মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে গরু পাচারের সময় বিএসএফের বাধা। পাচারকারীদের পক্ষ থেকে বিএসএফকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিহত করতে পাল্টা গুলি চালায় বিএসএফ। গুলিবিদ্ধ হন একাধিক গরু পাচারকারী। শুক্রবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা থানার ইচ্ছামতী বর্ডার পোস্ট সীমান্ত এলাকায়। ঘটনার পর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখলেন বিএসএফের (BSF) এর কৃষ্ণনগর রেঞ্জের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?
এদিন ভোর রাতে ধানতলা থানার দত্তপুলিয়ায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নীচে দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১০টি গরু পাচার করার চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসএফের ( BSF) জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। পরে বিএসএফের (BSF) পক্ষ থেকে পাল্টা গুলি চালিয়ে প্রতিহত করে। তাতে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী জখম হন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে ধানতলা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। আর এর পরই শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিআইজি কৃষ্ণনগর রেঞ্জ সঞ্জয় কুমার।
ধৃত গরু পাচারকারীর কী বক্তব্য?
ধৃত গরু পাচারকারী হাসান মণ্ডলের বক্তব্য, আজ ভোররাতে ৬টি গরু নিয়ে বাংলাদেশের ছজন এবং ভারতের চারজন বাংলাদেশ যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। ঠিক তখনই বিএসএফ (BSF) বাধা দেওয়াই আমাদের দলের বেশ কয়েকজন সেনা কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে শুরু করে।। এরপর সেনাবাহিনী তরফে গুলি করলে একটি গুলি আমার গায়ে লাগে। ইছামদী নদী পার করে গরুগুলি বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার আমার কাজ ছিল।
কী বললেন বিএসএফের (BSF) ডিআইজি?
ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিএসএফের (BSF) কৃষ্ণনগর রেঞ্জের ডিআইজি সঞ্জয় কুমার বলেন, সীমানগর এর ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ান এখানে কর্মরত ছিল। ইছামতী লাগোয়া এই সীমান্ত এলাকা। ভোর তিনটে নাগাদ পাচারকারীরা গরু নিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই বিষয়টি নজরে আসতেই তাদেরকে বাধা দেয় বিএসএফ। তারা বিএসএফের লক্ষ্য করে বোমা মারতে থাকে। পাল্টা গুলিতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours