মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির শাহজাহানের মতো এবার পূর্ব মেদিনীপুরের আরেক তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। দুই জনের নামের যেমন মিল তেমনি রাজনৈতিক দলও এক। এই তৃণমূল নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে স্পষ্ট বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমার ২০০০ টাকা লাগবে।” তবে ভিডিও কয়েক বছরের পুরাতন হলেও লোকসভার আগে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এলাকার মানুষের অভিযোগ (TMC)
শিল্পাঞ্চল হলদিয়ার একটি বাড়িতে ভিডিও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গেছে। সেখানকার এক বাড়ির মালিক শেখ ইব্রাহিম আলি বলেছেন, “আমার এক আত্মীয়ের সরকারি চাকরির জন্য তৃণমূল নেতা (TMC) শেখ শাহজাহানকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমার বাড়িতে এসে বলেন, দুই হাজার টাকা গাড়িভাড়া হিসাবে অতিরিক্ত দিতে হবে। বাকি পুরো টাকাটা সরকারি আধিকারিককে দিতে হবে। কিন্তু টাকা দেওয়ার ৩ থেকে ৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনও চাকরির খোঁজ নেই। আমি আমার টাকাও ফেরত পেলাম না।”
টাকা নিয়ের চাকরির প্রতারণা (TMC)
এলাকার প্রতারণার শিকার আরও এক ব্যক্তি সমরেশ সামন্ত বলেন, “তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহান আমাকে বলেছিলেন খাদ্য দফতরের চাকরি করে দেবেন। সেই জন্য ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজও কাজ মেলেনি।” আবার শেখ কামরুল আলম অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল। আরও ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু দিতে পারব না বলে জানিয়েছিলাম। কিছু টাকা ফেরত পেলেও এখনও অনেক টাকা বাকি।” এলাকার মানুষ ডায়মণ্ডহারবারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।
পুলিশের বক্তব্য
ভোটের মুখে সেই ভিডিও ভাইরাল হলে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ নিতে চায়নি। এরপর হলদিয়া এসডিপিওকে সংবাদ মধ্যম ফোন করলে তিনি বলেন, “২০২০ সালের ঘটনা। এই বিষয়ে এখন কিছু বলার নেই। তবে এই তৃণমূল নেতার (TMC) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিলে পুলিশ তদন্ত করবে।”
শাহজাহানের বক্তব্য
এই বিষয়ে শাহজাহান নিজের আর্থিক লেনদেনের কথা স্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেইনি। যার বাড়িতে টাকা নেওয়া হয়েছে সেখানে আমাকে সাক্ষী হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি মাত্র ২০০০ টাকা নিয়েছিলাম। এর থেকে বেশী টাকা আমি চাইনি।” এইবিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ শাহানুল্লাহ খান বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সত্যতা এখনও জানিনা। অনুসন্ধান করে বলব।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours