মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপির (BJP) কোনও পদে নেই। সক্রিয় কর্মী হিসেবে তাঁকে দলের নেতারা মানতে পারছেন না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলেই কী কনিষ্ক পণ্ডাকে গ্রেফতার করা হল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে এখন এই বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে।
কনিষ্ককে গ্রেফতার করতে কতজন পুলিশ কর্মী এসেছিলেন, জানেন?
আজ দুপুরে আচমকাই জনা ৩০ পুলিশ বাহিনী গিয়ে তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। হকচকিয়ে যান শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পণ্ডা। তার নামে ওয়ারেন্ট আছে বলে তাকে বেরোতে বলে পুলিশ। কি কারণে ওয়ারেন্ট জানতে চান কনিষ্ক পণ্ডা। পাশাপাশি পুলিশের কথায় না বেরোতে চাইলে দরজা ধাক্কা মেরে ভাঙার উপক্রম করে পুলিশ। তারপর তিনি বেরিয়ে আসেন। তাঁকে গ্রেফতার করে এখন মারিশদা থানায় রাখা হয়েছে।
কে এই কনিষ্ক?
কাঁথি তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে কনিষ্ক পণ্ডা পরিচিত নাম হলেও রাজ্য রাজনীতিতে কনিষ্ক পণ্ডা পরিচিত হয়ে ওঠেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবে। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সময় শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্যৎ পথ চলা নিয়ে সবাই যখন সন্ধিহান সেই সময় প্রচারের আলোয় চলে আসেন কাঁথির এই নেতা। সেটা ২০২০ সালের শেষ সময়। দীর্ঘদিন জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতি করেছেন। তারপর বিজেপিও করেছেন কিছুদিন। তারপর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শেষে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসাবে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে (BJP) যোগদান করার পর নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। কিন্তু, এই দু বছরে সেভাবে দেখা যায়নি কনিষ্ককে। মাঝেমধ্যে কখনো কখনো শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেলেও বিজেপির কোনও পদে ছিলেন না তিনি। এহেন কনিষ্ককে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের পরের দিন পুলিশ কেন গ্রেফতার করল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, পুরানো বহু রাজনৈতিক মামলাতে অভিযুক্ত রয়েছেন কনিষ্ক পন্ডা। কোনও অভিযোগ করেছে সিপিএম, কোনটা তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিক কোনও অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তা জানা যায়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours