Drinking Water Crisis: বুদবুদের আদিবাসী গ্রামে জলসঙ্কট চরমে, কলসি, হাঁড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

"কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৃণমূলের ভাইপো নবজাগরণ যাত্রায় নেমেছে, আর রাজ্যের মানুষ জলকষ্টে ভুগছে"
Drinking_Water_Crisis
Drinking_Water_Crisis

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধ করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা খারাপ হতেই মেশিন উধাও। বছর ঘুরলেও সেটি সারানো হয়নি। প্রশাসনের দরজায় ঘুরে জুতোর শুকতলা খুইয়েছেন বাসিন্দারা। নানাভাবে আবেদন-নিবেদন জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বিকল্প পানীয় জলের সংস্থান বিশ বাঁও জলে। তাই জলকষ্টে (Drinking Water Crisis) নাকাল গ্রামবাসীরা। এমনই চিত্র বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতের লবণধারা আদিবাসী গ্রামে। চরম বঞ্চনায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল। পানীয় জলের দাবিতে কলসি, বালতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ মহিলারা। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতে। 

বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত, দাবি গ্রামবাসীদের

জঙ্গলমহল অধ্যুষিত গ্রামটিতে প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসবাস। সকলে দিনমজুর। গ্রামে পানীয় জলের কষ্ট (Drinking Water Crisis) দীর্ঘদিনের। জলসঙ্কট মেটাতে বছরখানেক আগে ঘটা করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। মাস কয়েক ভালই চলেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আচমকাই সাবমার্শিবলটি খারাপ হয়ে যায়। আর তাতেই আবার জলকষ্ট শুরু হয় গ্রামে। এককথায় পানীয় জলের হাহাকার দেখা দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে আশপাশের পুকুরের জল ব্যবহার করলেও, গরমের শুরুতে সেসব শুকিয়ে পড়েছে। ফলে চরম জলসঙ্কট নেমে আসে। পার্শ্ববর্তী এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নিয়ম করে সারাদিনে দুবার পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। গ্রামের বুধিন টুডু, মুনিষ হাঁসদা প্রমুখ মহিলারা জানান, "ভোটের সময় নেতারা আসে। ভোট মিটলেই আর দেখে না। আমাদের সমস্যা কেউ শোনে না। বহুবার পঞ্চায়েতে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের নতুন করে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। গরমে দূর থেকে জল আনতে হয়।" সোমবার গ্রামের মহিলাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা। এদিন কলসি, হাঁড়ি, বালতি নিয়ে গ্রাম থেকে মিছিল বের করেন তাঁরা। তারপর স্থানীয় পঞ্চায়েতে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ মহিলারা জানান, "গরমে জলকষ্টে নাজেহাল। বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত।"

ধিক্কার জানাই, বললেন বিজেপি নেতা

প্রশ্ন, জলসঙ্কট মেটাতে রাজ্য সরকার জলস্বপ্ন ও কেন্দ্র জলজীবন প্রকল্পের ওপর জোর দিয়েছে। নলবাহিত পানীয় জল পরিষেবা সময় সাপেক্ষ। তবে বছর ঘুরলেও, গ্রামে বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা হল না কেন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিক স্থানীয় বোলপুর লোকসভার বিজেপি কর্মী সৌমেন পাত্র বলেন, "তৃণমূল সরকার আদিবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ঘটা করে পানীয় জলের সাবমার্শিবল বসিয়ে বাহবা কুড়িয়েছিল। আবার খারাপ হতে আস্ত মেশিনটা সারানোর নামে তুলে নিয়ে চলে এসেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৃণমূলের ভাইপো নবজাগরণ যাত্রায় নেমেছে। আর এদিকে রাজ্যের মানুষ কষ্টে (Drinking Water Crisis) ভুগছে। কেন্দ্রের দেওয়া জলজীবন প্রকল্পের রাশি রাশি টাকা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে সঠিক ব্যবহার করেনি। তাই এরকম একটা অকর্মণ্য রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তৃণমূল পরিচালিত দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সি জানান, "ওই এলাকায় সৌর বিদ্যুতের পাম্প বসানোর চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে।" 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles