TMC: হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হল তৃণমূল ভবন

TMC

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মত বুধবার ভেঙে ফেলা হল বড়ঞার বিতর্কিত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কার্যালয়। সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ এবং অবৈধভাবে জায়গা দখলের অভিযোগ ছিল বলে কোর্টের নির্দেশে জানা গেছে। কোর্টের নির্দেশে খুশি নন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। 

কেন তৃণমূল (TMC) ভবন ভেঙে ফেলা হল?

উল্লেখ্য ২০২১ সালে বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড়ে নির্মিত করা হয়েছিল এই তৃণমূলের (TMC) ভবনটি। তারপরে স্থানীয় বাসিন্দা শফিউর রহমান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। উনি কোর্টে জানান, তৃণমূলের ভবনটি সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি ছিল, জায়গাটা বেআইনিভাবে জবরদস্তি দখল করে নেওয়া হয়েছিল। আর এই অভিযোগে তদন্তে নেমে, দফায় দফায় তদন্তের পর, অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হল তৃণমূলের ভবনটিকে। ভবনটি ভাঙতে যাতে কোনরকম বিশৃঙ্খলার ঘটনা না ঘটে, সেই কারণে বড়ঞা থানার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকাকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ কান্দি মহকুমা শাসক, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে বুধবার ভেঙে ফেলা হল বড়ঞার তৃণমূলের ভবনটিকে।

তৃণমূল (TMC) সমর্থকদের বক্তব্য

এলাকায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রবিন কুমার ঘোষ বলেন, এই ভবন তৃণমূলের কার্যালয় ছিল না। তবে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে মাঝে মিটিং হতো। তিনি আরও বলেন, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা মাঝে মাঝে আসতেন, কিন্তু ভবনটি তাঁর অফিস কখনই ছিল না। ফলে ভবন সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতার বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এলাকার স্থানীয় জ্যোৎস্না খাতুন বলেন, পুলিশ ভাঙছে ৪৫ দাগের বিল্ডিং, কিন্তু আমি জানি ভাঙার কথা ৪৩, ৪৪ দাগের উপর নির্মিত বিল্ডিং। এটা ঠিক হচ্ছে না। উনি জানান, এরপর আমি আইনের সাহায্য নেবো। কোর্টের নির্দেশ পালন করায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের নেতাদের মধ্যে অসন্তোষের ছাপ দেখা যায়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share