Paschim Medinipur: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে হয়েছে কারচুপি, বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ

Paschim_Medinipur_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে কারচুপি ও ডিসিআর বদলানোর অভিযোগ তুলে বিরোধীরা সরব বিডিও অফিস চত্বরে। বিডিওর রুমে ঢুকে বিজেপি-সিপিএমের নেতাকর্মীরা বিডিওর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। বিজেপি-সিপিএমের দাবি, বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল।

কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?

এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নগুলিকে পরীক্ষা করা হচ্ছিল শনিবার। সেই পরীক্ষায় এসে বাম-বিজেপি কর্মীরা জানতে পারেন, এই ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদপুর দুই নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রুমারাজ পণ্ডিত। তিনি প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতির ২২ নম্বর আসনে ১৩ই জুন মনোনয়ন করেছেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এই প্রার্থী ১৫ই জুন আবার একই এলাকার পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেন। দুবার মনোনয়ন, প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হতে চেয়েছেন রুমারাজ পণ্ডিত। এখন পরীক্ষার পর কোনটা চূড়ান্ত করবে প্রশাসন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে হয়ে সমস্যা। এখানেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগ কী?

বিজেপি-সিপিএমের দাবি, আইন অনুযায়ী প্রার্থী যে মনোনয়নটি আগে করবে, সেখানেই তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। তাহলে যেহেতু রুমারাজ পণ্ডিত পঞ্চায়েত সমিতিতে (Paschim Medinipur) আগে নমিনেশন করেছেন, তাহলে কী করে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবেন! এই নিয়ে বিডিও অর্নিবাণ সাউ-এর কাছে বাম-বিজেপির কর্মীরা জানতে চান। কিন্তু বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। তারপর বিডিওর অফিসঘরে শুরু হয় হট্টগোল, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গোলমাল। এরপর থেকেই বিরোধীরা বলেন, প্রশাসন নিয়ম ভেঙে তৃণমূল প্রার্থীর সুবিধার জন্য মনোনয়ন পরীক্ষা করছেন। বিজেপির দাবি, মনোনয়ন পরীক্ষায় যদি প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে, তবে নির্বাচনের দিন কী ভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন বিডিও?

তৃণমূলের এবং প্রশাসনের বক্তব্য

ঘাটাল (Paschim Medinipur) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত বলেন, রুমা প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য নমিনেশন করেছিল, পরে পঞ্চায়েত সমিতিতে করে। তিনি আরও বলেন, বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছে। দাসপুর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাউ ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমস্ত কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। ওই প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় নমিনেশন করলেও প্রথমে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতই নমিনেশন  করেছিলেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share