Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে চায়ের দোকান! দোকানের কী নাম জানেন?
Tea_Shop
Tea_Shop

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশালা চা, লেমন চা, জিনজার চা সহ রকমারি চা রয়েছে দোকানে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে চাকরি ছেড়়ে চায়ের দোকান করেছে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানের (Tea Shop) নামের জাদুতেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই চায়ের দোকান। দোকানের নাম রাখা হয়েছে, "পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা"।

কেন দোকানের (Tea Shop) নাম "পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা"?

দোকান (Tea Shop) দিয়ে চায়ের আসর বসিয়ে রাজনীতি সচেতনতা বাড়াতে বার্তা দিচ্ছে মেদিনীপুরের বছর ২৬ এর ছেলে অঞ্জন দাস অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। এরপর কর্ণাটকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন। রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আকর্ষণ তাঁর। ছাত্র জীবনে রাজনীতিও করেছেন। কিন্তু, বাবা অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে ফের মেদিনীপুরে ফিরে আসা। বাবার অসুস্থতায় প্রয়োজন টাকার, অন্যদিকে তাঁর প্রবল আগ্রহ রাজনীতি নিয়ে। নেতাদের বক্তব্য,ষ নেতাদের সভা আলাপ-আলোচনা কলাকৌশল নিয়েও আগ্রহের সীমা নেই এই অঞ্জনের। কিন্তু বাবার অসুস্থতা এবং পরিস্থিতির চাপে শেষ পর্যন্ত এই দোকান খুলতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে দোকান খুলে নিজের পেশা ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়ে নাম দিয়েছেন "পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা"। মূলত নামেতেই প্রকাশ পাচ্ছে আর রাজনীতির গন্ধ। অনেকটাই দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর মতো।

"পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা" নিয়ে কী বললেন তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা?

 তরুণ প্রজন্ম পড়ুয়াদের নিয়েই এই চায়েওয়ালার আসর চলে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানে (Tea Shop) আড্ডা জমান তরুণ তরুণী সহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চা খেতে খেতে আলোচনা করেন বাম ডান সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের রাজনীতির কলা কৌশল আলাপ-আলোচনা। আর তাতেই কিছুটা হলেও নিজের ইচ্ছে পূরণ হয় এই অঞ্জনের। তার এই চায়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারাইটি চা, যার দামও ৭ টাকা থেকে শুরু হয়ে চল্লিশ টাকায় ঠেকেছে। চা খেতে আসা সৌরভ,হিমাদ্রি,বিক্রমরা বলেন, অঞ্জনদার চায়ের দোকানের নাম এবং চা এই এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয়। শুধু চা খেতে আসা নয়,এর সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনার সঙ্গে চুটিয়ে রাজনীতির আলোচনা চলে। তবে, তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন বলেও আমরা মনে করি। কারণ, সমস্ত রাজনীতি দুর্নীতিতে যুক্ত বা অসচ্ছ নয়। আর সেই জ্ঞান নিতেই এই পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা এর কাছে আসা আমাদের।

কী বললেন পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা?

পলিটিকাল চায়েওয়ালা অঞ্জনবাবু বলেন, ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল রাজনীতিতে নেতা হওয়া। একসময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।  সামনে থেকে দেখেছে রাজনীতির কর্মকাণ্ড। কিন্তু, তারপরেই ছন্নছাড়া এবং ফিরে আসতে হয়েছে বাড়িতে,খুলতে হয়েছে আর্থিক প্রয়োজনে দোকান (Tea Shop)। তবে, ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই এই দোকানের নাম রেখেছি পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা। যেখানে সমস্ত ইয়ুথকে জানানো হচ্ছে রাজনীতি মানে অসৎ নয়,দুর্নীতি নয়। অনেক ভালো মানুষ আছে এবং সৎ রাজনীতিও করা যায়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles