্মের তথ্য থেকে জানা গিয়েছে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৪ লক্ষ আট হাজার ৫৭৪। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৯৩, নিখোঁজ ভোটার ১১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৪৩, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৩২, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৫০ হাজার ৭০৬। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও বেশ কিছু জায়গায় আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    জাল নথি পেশ করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে

    অন্যদিকে, ২০০২ সালের পুরনো ভোটার তালিকার সঙ্গে মিল না থাকায় এখন রাজ্যে প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাদের সবাইকে শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়া মাত্র সংশ্লিষ্ট ইআরও (ইলেকশন রিটেনিং অফিসার) নোটিস পাঠাতে শুরু করবেন। নোটিস পেলে নির্দিষ্ট দিন ওই অফিসে গিয়ে কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথি-র মধ্যে কমপক্ষে একটি দেখাতে হবে। যারা প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারবেন না, তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে। এছাড়াও, এমন অনেক ভোটার আছেন, যাদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় থাকলেও কমিশন ‘সন্দেহজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদেরকেও শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাদের ফর্মে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে এবং কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। কমিশন একথাও মনে করিয়ে দিয়েছে, এসআইআরে যদি কেউ জাল নথি পেশ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে। তথ্যের জালিয়াতির অভিযোগে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।

    সিসিটিভি-র নজরদারিতে শুনানি পর্ব

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইসিআইকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছিলেন যে শুনানি পর্ব যেন সিসিটিভি-র নজরদারিতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি ছিল যে, সম্পূর্ণ শুনানি পর্ব মাইক্রো অবজার্ভারদের উপস্থিতিতে করতে হবে। প্রথম বিষয়টি অর্থাৎ সিসিটিভির নজরদারি কমিশন মেনে নিলেও দ্বিতীয় বিষয়টি অর্থাৎ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে এখনও কমিশন (ECI) কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের দফতর থেকে জেলাগুলিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘যাচাই ও শুনানি’ পর্ব শুধু এবং শুধুমাত্র জেলাশাসকের দফতরেই করতে হবে। অন্য কোনও সরকারি বা বেসরকারি অফিসে এই শুনানি করা যাবে না। সেই সঙ্গে সঙ্গে এটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই পুরো যাচাই এবং শুনানি পর্ব, বিশেষ করে শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং ও ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত এই এসআইআর পর্ব শেষ হয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Voter List) প্রকাশ করা হচ্ছে অথবা কমিশন নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। কমিশন মনে করছে, এভাবে কাজ করলে আশা করা যায় খসড়া থেকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হওয়া পর্যন্ত পুরো কাজ নির্ভুল হবে।

  • Amazon: ৫ বছরে ভারতে ৩৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যামাজন, আরও ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    Amazon: ৫ বছরে ভারতে ৩৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যামাজন, আরও ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের সব ব্যবসায় ৩৫ বিলিয়ন (৩৫০০ কোটি) মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষণা করল অ্যামাজন (Amazon)। মঙ্গলবার এর মাধ্যমে ভারতীয় ডিজিটাল অর্থনীতি, এআই-নির্ভর রূপান্তর এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি আরও গভীর হবে। এই নয়া বিনিয়োগ গত ১৫ বছরে ভারতে (India) ইতিমধ্যেই করা প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। ১০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত অ্যামাজন সম্ভব সামিটের ষষ্ঠতম অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে পরামর্শক সংস্থা ‘কিস্টোন স্ট্র্যাটেজি’ প্রণীত একটি অর্থনৈতিক প্রভাব সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।

    পরিকাঠামোর উন্নয়ন (Amazon)

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মী পারিশ্রমিক-সহ অ্যামাজনের মোট বিনিয়োগ তাকে ভারতের সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী, ই-কমার্স রফতানির সব চেয়ে বড় সহায়ক এবং দেশের অন্যতম প্রধান কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ তিনটি কৌশলগত স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে, এআই-চালিত ডিজিটাইজেশন, রফতানি বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ। এটি ভারতের বৃহত্তর ডিজিটাল ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারগুলির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। অ্যামাজন বলেছে, তারা সারা ভারতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল – উভয় ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফুলফিলমেন্ট সেন্টার, পরিবহণ নেটওয়ার্ক, ডেটা সেন্টার, ডিজিটাল পেমেন্ট পরিকাঠামো ও প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম (Amazon)।

    একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি

    কিস্টোন রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যামাজন এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসাকে ডিজিটাইজ করেছে, ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমষ্টিগত ই-কমার্স রফতানি সক্ষম করেছে এবং ২০২৪ সালে বিভিন্ন শিল্পে প্রায় ২৮ লক্ষ সরাসরি, পরোক্ষ, প্রভাবিত এবং অস্থায়ী কর্মসংস্থানকে সাহায্য করেছে (India)। এই চাকরিগুলি প্রযুক্তি, অপারেশনস, লজিস্টিকস এবং কাস্টমার সাপোর্ট-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত, যেখানে প্রতিযোগিতামূলক বেতন, স্বাস্থ্যসেবা এবং আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ-সহ নানা সুবিধা দেওয়া হয়। আমাজনের অর্থনৈতিক প্রভাব তাদের প্রত্যক্ষ কর্মীপরিসীমার অনেক বাইরে পর্যন্ত বিস্তৃত। প্যাকেজিং, লজিস্টিকস, উৎপাদন এবং প্রযুক্তি-সংক্রান্ত সেবাখাতে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাদের মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে হাজার হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে জাতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছে (Amazon)।

    অ্যামাজনের বক্তব্য

    ২০৩০ সালের মধ্যে অ্যামাজন ভারতে অতিরিক্ত ১০ লাখ প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ, প্রভাবিত এবং অস্থায়ী চাকরি সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে। যে সব ব্যবসা চলছে, তার সম্প্রসারণ, ফুলফিলমেন্ট এবং ডেলিভারি নেটওয়ার্কের বিস্তার, এবং প্যাকেজিং, উৎপাদন ও পরিবহণ-সহ সংশ্লিষ্ট খাতে বাড়তি চাহিদা – এসব মিলিয়েই এই নয়া কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এ ব্যাপারে অ্যামাজনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইমার্জিং মার্কেটস) অমিত আগরওয়াল বলেন, “ভারতে কোম্পানির বৃদ্ধি দেশের ডিজিটাল লক্ষ্যগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

    ডিজিটাল রূপান্তর

    তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা সম্মানিত। ভারতে অ্যামাজনের বৃদ্ধি ‘আত্মনির্ভর’ এবং ‘বিকশিত ভারতে’র স্বপ্নের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা ভারতের ছোট ব্যবসার জন্য ভৌত ও ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিরাট পরিমাণে বিনিয়োগ করেছি, লাখো চাকরি সৃষ্টি করেছি এবং মেইড-ইন-ইন্ডিয়াকে বিশ্ববাজারে পৌঁছে দিয়েছি (Amazon)।” দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা সমগ্র ভারতে এআই প্রবেশাধিকারকে গণতান্ত্রিক করতে চায়, যাতে ব্যবসা, ভোক্তা এবং শিক্ষার্থীরা সহজেই এআই টুলস ব্যবহার করতে পারে (India)।

    বহু-ভাষিক ইন্টারফেস

    ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ১.৫ কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছে এআইয়ের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। বর্তমানে অ্যামাজন.ইনের বিক্রেতারাই সেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং পরবর্তী প্রজন্মের সেলিং সলিউশন-সহ বিভিন্ন এআই-চালিত টুল ব্যবহার করছেন। একই সঙ্গে, শত শত মিলিয়ন গ্রাহকের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কোম্পানি এআই-ভিত্তিক উদ্ভাবন, যেমন, লেন্স এআইয়ের মাধ্যমে ভিজ্যুয়াল ডিসকভারি, রুফুসের মাধ্যমে কথোপকথনভিত্তিক শপিং, এবং সাক্ষরতার বাধা দূর করতে বহু-ভাষিক ইন্টারফেস আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে (Amazon)।

    স্কুল শিক্ষার্থীকে এআই শিক্ষা

    অ্যামাজন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা ৪০ লাখ সরকারি স্কুল শিক্ষার্থীকে এআই শিক্ষা ও কেরিয়ার অনুসন্ধানের সুযোগ করে দেবে। এর মধ্যে থাকছে কাঠামোগত পাঠ্যক্রম সহায়তা, প্রযুক্তি কেরিয়ার ভ্রমণ, হাতে-কলমে এআই স্যান্ডবক্স অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ। এই কর্মসূচি ভারতের জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০–এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও বেসরকারি সংস্থার অংশীদারিত্বের সমন্বয়ে পরিচালিত হবে বলেই সংস্থা সূত্রে খবর।

    রফতানির ক্ষেত্রে অ্যামাজন

    রফতানির ক্ষেত্রে অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা ভারত থেকে ই-কমার্স রফতানির মোট পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়—যা বর্তমানে ২০ বিলিয়ন ডলার। আগরওয়াল বলেন, “আগামী দিনের দিকে তাকিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত যে আমরা ভারতের প্রবৃদ্ধির একটি অনুঘটক হিসেবে (India) কাজ চালিয়ে যেতে পারব, এআই–এর সুবিধা লাখো ভারতীয়ের কাছে পৌঁছে দিতে, ১০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এবং দশকের শেষ নাগাদ ই-কমার্স রফতানি ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে (Amazon)।”

  • Trump’s Group: ভারতের ওপর খড়্গহস্ত ট্রাম্প, অথচ তাঁরই সংস্থা ভারতে ১ লাখ কোটি টাকা লগ্নি করবে!

    Trump’s Group: ভারতের ওপর খড়্গহস্ত ট্রাম্প, অথচ তাঁরই সংস্থা ভারতে ১ লাখ কোটি টাকা লগ্নি করবে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক্কা ব্যবসায়ীর মতোই আচরণ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Trumps Group)! ভারতে অন্যদের বিনিয়োগ করতে নিষেধ করছেন তিনি। মুখে দিচ্ছেন চড়া শুল্ক চাপানোর হুমকি। অথচ সেই ট্রাম্পেরই ব্যবসায়িক গ্রুপ ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ভারতে ১ লাখ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করবে। সোমবার, এই ঘোষণা করেন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশনের পরিচালক এরিক সুইডার। তিনি জানান, তেলঙ্গানার ফিউচার সিটি (Telanganas Future City) প্রকল্প-সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পে আগামী ১০ বছরে এই বিনিয়োগ হবে।

    এরিক সুইডারের বক্তব্য (Trumps Group)

    ট্রুথ সোশ্যালের সিইও ছিলেন সুইডার। তিনি বলেন, “ভারত এখন উত্থানের পথে এবং প্রযুক্তিখাতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। আপনি যদি ২০ বছর আগের কথা ভাবেন একজন বাইরের পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বিশ্বের অপর প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রে বসে। তখন প্রযুক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে যদি ভারতের কথা বলা হত, মানুষ বলত, ওহ, ওটাই সেই দেশ যেখানে কল সেন্টারগুলি আছে।” তিনি বলেন, “আর সময়ের সঙ্গে যখন সামনে এগিয়ে যাবেন এবং দেখবেন কারা এই প্রযুক্তি তৈরি করছে, কারা বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিতে কাজ করছে, তখন আর আপনার চোখ এড়িয়ে যাবে না যে এই প্রতিভার বড় অংশই ভারত থেকে আসছে।” তেলঙ্গানা রাইজিং গ্লোবাল সামিট ২০২৫-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগাড়ে কথাগুলি বললেন সুইডার। তিনি বলেন, “আজকের দিনে এসে আপনি অন্ধ না হলে দেখবেন যে বিশ্বের প্রযুক্তিখাতের বহু প্রধান পুঁজিপতি ভারত থেকেই উঠে আসছেন। ভারত উত্থানশীল, এবং আমার মনে হয় না ভারতের এই অগ্রগতি থামবে। ভারত আরও এগিয়ে যাবে এবং প্রযুক্তিতে তামাম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের এক সঙ্গে বিনিয়োগ করার, এক সঙ্গে কাজ করার পথ খুঁজে বের করা জরুরি।”

    বিনিয়োগ করতে খুবই উৎসাহিত

    গত দু’দিন ধরে ভারত সফর করছেন ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশনের পরিচালক সুইডার। তিনি এখানে বিভিন্ন প্রযুক্তি দেখেছেন এবং বিনিয়োগ করতে খুবই উৎসাহিত। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চাই যে আগামী ১০ বছরে আমাদের সংস্থাগুলির মাধ্যমে আমি ভবিষ্যৎ শহর প্রকল্প এবং এখানকার উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রগুলিতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চাই।” ট্রাম্পের (Trumps Group) কোম্পানির এই শীর্ষ কর্তা জানান, তিনি (Telangana’s Future City) তেলঙ্গানায় বিনিয়োগ করছেন কারণ মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁর মূলধন রাজ্যে সাদরে গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, “গত দু’দিনে আমি যা দেখেছি, যদিও আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বহু মাস ধরে আমায় এখানে আসার অনুরোধ করছিলেন কিন্তু আমি বারবার পিছিয়ে গিয়েছিলাম, আর এখন আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে অবশেষে এখানে এসেছি, তা হল সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে আমাদের মূলধন এখানে স্বাগত এবং তিনি ব্যবসার জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছেন। এটি এমন একটি জায়গা, যা দ্রুত অগ্রগতির পথে রয়েছে।”

    তেলঙ্গানা সরকারের অনন্য উদ্যোগ

    প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদকে একটি আন্তর্জাতিক শহরে উন্নীত করার লক্ষ্যে তেলঙ্গানা সরকার একটি অনন্য উদ্যোগ শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডি ঘোষণা করেছেন, শহরের কিছু প্রধান ও বিশিষ্ট রাস্তার নতুন নামকরণ করা হবে। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও কোম্পানির নামে (Telangana’s Future City) এই রাস্তাগুলির নাম দেওয়া হবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল, বিশ্ব মঞ্চে হায়দরাবাদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করা ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রয়াত রতন টাটাকে সম্মান জানাতে সরকার নেহরু আউটার রিং রোডের কাছে রাভিরালা থেকে শুরু করে প্রস্তাবিত (Trumps Group) ফিউচার সিটির সঙ্গে সংযোগকারী ১০০ মিটার প্রশস্ত গ্রিনফিল্ড রেডিয়াল রাস্তার নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, রাভিরালা ইন্টারচেঞ্জের নামকরণ ইতিমধ্যেই টাটা ইন্টারচেঞ্জ করা হয়েছে।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাভিনিউ

    তবে সব চেয়ে বেশি আলোচিত প্রস্তাবগুলির মধ্যে একটি হল মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের সামনের প্রধান রাস্তার নামকরণ হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাভিনিউ। এটিই হবে প্রথম ভারতীয় কোনও একটি শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে রাস্তা। জানা গিয়েছে, এজন্য সরকার শীঘ্রই বিদেশমন্ত্রক এবং মার্কিন দূতাবাসকে এই প্রস্তাবে অগ্রগতির জন্য একটি চিঠি পাঠাবে। মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির মতে, এটি হায়দরাবাদের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ভ্যালুকে (Trumps Group) আরও উন্নত করবে (Telangana’s Future City) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে। এহেন আবহে ট্রাম্পের কোম্পানির ভারতে বিনিয়োগ করার ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

  • Motivated Campaign: রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যে বাদানুবাদ, কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতিরা?

    Motivated Campaign: রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধান বিচারপতির করা মন্তব্যে বাদানুবাদ, কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি মামলার শুনানি চলাকালীন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের (Rohingya Remarks) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (Motivated Campaign) বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত দু’দল বিচারপতি। এক পক্ষের বক্তব্য, প্রধান বিচারপতির মন্তব্য ‘অবিবেচনাপ্রসূত’। অন্য পক্ষের দাবি, তাঁর মন্তব্যকে নিয়ে প্রধান বিচারপতির যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    সুর্য কান্তকে খোলা চিঠি (Motivated Campaign)

    ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, প্রবীণ আইনজীবী ও আইনবিদদের একটি দল সুর্য কান্তকে খোলা চিঠি লিখে তাঁর বেঞ্চ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে করা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। এই মন্তব্যগুলি উঠে এসেছিল ভারতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন সদস্যের হেফাজতে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির প্রেক্ষিতে। ২ ডিসেম্বরের সেই শুনানিতে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, প্রধান বিচারপতি   কান্ত মৌখিকভাবে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জানতে চেয়েছিলেন, “অনধিকারপ্রবেশকারীদের কি লাল গালিচা বিছিয়ে স্বাগত জানানো উচিত? যারা দেশে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে, তাদের জন্য বিচারসভা দারুণ কোনও রক্ষাকবচ দেবে, এটাই কি আবেদনকারীরা চান?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “উত্তর ভারতে আমাদের একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল সীমান্ত রয়েছে। যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী প্রবেশও করে, তবে তাদের এখানে রাখার জন্য আমাদের কি বাধ্যবাধকতা আছে?”

    অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বক্তব্য

    এই ঘটনার পর (Motivated Campaign) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের ওই দল চিঠিতে বলেন, হিংসা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের যখন এমন বক্তব্যের মুখোমুখি হতে হয় যা তাদের মর্যাদাকে অস্বীকার করে, তখন তা সংবিধানের মূল মূল্যবোধকে বিপন্ন করে এবং আদালতকে দুর্বল মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে জনগণের আস্থা নষ্ট করে। তাঁরা প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান, আদালতে মন্তব্যের মাধ্যমে মানব মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দাঁড়ানো সংবিধানিক নৈতিকতার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে (Rohingya Remarks)।

    পাল্টা জবাব

    এরই জবাবে অবসরপ্রাপ্ত আর একদল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, আদালতের কাজকর্ম ন্যায্য ও যুক্তিনিষ্ঠ সমালোচনার জন্য সবসময়ই উন্মুক্ত, কিন্তু বর্তমান আলোচনা নীতিনিষ্ঠ মতভেদের অনেক দূরে। চিঠিতে বলা হয়, “এই আলোচনার উদ্দেশ্য সাধারণ আদালতের প্রশ্নোত্তরকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যা দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে অযথা অগ্রাহ্য করা। প্রধান বিচারপতিকে শুধু একটি মৌলিক আইনি প্রশ্ন তোলার জন্যই নিশানা করা হচ্ছে, আইন অনুযায়ী সেই মর্যাদা দিয়েছেন যেটি আদালতে দাবি করা হচ্ছে?” চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে বেঞ্চ খুব স্পষ্টভাবে বলেছিল, ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকা কোনও মানুষ, সে তিনি (Motivated Campaign) নাগরিকই হোন বা বিদেশি, তাঁকে কখনওই নির্যাতন, নিখোঁজ বা অমানবিক আচরণের শিকার হতে দেওয়া যাবে না, এবং সবার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। অথচ সমালোচকরা এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন।

    ভারতীয় আইনে শরণার্থী

    ওই চিঠিতেই বলা হয়েছে, “রোহিঙ্গারা ভারতীয় আইনে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করেনি। তাদের কোনও আইনি শরণার্থী-সুরক্ষা কাঠামোর মাধ্যমে দেশে ঢোকানো হয়নি। অনেকেই অনিয়মিত বা অবৈধভাবে দেশে এসেছে, এবং শুধু দাবি করলেই সেই অবস্থাকে আইনি স্বীকৃত ‘শরণার্থী’ মর্যাদায় রূপান্তর করা যায় না।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত ১৯৫১ সালের রাষ্ট্রসংঘ শরণার্থী কনভেনশন বা তার ১৯৬৭ প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। তাই যে কোনও ব্যক্তির প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতা আসে সংবিধান, অভ্যন্তরীণ অভিবাসন আইন এবং সাধারণ মানবাধিকার নীতিমালা থেকে কিংবা কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে, যা ভারত গ্রহণ করেনি (Rohingya Remarks)।”

    রোহিঙ্গারা কীভাবে আধার কার্ড পেল

    অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকারী কিছু রোহিঙ্গা কীভাবে আধার কার্ড, রেশন কার্ড-সহ ভারতীয় নথিপত্র পেয়ে গিয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, “এসব নথি শুধু নাগরিক বা বৈধ বাসিন্দাদের জন্য। এদের অপব্যবহার দেশের পরিচয় ও কল্যাণব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সম্ভাব্য যোগসাজশ, জালিয়াতি ও সংগঠিত চক্র সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে (Motivated Campaign)।”

    চিঠির আরও বক্তব্য

    চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। দীর্ঘকাল ধরে তারা সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, তাদের নাগরিকত্ব নিয়েও বিরোধ রয়েছে। এমতাবস্থায় সংবিধানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিকে অমানবিক বলে উপস্থাপন করা প্রধান বিচারপতির প্রতি অবিচার, এবং বিচারব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। জাতীয়তা, অভিবাসন, নথিপত্র বা সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কে যে কোনও প্রশ্ন তোলা যদি পক্ষপাতের অভিযোগে রূপান্তর করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিপদের মুখে পড়বে (Rohingya Remarks)। শেষে অবশ্য চিঠিতে সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতির প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করা হয়েছে এবং আদালতের বক্তব্যকে বিকৃত করা বা মতভেদকে ব্যক্তিগত আক্রমণে পরিণত করার চেষ্টার নিন্দাও জানানো হয় (Motivated Campaign)।

  • Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে গাড়ি-বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল দিল্লিকাণ্ডের আত্মঘাতী জঙ্গি উমর নবি! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি এনআইএ-র। এই মামলায় ধৃতদের জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই ধৃতদের নিয়ে অনন্তনাগ জেলায় গিয়ে পরীক্ষার জায়গায় চিরুনি তল্লাশি করে বেশ কিছু সামগ্রী পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এদিকে, দিল্লির লালকেল্লার ঘটনায় অষ্টম সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, তার নাম বিলাল নাসের মাল্লা। ধৃত পেশায় একজন চিকিৎসক। থাকেন দিল্লিতে। আদতে, জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, বিলাল নাসের মাল্লা ডক্টর্স টেরর মডিউল বা হোয়াইট কলার টেরর মডিউল নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য। আত্মঘাতী জঙ্গি উমরকে সে লুকোতে সাহায্য করেছিল।

    কে এই চিকিৎসক বিলাল নাসের মাল্লা?

    লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে এনআইএ বিলাল নাসের মাল্লাকে গ্রেফতার করেছে। লালকেল্লা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে বিলালের জড়িত থাকার বিষয়টি এনআইএ নিশ্চিত করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, লালকেল্লায় বিস্ফোরণ ঘটানো চিকিৎসক আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমরের সহযোগী ছিল চিকিৎসক মাল্লাও। এমনকী উমরকে আশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এনআইএ তদন্ত অনুসারে, বিলাল জেনেশুনে মৃত অভিযুক্ত উমর উন নবিকে লজিস্টিক (থাকা-খাওয়া) সহায়তা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ নষ্ট করারও অভিযোগ রয়েছে। এনআইএ জনিয়েছে, প্রকৃত ষড়যন্ত্র ও আসামিদের পরিচয় গোপন করতে প্রমাণ নষ্ট করারও চেষ্টা করেছিল বিলাল।

    দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত ৮

    গত ১০ নভেম্বর সেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। মামলাটির তদন্ত করছে এনআইএ। ওই মামলায় যুক্ত সন্দেহে এর আগে আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল, শাহিন সঈদ ও আমির রশিদ আলিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় বিলালি মসজিদের ইমাম মহম্মদ আসিফ ও ইলেক্ট্রিশিয়ান নজর কামালকে। সবার আগে, ফরিদাবাদ টেরর মডিউল ফাঁস করার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই চিকিৎসক আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে। মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিলাল নাসের মাল্লা হল অষ্টম গ্রেফতারি। এই নেটওয়ার্কের বাকি সদস্যদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা উমরের

    এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা করেছিল আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমর মহম্মদ ওরফে উমর-উন-নবি। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বোমা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে আনন্তনাগের জঙ্গলে যায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং এনআইএ-র তদন্তকারীরা। বোমার পরীক্ষা করার জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়। তদন্তকারীরা বোমা পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু উপাদান উদ্ধার করেছেন। তদন্তকারী ওই সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় একটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। তা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, বোমার পরীক্ষার জন্য এই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছিল। অননন্তনাগের বিভিন্ন জঙ্গলেও তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

  • India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে মধুর প্রত্যাবর্তন। ২৮ বলে ৫৯ রান, ৬টি চার ও ৪টি ছয়, ফের ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল। জবাবে ৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এই ফরম্য়াাটে এটাই প্রোটিয়াদের ন্যূনতম স্কোর। ১৮ বলে শেষ ৫ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা। ১০১ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সূর্যকুমারেরা।

    হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হতাশ শুভমন

    শুভমন গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। চোট সারিয়ে কটকে প্রত্যাবর্তন দুই ক্রিকেটারের। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের উৎসাহ ছিল শুভমনকে নিয়ে। টেস্ট এবং এক দিনের দলের অধিনায়ক শুভমন। হতাশ করলেন শুভমন টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক। তবে নেতৃত্বের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হার্দিক ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। তাঁর ২৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই এডেন মার্করামের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছোন সূর্যকুমার যাদবেরা। শুভমন কটকের ২২ গজে টিকলেন ২ বল। করলেন ৪ রান। চিন্তায় রাখল অধিনায়ক সূর্যের ফর্মও। তবে ভারতীয় বোলাররা সফল ১০০ শতাংশই।

    ভারতীয় বোলাররা ১০০ শতাংশ সফল

    বল হাতে রাতের বারবাটি শাসন করলেন ভারতীয় বোলারেরা। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক (০)। অর্শদীপের এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপ আউট করেন ট্রিস্টান স্টাবসকে (১৪)। অক্ষর নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এডেন মার্করামের (১৪) উইকেট। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান সফরকারীরা। সেই চাপের মুখে পর পর ফিরে যান মিলার এবং ফেরেইরা (৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের ফলাফল এক রকম ঠিক হয়ে যায়। ভারতীয় বোলারদের দাপটে কেউই আর লড়াই করতে পারলেন না। ধস নামল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। পর পর আউট হলেন জানসেন (১২), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (২২), কেশব মহারাজ (০), অনরিখ নোখিয়া (১), লুথো সিমপালারা (২)। ১২.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর ৭ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৪ রানে ২ উইকেট অর্শদীপের। এ দিন ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেন বুমরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। ১৬ রানে ১ উইকেট নিলেন হার্দিক। ১ রানে ১ উইকেট শিবমের। ভারতের ছ’জন বোলারই উইকেট পেলেন। তিনবছর আগে ভারতেরই বিরুদ্ধে রাজকোটে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ যা এতদিন ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁদের সর্বনিম্ন স্কোর ৷ মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল ৷

    নিজের নয়, ভারতের প্রয়োজনই প্রাধান্য

    চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন হার্দিক। জানান গত ছ’সাত মাস ধরে ফিটনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে দেশের জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হার্দিক। হার্দিক বলেছেন, ‘‘গত ছ’-সাত মাস আমার ফিটনেস ভাল জায়গাতেই ছিল। শেষ ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থেকে খুব উপকৃত হয়েছি। বেশ কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি। শট মারার সময় একটু সতর্ক ছিলাম। নিশ্চিত করতে চেয়েছি শটগুলো যাতে ঠিকঠাক হয়। শেষ দিকে কয়েকটা সাহসী শটও খেলতে হয়েছে। টাইমিং ঠিক রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমার এদিনের ব্যাটিংয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’ নিজের বোলিং নিয়েও খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমার ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। নিজের দায়িত্ব জানি। আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের প্রয়োজন। ভারতের প্রয়োজন। এই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। এটা আমাকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।’’ জয়ের নেপথ্যে হার্দিকের অবদান মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।

  • SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও এমুনারেশন ফর্ম (Enumeration Form) আপলোড করেছেন এক বিএলও (BLO)। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিএলও-র পাশাপাশি অপর আর এক বিএলও এবং তাঁদের কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইআরও, এইআরও-কেও শোকজ করল কমিশন (Election Commission)। বারুইপুর পূর্বের ৯৪ নম্বর বুথের দুই বিএলও (বুথ স্তরের আধিকারিক), ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এবং এইআরও (সহকারী ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-কে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেছে কমিশন।

    দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের হাড়দহের ৯৪ নম্বর বুথে (Booth Number 94) প্রথম যিনি বিএলও ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের স্থানীয় পদাধিকারী। তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। ওই বিএলও-কে নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ায় তাঁকে রিমুভ করে দ্রুত অন্য একজনকে বিএলও (BLO) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু অভিযোগ, অপসারণের পরেও ওই বিএলও কাজ করে যান। ওই বুথে নতুন যে বিএলও এসেছেন, তিনি নিযুক্ত হয়েও পুরনো বিএলও-কে কাজ চালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আগে ওই বুথে বিএলও ছিলেন সোমা সেন। পরে বিএলও হয়েছিলেন দেবী হালদার। পর্যবেক্ষক দুই বিএলও-র সই দেখে চিহ্নিত করেছেন। ওই বুথে ইআরও হলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী। দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সেই সূত্রে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট অফিসারদের শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলেছে কমিশন।

    দোষ প্রমাণিত হওয়ায় কড়া পদক্ষেপ

    বাংলার এসআইআরের (SIR in West Bengal) কাজ সুস্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখতে একাধিক রোল অবজার্ভার (Roll Observer) রাজ্যে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। তাঁদেরই একজন সি মুরুগান। সূত্রের খবর, তিনিই এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করে স্পেশ্যাল অবজার্ভার (Special Observer) সুব্রত গুপ্তকে জানান। পরে তিনি সিইও দফতরে (CEO Office) রিপোর্ট দেন এবং সিইও দফতর কমিশনকে জানায়। শুধু ওই বিএলও নন, তাঁর জায়গায় যিনি কাজের জন্য নিযুক্ত হয়েছিলেন সেই বিএলও এবং ওই এলাকার ইআরও, ডিইও-র ভূমিকাও খতিয়ে দেখে কমিশন। দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এরপরই কড়া পদক্ষেপ করা হল।

    স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভারের কাজ

    নানা ঘটনার পর ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR West Bengal) পর্বে আরও কঠোর হয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত শুক্রবারের বৈঠকেই যার ইঙ্গিত মিলেছিল। সোমবার সকালেই সেই ইঙ্গিতকে বাস্তবায়িত করে কমিশন নতুন নির্দেশিকা জারি করে। পাঁচ ডিভিশনে পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় আইএএস অফিসারকে স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভার (Special Roll Observer) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যাঁদের প্রত্যেকেই কেন্দ্রের মন্ত্রকের যুগ্মসচিব। কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, এই পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব থাকবে তিনটি বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা। কোনও যোগ্য নাগরিক যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, তা দেখাই বিশেষ পর্যবেক্ষকদের প্রধান কাজ। কোনও অযোগ্য ব্যক্তি যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। দাবি–আপত্তি থেকে গণনা, নোটিস নিষ্পত্তি এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ – প্রতিটি ধাপে কঠোর পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন এঁরা।

  • Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় শীত কড়া নাড়লেও মশার দাপট চলছেই। তাই ডিসেম্বরেও রাজ্যবাসীর মশাবাহিত রোগ থেকে রেহাই নেই। এমনটাই খবর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় বছরভর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো উদ্বেগজনক। শীতের মরশুমে মশা বাহিত রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমবে বলেই আশা করেছিলেন চিকিৎসক মহল। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড়শো জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে‌। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট রয়েছে। তবে কলকাতার শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় নভেম্বর মাস জুড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। এই এলাকা থেকেই গত এক মাসে প্রায় ৬০ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।

    কেন ডিসেম্বরেও মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যহত?

    সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ মূলত বর্ষাকালেই হয়। সেই হিসাব মতো সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দুই মাস মশাবাহিত রোগের দাপট রাজ্যে বেশি থাকে। বর্ষায় জমা জল মশার আতুর ঘর। তাই এই সময়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগের সংক্রমণ বেশি হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের মরসুমেও মশাবাহিত রোগের দাপট চলছে। বিশেষজ্ঞ মহল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই এর জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় অপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। পার্ক, পুকুর সংলগ্ন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। আগাছা পরিষ্কার হয় না। এর ফলে মশার বংশবিস্তার সহজ হচ্ছে। তাই শীত পড়লেও মশাবাহিত রোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রুখতে প্রশাসনের সক্রিয়তার পাশপাশি জনসচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকার পরিচ্ছন্নতার পাশপাশি বাড়ি ও আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রয়েছে কিনা সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। ছাদে বা বাগানে জল জমতে দেওয়া যাবে না। অনেকেই ছাদে টবে গাছ রাখেন।‌ বাগান করেন। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ছাদে বাগান‌ তৈরির রেওয়াজ বাড়ছে। কিন্তু সেই বাগানে জল জমছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, এলাকায় পুকুর কিংবা পার্ক থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম মাফিক, তার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি। আগাছা পরিষ্কার করা, পুকুরের জল যাতে পরিষ্কার থাকে, সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কেও সচেতনতা প্রসার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় আক্রান্তকে দ্রুত চিহ্নিত করা। বারবার জ্বর আসা, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে রোগ চিহ্নিত সহজ হয়। পরিবারের কেউ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে বাকিদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া দরকার। রোগীকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। অন্যদের ও কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে রোগ সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।

  • Microsoft: এশিয়ায় সব চেয়ে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতকে দিল মাইক্রোসফট

    Microsoft: এশিয়ায় সব চেয়ে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতকে দিল মাইক্রোসফট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ায় এ পর্যন্ত সব চেয়ে বড় বিনিয়োগ ভারতেই করার প্রতিশ্রুতি দিল মাইক্রোসফট (Microsoft)। লগ্নির পরিমাণ ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থার সিইও সত্য নাদেলা। তিনি বলেন, “ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ,(PM Modi), ভারতের এআই সুযোগ নিয়ে মূলক আলোচনার জন্য। দেশের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করতে মাইক্রোসফট ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। এটি এশিয়ায় আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এটি ভারতের এআই প্রথম ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, দক্ষতা এবং সার্বভৌম সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (Microsoft)

    নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর যারপরনাই খুশি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এআইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ব ভারতের প্রতি আশাবাদী! সত্য নাদেলার সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এশিয়ায় মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে ভারতকে দেখতে পেয়ে আমি আনন্দিত। ভারতের যুব সমাজ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবন করবে এবং একটি উন্নত বিশ্ব গড়তে এআইয়ের শক্তিকে ব্যবহার করবে (Microsoft)।”

    কী বলল মাইক্রোসফট

    বৈঠকের কিছুক্ষণ পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ভারতে সংস্থার ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আগের ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা—যা আগামী দু’বছরে বেঙ্গালুরুতে ক্লাউড এবং এআই পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষতা উন্নয়ন এবং নতুন ডেটা সেন্টার স্থাপন। এর ফলে কোম্পানির ভারতে সর্ববৃহৎ হাইপারস্কেল উপস্থিতি নিশ্চিত হবে। ওই বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “ভারত তার এআই যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এমন এক সময়, যা বৃহৎ মাত্রায় প্রভাব সৃষ্টির জন্য এবং নেতৃত্ব দেওয়ার দৃঢ় সংকল্পে পরিপূর্ণ। প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক রূপান্তরের অনুঘটক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দেশটি এক অগ্রগামী এআই রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আজ আমরা এশিয়ায় আমাদের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ, চার বছরে ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নির কথা ঘোষণা করছি।”

    লগ্নির পরিমাণ

    উল্লেখ্য, চার বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে, ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরির প্রতিযোগিতায় বৈশ্বিক সফটওয়্যার জায়ান্টদের কাছে ভারত একটি অত্যন্ত মূল্যবান বাজার (Microsoft)। অক্টোবর মাসেই গুগলের প্রধান সুন্দর পিচাই জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে এআই কেন্দ্র স্থাপনের কথাও বলেছেন। এটি ভারতে সংস্থাটির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। গুগল আদানি গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বিশাখাপত্তনমে একটি ডেটা সেন্টার ও (PM Modi) এআই বেস নির্মাণ করছে, যা হবে আমেরিকার বাইরে তাদের সব চেয়ে বড় কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটি আগামী পাঁচ বছরে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছে (Microsoft)।

  • UPI: ইউপিআই বিশ্বের সব চেয়ে বড় খুচরো ফাস্টপেমেন্ট ব্যবস্থা, বলছে আইএমএফ

    UPI: ইউপিআই বিশ্বের সব চেয়ে বড় খুচরো ফাস্টপেমেন্ট ব্যবস্থা, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিআই (ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস) (UPI) বিশ্বের সব চেয়ে বড় খুচরো ফাস্টপেমেন্ট ব্যবস্থা। আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) (IMF Report) ২০২৫ সালের ‘গ্রোয়িং রিটেল ডিজিটাল পেমেন্টসে’র রিপোর্টেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের এসিআই ওয়ার্ল্ডওয়াইডের রিপোর্ট “প্রাইম টাইম ফর রিয়েল-টাইম” উল্লেখ করেছে যে, ইউপিআই বিশ্বব্যাপী রিয়েল-টাইম পেমেন্ট লেনদেনের প্রায় ৪৯ শতাংশ পরিচালনা করে। এটিই এর বিশ্বব্যাপী দ্রুত-পরিশোধ ব্যবস্থার শীর্ষে অবস্থান নিশ্চিত করে।

    আন্তর্জাতিক রিয়েল-টাইম পেমেন্ট (UPI)

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, আন্তর্জাতিক রিয়েল-টাইম পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলির অবস্থা। ব্রাজিলের লেনদেন ৩৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১৪ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড, লেনদেনের পরিমাণ ২০.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শতাংশের বিচারে ৮। চতুর্থ স্থানে রয়েছে চিন, লেনদেনের পরিমাণ ১৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শতাংশের হিসেবে ৬। দক্ষিণ কোরিয়ার লেনদেনের পরিমাণ ৯.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, শতাংশের হিসেবে ৩। বিশ্বের আর বাকি দেশগুলির লেনদেনের পরিমাণ ২০ শতাংশ।

    ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার

    ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইউপিআই-সহ ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়াতে ভারত সরকার, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে কম-মূল্যের বিএইচআইএম-ইউপিআই লেনদেনকে উৎসাহিত করার জন্য ইনসেনটিভ প্রোগ্রাম, এবং পেমেন্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (PIDF), যা ব্যাঙ্ক এবং ফিনটেক কোম্পানিগুলিকে অনুদান দেয় (IMF Report)। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পিআইডিএফের আওতায় এই অঞ্চলে প্রায় ৫.৪৫ কোটি ডিজিটাল টাচপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের হিসেবে, মোট ৫৬.৮৬ কোটি কিউআর কোড প্রায় ৬.৫ কোটি ব্যবসায়ীর মধ্যে বিলি করা হয়েছে (UPI)।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লোকসভার এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘প্রাইম টাইম ফর রিয়েল-টাইম’ ২০২৪ শীর্ষক এসিআই ওয়ার্ল্ডওয়াইডের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউপিআই বিশ্বব্যাপী রিয়েল-টাইম পেমেন্ট সিস্টেমের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে, যার বাজার অংশীদারিত্ব ৪৯ শতাংশ এবং লেনদেনের পরিমাণ ১২৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রসঙ্গত, ইউপিআই হল ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি একটি তাৎক্ষণিক রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম, যা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে সহজে ও দ্রুত টাকা লেনদেন করতে সাহায্য করে (IMF Report)। এটি আরবিআই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং আইএমপিএস কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং ব্যক্তি থেকে মার্চেন্ট লেনদেন সম্ভব করে তোলে। এর মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান বা ইউপিআই আইডি ব্যবহার করে লেনদেন করা যায়। বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়াও বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতেও এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে(UPI)  ।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের সব চেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম হল ইউপিআই। ২০১৬ সালে এনপিসিআই এই প্রযুক্তি চালু করে। ইউপিআইয়ের বৈশিষ্ট্য হল, এটি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট অ্যাপগুলিকেত একটি একক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে, যার ফলে লেনদেন অত্যন্ত সহজ।

LinkedIn
Share