মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। দোসর গরু পাচারকাণ্ড। একের পর এক এই সব দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক নেতা এখন জেলের ঘানি টানছেন। ইডি, সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে শাসক দলের আরও একাধিক নেতা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। এই অবস্থায় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়? Mamata Banerjee
খড়দহের দলীয় সভায় স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সব দলেই খারাপ লোক আছে। তারজন্য গোটা দল তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। আমি চোর হতে পারি, কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চোর নন। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) খুব কাছ থেকে আমি দেখেছি। তিনি প্রাণ দিয়ে বাংলার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। আর এই বাংলাকে দেশের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত করেছেন। মমতা ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, তৃণমূল দলে যে চোর রয়েছে তা মন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতিতে জেরবার এই দলে কর্মীরা এখন বিভ্রান্ত হয়ে রয়েছেন। তাই, দলনেত্রী (Mamata Banerjee) সত্ প্রচার করে কর্মীদের মনোবল চাঙা করার চেষ্টা করছেন। আর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার জড়িত নয়। আর যারা জড়িত দল তাদের সমর্থন করেনি। বরং বহিষ্কার করেছে।
দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন মন্ত্রীর ছেলে? Mamata Banerjee
রাস্তাঘাটে সব জায়গায় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে। মন্ত্রীর ছেলে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই সে কথা স্পষ্ট। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আপনারা (কর্মীদের উদ্দেশে) মনে করছেন, বাসে ট্রামে কী আলোচনা হচ্ছে। সব কিছুর ভাল, খারাপ রয়েছে। রামায়ণ, মহাভারতেও ভাল, খারাপ ছিল। যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মহামান্য আদালত। আর দলের কেউ হলে হাইকমান্ড (Mamata Banerjee) ব্যবস্থা নেবে। প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে এখন মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তাদের পরিবারে লোকজন রয়েছে, সে কথা তারা ভাবছেন না।
বিরোধীরা জোটবদ্ধভাবে তৃণমূলের দুর্নীতি (Scam) নিয়ে সরব হয়েছে। তার পাল্টা হিসেবে তৃণমূল নেতৃত্ব সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি সহ একাধিক উদাহরণ তুলে ধরে বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছে বলে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, তাতে কর্মীদের মনোবল চাঙা হচ্ছে না তা শাসক দলের নেতারা হারে হারে টের পাচ্ছেন। বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণে কর্মীরা পাল্টা কীভাবে মোকাবিলা করবেন তার রূপরেখা দলের অন্দরেই নেই। এই অবস্থায় মন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কর্মীদের চাঙা করতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours