মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়ার পশ্চিমপাড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি নাম করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশকে চোর বলে তীব্র কটাক্ষ করেন।
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘জেলাশাসককে কাজে লাগিয়ে আরামবাগ লোকসভা ভোটে কারচুপি করে জিতেছে তৃণমূল। চুরি করা ওদের অভ্যাস। গোটা পরিবারটাই চোর। ভাইপো চোর, ভাইপোর বউ চোর, ভাইপোর শালি চোর, ভাইপোর বাবা চোর, ভাইপোর মা চোর, গরু চোর, কয়লা চোর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশ চোর।’’
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা নেই। ওনার পুলিশ রাজবংশী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে মাঝ রাত্রে গুলি করে খুন করেছে। উনি একবারও শোক প্রকাশ করেননি। তাই ওনার লজ্জা থাকা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে বলছেন, গুলি চললে সরকার ও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। গুন্ডাদের মতো কথাবার্তা। জেন্ডার চেঞ্জ করে কি বলা যায়, গুন্ডিদের মতো কথাবার্তা।’’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, যাকে ইচ্ছা চড়থাপ্পড় মেরে দেবেন। আমি বলছি, কেষ্টর মতো অবস্থা হবে। কেষ্টকে বলেছিল আমি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আছি। যারা অপকর্ম করবে তাদের অবস্থা কেষ্টর মতো হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাইপো ছাড়া কারও জন্য নয়। আমি এই কথা বলে দিলাম।’’
এদিন কংগ্রসে-সিপিএমকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "ডোমজুড়ে গুলি-বোমার লড়াই। রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস, গুলি, বোমা চলছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতা রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরি যোগাযোগ করুক। পাটনায় শান্তি চুক্তি পড়েও কেন বোমা গুলি চলছে?’’
নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকতকে সাদা পায়রা ওড়ানোর পরামর্শ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লাকে সাদা পতাকা ও সাদা পায়রা নিয়ে গ্ৰামে গ্ৰামে মিছিল করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় এক জনসভায় এসে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লার সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে একথা বললেন বিজেপি নেতা ।
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। আইএসএস ও শাসকদলের সংঘর্ষে মারা গেছে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী। শান্তির রফাসূত্র খুঁজতে ইতিমধ্যেই ভাঙড় পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি ও তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ের সংঘর্ষ নিয়ে একাধিকবার পরস্পর বিরোধী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও বিধায়ক শওকত মোল্লা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি করেছে।।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন জাঙ্গিপাড়ার এক সভামঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এই উদ্যোগটা ভালো। তবে দুজনে যদি ভাঙড়ের গ্ৰামে গ্ৰামে গিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তাহলে ভালো হয়। ঠান্ডা ঘরে বসে, নিরাপদ জায়গায় বসে এটা করবেন না। কারণ দু পক্ষের লোকই মারা গেছে। সব গরীব মানুষ।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours