UNSC: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

United Nations: রাষ্ট্রপুুঞ্জকে আরও কার্যকরী করতে স্থায়ী সদস্য পদ বাড়ানোর পক্ষে মাক্রঁ...
modi_macron_new
modi_macron_new

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে জোরালো সমর্থন জানালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। এর আগে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা। ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া ‘অবশ্যম্ভাবী’ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে (UNGA) ভাষণ দেওয়ার সময়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকরী করে তোলার জন্য ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হিসেবে দেখতে চায় ফ্রান্স।

ফ্রান্সের সমর্থন

বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষেই যে বিশ্বের একটি বড় অংশ রয়েছে, তা প্রমাণিত। নিউ ইয়র্কে সাধারণ পরিষদে (United Nations) বক্তব্য রাখার সময় মাক্রঁ বলেন, “আসুন, রাষ্ট্রপুঞ্জকে আরও কার্যকর করি। আমাদের এটিকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক করতে হবে এবং এ কারণেই ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদকে সম্প্রসারিত করার পক্ষে। এজন্য জার্মানি, জাপান, ভারত এবং ব্রাজিলকে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া উচিত।” 

কেন দরকার ভারতকে

ভারত এখন শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য। ভারতীয় অর্থনীতিতে বৃদ্ধির হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিশ্বে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। তাই নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত বলেই অভিমত কূটনীতিকদের। ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। অন্যরা দু’বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নটি ১৯৭৯ সাল থেকে সাধারণ পরিষদের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে। এখন দিনে দিনে, বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা সংঘাতের মধ্যে সংস্কারের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি কোয়াড বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) ভারতের স্থায়ী সদস্য পদের দাবিকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে (UNSC) সংস্কার করব। নিরাপত্তা পরিষদকে আরও প্রতিনিধিত্বমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, কার্যকর, গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক করতে এখানে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদের সম্প্রসারণ করা হবে।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles