মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার দাপট শুরু হতেই হাওড়া (Howrah) শহরজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা। হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ক্রমশ বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গি বেশি ছড়াচ্ছে পুরসভার ২৯ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ এখনও অনেকটাই কম। বৃষ্টি বাড়লে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়া পুরসভার ৫০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ থেকে ১২ টি ওয়ার্ডে এই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে পুর নাগরিকরা জানিয়েছেন।
কী বলছে হাওড়া (Howrah) পুরসভার তথ্য?
হাওড়া পুরসভার তথ্যই বলছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে যেভাবে ডেঙ্গি রোগী পাওয়া গেছে, সেই তুলনায় গত এক মাসে সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকটাই। দ্বিগুণের থেকেও বেশি। যদিও হাওড়া পুরসভার হিসাব বলছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। তবে সাধারণ মানুষের মতে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এর প্রায় চারগুণ। হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান নিজে। তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নিতে হরে, কোথাও জল জমিয়ে রাখা হচ্ছে কিনা। এর পাশাপাশি মশা মারার তেল নিয়মিত স্প্রে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার নর্দমাগুলি যাতে ঠিকমতো পরিষ্কার হয়, সে ব্যাপারে সাফাই কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি নিজে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।
কী অভিযোগ করলেন বাসিন্দারা (Howrah)?
যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হয় না। বিগত কয়েক বারের বৃষ্টির জল নেমে গেলেও শহরে নোংরা-আবর্জনা নিয়ম করে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা সুধাকর দুবে জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকার পার্কগুলিকে ঢেলে সাজানো হয়েছিল। নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার হত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে প্রশাসক মণ্ডলীর পরিচালনায় পুরসভা চলছে। বিভিন্ন এলাকা জঙ্গলে ভরে গেছে। আবাসন, পার্ক এমনকী রাস্তার দু’ধারে আগাছা ও জঞ্জাল জমা হয়। সেখানেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। ফলে নাগরিকরা খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। নিয়মিত মশা মারার তেল দেওয়ার পাশাপাশি যাতে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply