Trinidad-Tobago: ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে তৈরি হবে অযোধ্যার আদলে রাম মন্দির

trinidad-tabago news-ram-temple-to-be-built-in-trinidad-and-tobago-on-the-model-of-ayodhya

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং প্রগতিকে বৃদ্ধি করতে এবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে (Trinidad-Tobago) রাম মন্দিরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ওই দেশের সরকার। এই সিদ্ধান্ত হিন্দু আস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিশ্বজুড়ে হিন্দু সমাজের জন্য এই রাম মন্দির হবে আরও এক গভীর অনুপ্রেরণার কেন্দ্র। ক্যারিবীয় দেশের স্থানীয় হিন্দু সংগঠন এবং সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এই মন্দির হবে ধর্ম, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার অন্যম পীঠস্থান। মর্যাদাপূর্ণ পুরুষোত্তম ভাগবান রাম চন্দ্রের (Ram Mandir) আদর্শ এবং ধর্মচিন্তাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আরও এক প্রায়োগিক দিক বলে মনে করেছেন রাম ভক্তগণ।

দুই দ্বীপপুঞ্জে হিন্দুর জন্য ধর্মকেন্দ্র (Trinidad-Tobago)

পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধে হিন্দুধর্মের সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে রাম মন্দির প্রধান পীঠস্থানে পরিণত হবে। এই বছর শুরুতে অযোধ্যা থেকে রামলালার মূর্তি নিয়ে আসার জন্য সাধু-সন্ত সমাজের সঙ্গে কথা বলেন ওই দেশের মন্ত্রী ব্যারি পদরথ। এবার তাঁর মন্দির নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভারত সরকারের কাছে সবরকম সহযোগিতার প্রার্থনা করেছেন। উল্লেখ্য ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোকে (Trinidad-Tobago) রামায়ণের দেশ বলা হয়। তবে ভারতের বাইরে বিশ্বের আরেক প্রান্তে হিন্দু সভ্যতার স্থাপত্য এবং ভাস্কর্যকে তুলে বিশেষ ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন মন্ত্রী পদরথ। তিনি বলেন, “রাম লালাকে (Ram Mandir) ঘিরে এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা পূর্ণ সমর্থন করে সবরকম কাজ করবো। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের কর্মকর্তারা সদর্থক আলোচনা করেছেন কীভাবে মন্দিরের কাজের জন্য সহযোগিতা হবে। সেই সঙ্গে দুই দ্বীপপুঞ্জ জাতির জন্য একটি সম্ভাব্য পর্যটন কেন্দ্র হিসবেও রাম মন্দিরকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ভারতীয় সংস্কৃতি ধর্ম বিশ্বাস এবং আস্থা এখানে বহু প্রজন্মের মানুষ বহন করছেন। শুধু মন্দির গড়াই প্রধান লক্ষ্য নয়, তাকে ঘিরে আরও নানা রকম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরের কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। ”

১০০০০ ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন

নিউইয়র্কের ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা প্রেম ভান্ডারী উত্তর আমেরিকার ভক্তদের জন্য একটি অযোধ্যা নগরীর পরিকল্পনা করেছেন। এই নগরী হবে ওই দেশের আধ্যাত্মিক এবং ধর্মচর্চার প্রধান ক্ষেত্র। যাঁরা ভারতে যেতে পারবেন না বা শরীরিক ভাবে অক্ষম তাঁদেরকেই এই নির্মিত অযোধ্যা নগরীতে প্রভু রামলালার দর্শন করাবেন। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের কাছে প্রেম ভান্ডারী প্রথমে মন্দির নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য ২০২৫ সালের মে মাসেই ত্রিনিদাদে অযোধ্যার রামমন্দিরের রাম লালা মূর্তির একটি প্রতিরূপ উন্মোচন করেছিলেন। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোয় (Trinidad-Tobago)  মন্দির স্থাপনার জন্য অযোধ্যার শ্রীরাম মন্দির (Ram Mandir) সংস্থার সভাপতি অমিত আলাঘ যৌথভাবে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছিলেন। রামলালার মূর্তি উন্মোচনের সময় দেশের পোর্ট অফ স্পেনে ১০০০০ ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন। আর তার ঠিক কয়েকমাস পরেই এই মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রবাসী হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। উল্লেখ্য এখানে ২০ অক্টোবর হাজার হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share