Dakshin Dinajpur: ৪৮০ জন পড়ুয়া, ২ জন শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ রেখেই চলছে হাইস্কুল

Dakshin_Dinajpur_(7)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ৪৮০ জন। আর স্কুলে শিক্ষক মাত্র ২ জন। পড়াশুনা কার্যত শিকেয় উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জের তুলট উচ্চবিদ্যালয়ে। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি একসঙ্গে চালানোর মত শিক্ষক নেই। ফলে. বেশিরভাগই সময়েই ক্লাস বন্ধ থাকছে। গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরেই এমনই শিক্ষক সংকটে ভুগছে কুমারগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের তুলট উচ্চবিদ্যালয়। স্কুলের দুর্দশা দেখে স্থানীয় কিছু যুবক যুবতী অবশ্য এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা মাঝে মাঝে স্কুলে গিয়ে ক্লাসও করাচ্ছেন। এদিকে স্কুলের এই বেহাল দশা দেখে দিন দিন কমছে পড়ুয়ারার সংখ্যা। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

একবছরে প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া স্কুল ছেড়েছে (Dakshin Dinajpur)

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জ ব্লকের জাখিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তুলট গ্রামে রয়েছে এই স্কুল। কয়েক বছর আগে স্কুলটি অষ্টম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত হয়েছে। আগে থেকেই শিক্ষক কম ছিল। উৎসশ্রী পোর্টাল চালুর পর থেকে একের পর এক শিক্ষক চলে যায়। কমপক্ষে ১২ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রধান শিক্ষক এবং একজন সহকারি শিক্ষক রয়েছেন। আরও একজন সহকারি অফিসের কর্মী রয়েছেন। তা বাদে এই স্কুলে আর কেউ নেই। ফলে, স্কুলের বেশিরভাগ কাজকর্ম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই নিজেরা করে। এদিকে ওই স্কুলে এক বছর আগে ৫০০ এর বেশি পড়ুয়া ছিল। কিন্তু, অষ্টম শ্রেণি ও নবম শ্রেণি থেকেই বেশি পড়ুয়া স্কুল ছাড়ছে। ফলে, একবছরে প্রায় ৫০ জন স্কুল ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে যে দুজন শিক্ষক রয়েছেন, তাদের একজন ইংরেজি ও বিজ্ঞানের। ফলে, বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, অংক সহ নানা বিষয়ে কার্যত ক্লাসই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই ক্লাসগুলিও হয়না বলেই পড়ুয়ারা জানাচ্ছে। ফলে, অনেক সময় শুধুমাত্র মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।

ক্লাস বন্ধ রেখে স্কুল চালাতে হচ্ছে, দাবি প্রধান শিক্ষকের

 দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তুলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ জোত্যি সরকার বলেন, স্কুলে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকের অভাব ছিল। অনেকেই বদলি নিয়ে বাড়ির কাছে চলে গিয়েছে। যার ফলে এখন মাত্র দুইজন শিক্ষক ও একজন অফিস কর্মী দিয়েই স্কুল চলছে। এতজন পড়ুয়াদের আমরা ঠিকমত ক্লাস নিতে পারছি না। বেশিরভাগ সময়ই ক্লাস বন্ধ থাকছে।

পড়ুয়া ও অভিভাবকরা কী বললেন?

এক স্কুল পড়ুয়া বলেন, আমাদের স্কুলে সব বিষয় পড়ানোর মতো শিক্ষক নেই। ফলে, ক্লাস হয় না। পড়ুয়াদের অভিভাবক পীযুষ কান্তি সরকার এবং এমাজুল মোল্লা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি তারা আগ্রহ হারাচ্ছে। আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করি, তাই দূরের স্কুলেও ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে পারছিনা। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে না। দ্রুত এই স্কুলের হাল না ফিরলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share