Murshidabad: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ দিলেন বিচারক, কী ঘটেছিল জানেন?

Murshidabad_(6)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক স্কুল শিক্ষক ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করার অপরাধে ফাঁসির আদেশ দিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা জর্জ কোর্ট। বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক মামলার সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনার জন্য ধৃত যুবক উৎপল বেহরাকে ফাঁসির নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজা প্রাপকের নাম উৎপল বেহরা। মৃতদের নাম বন্ধুপ্রকাশ পাল (৪০) এবং তাঁর সাতমাসের গর্ভবতী স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল (৩০) এবং সাত বছরের ছেলে অঙ্গন।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Murshidabad)

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপলের বেহরার বাড়ি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রামে। তিনি পেশায় দিনমজুর। তাঁর বাড়ির কাছে বাড়ি ছিল বন্ধুপ্রকাশের। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। জিয়াগঞ্জের লেবুবাগান এলাকায় তিনি বাড়ি করে সপরিবার থাকতেন। তাঁর স্ত্রী বিউটি জীবন বীমার এজেন্ট ছিলেন। জীবন বিমার ব্যবসা বন্ধুপ্রকাশই চালাতেন। বন্ধুপ্রকাশের কাছে জীবন বীমা করেছিলেন উৎপল। প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা করে প্রিমিয়াম দিতে হত উৎপলকে। নিয়ম করে উৎপল পর পর তিন বছর ২৪ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। পরে, উৎপল জানতে পারেন তাঁর নামে কোনও টাকা জীবন বীমা অফিসে জমা পড়়েনি। এরপরই ফোনে বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গে উৎপল ফোনে কথা বলে। তারসঙ্গে বচসা হয়। জাত তুলে কথা বলতেই উৎপল দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপরই ২০১৯ সালের ৮ ই অক্টোবর  দূর্গা পুজোর দশমীর দিন স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ,তাঁর  অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। উৎপল বেরাকে অপরাধী সন্দেহ করে গ্রেফতার করা হয়।

কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঘরের মধ্যে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা বধূ, তাঁর স্বামী এবং সাত বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে। এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। বিচারক সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শুনে এদিন সাজা ঘোষণা করেন।

কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

এদিন বন্ধুপ্রকাশের মা সহ পরিবারের লোকজন আদালতে হাজির ছিলেন। বিচারক রায় শোনার পরই বন্ধুপ্রকাশের মা মায়া পাল বলেন, সত্যের জয় হল। ছেলে, বউমা, নাতিকে তো আর ফিরে পাব না। তবে, আমরা যা চেয়েছিলাম বিচারক সেই ফাঁসির রায় দিয়েছে। আমরা খুশি।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share