মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক আদিবাসী নাবালিকা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। আপাতত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)
গত ২৫ অক্টোবর বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামে রাতের বেলায় কবাডি খেলার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে সকলেই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাড়ির লোকজনও কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকার সুযোগে পাশের গ্রামের রাজেন মুর্মু নামে এক যুবক বাড়িতে ঢুকে এই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরেই এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিবারের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের নেতৃত্বে ঘটনার পরে বসানো হয় সালিশি সভা। সেখানে ৫০ হাজার টাকায় গোটা ঘটনার রফাও করা হয়। এরকম একটি প্রস্তাব শুনে লজ্জায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই নির্যাতিতা। সালিশি সভার পর সেই আদিবাসী নাবালিকা লজ্জায় শুক্রবার দুপুরবেলায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা নাবালিকাকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজেন মুর্মুও গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। স্থানীয় কসবা পঞ্চায়েত এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সালিশি সভা বসিয়ে টাকা দিয়ে যে বা যারা রফা করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Leave a Reply