Weather Update: সপ্তাহের শেষেই তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে চড়ছে পারদ

025879800_1529396272_summer---pxhere

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই চৈত্রের কাঠ-ফাটা রোদে পথে বেরনো দায় হয়ে পড়েছে। শহরে তীব্র গরমে কাহিল জনজীবন। চলতি সপ্তাহের শেষেই তাপমাত্রা (Weather Update) ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি হতে পারে, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাগুলিতেই বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। হাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সপ্তাহেই কলকাতার তাপমাত্রার পারদ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। বুধবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ।

তাপপ্রবাহের আশঙ্কা

আলিপুর আবহাওয়া অফিসের (Weather Update) পূর্বাভাস বলছে, চলতি সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে । অর্থাৎ, চৈত্র মাসে গরমের এই পূর্বাভাস বৈশাখে তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী দু-তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।  তবে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়লেও উত্তরবঙ্গে মনোরম আবহাওয়া থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। 

আরও পড়ুন: প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

এল নিনো কী

সম্প্রতি ২০২৩ সালকে ‘উষ্ণতম বর্ষ’-এর তকমা দিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া (Weather Update) সংস্থা (ডব্লুএমও)। ছিল এল নিনো পরিস্থিতি। এর আগে উষ্ণতম বছর বলা হয়েছিল ২০১৬ সালকে। এবারও তাপমাত্রার পারদ চড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে মৌসম ভবন। প্রশান্ত মহাসাগরে জলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে এল নিনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভারত সহ বিশ্বের একটা বড় অংশ জুড়ে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতও কমে। গতবছর দেশে বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার পর এল নিনো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার ফলে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে লা নিনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরেও বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ার প্রবণতা বজায় থাকে কি না, সেদিকে বিশেষজ্ঞদের নজর থাকবে। আর বিশ্ব উষ্ণায়নের সময় ভারত যে পুড়বে তা বলাই যায়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share