Panchayat Election: হাতে দলের ঝান্ডা, পুলিশি কায়দায় রাস্তায় নাকা চেকিং তৃণমূলের!

Panchayat_Election_(26)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্য রাতে শক্ত লাঠিতে বাঁধা ঝান্ডা হাতে পুলিশের ভূমিকায় তৃণমূল কর্মীরা। ‘পাহারাদার’ হয়ে রীতিমতো পুলিশের কায়দায় নাকা চেকিং করছে তৃণমূল প্রার্থী সহ তৃণমূলী বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বিজেপির ‘আমদানি’ আটকাতেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ‘পাড়ায় পাড়ায় পাহারাদার’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি জেলা নেতৃত্বের। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ছবি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে, শাসক দল তৃণমূল কি তাহলে ভরসা হারাচ্ছে পুলিশের উপর থেকেও? আর এভাবে রাস্তায় গাড়ি আটকে পুলিশের মতো করে তৃণমূল কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কী জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তৃণমূল কর্মীরা?

ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২ টা ৪৫। মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপগড় এলাকায় মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের ওপর রীতিমতো পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জনা কুড়ি তৃণমূল কর্মী। একেবারে পুলিশের কায়দায় রাজ্য সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়িদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা। কোথায় যাবেন? কার কাছে যাবেন? গাড়িতে কী আছে? পুলিশি কায়দায় তৃণমূল কর্মীরা জেরা করছেন গাড়ির চালকদের। শাসক দলের এই কর্মীরাই হচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বের ঘোষিত ‘পাহারাদার’। আর এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী সুখেন্দুবিকাশ জানা। তিনি বলেন, খবর মিলেছে এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে ভোট কিনতে টাকা ঢোকাচ্ছে বিজেপি। তাই পুলিশের উপর ভরসা না করে বিজেপির টাকা আটকাতে আমরা নেমেছি রাস্তায়। কারণ, রাজ্য পুলিশ এগুলো নিয়ে সব সময় নজর দিতে পারে না। তাই পুলিশের কাজ নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। রাত দশটা থেকে ভোর তিনটে পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই পাহারাদারির কাজ করে যাব আমরা।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, পাড়ায় পাড়ায় পাহারাদার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে বিজেপি টাকা ঢোকাতে পারে এলাকায়, সূত্র মারফত এমন খবর পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি জেলার বিভিন্ন গ্রামে রাত পাহারায় ‘পাহারাদার’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির জন্য এমন পদক্ষেপ, দাবি বিজেপির। স্বাভাবিকভাবেই শাসক দলকে কড়া নিশানা বিজেপির। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে পাহারাদারির নামে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য গ্রামে গ্রামে যুবকদের রাস্তায় নামিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের কাছে গোটা বিষয় লিখিত আকারে জানানো হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share