মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। গ্রাহকদের অজান্তেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আবার আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর জেলার পুলিশ।
আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ (Uttar Dinajpur)
পুলিশ সূত্রে খবর, চা বাগান ঘেরা চোপড়ায় আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণার হাব তৈরি করেছে প্রতারকরা। শুধু তাই নয়, প্রতারণা চক্রের পান্ডারা আধুনিক অফিসে বসেই নিমেষে গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছে। কেউ কিছু বোঝার আগেই নিমেশে সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন অনেকে। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় এলাকায় বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। শুধু হাওড়া বা উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা নয় রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এসব অপরাধের পিছনে এই চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তদন্তে নেমে আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পায়। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানা। উদ্ধার করা হয়েছে, প্রচুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভলপিং কেমিক্যালস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, জমির দলিলের আঙুলের ছাপের কাগজ,আধারের কপি। গ্রেফতার ৩ ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। এরপর শনিবার আরও একটি আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয় আরও প্রয়োজনীয় গেজেটস, কেমিক্যালস,কম্পিউটার, দলিলের কপি। পুলিশ ওই চক্রের পান্ডাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।
জেলা পুলিশের আধিকারিক কী বললেন?
রবিবার এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্ৰথম দিনের প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় চোপড়া থানার চুটিয়াখোড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু, কাউতকে গ্রেফতার করা যায়নি। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours