মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে প্রস্থান করতেই যেন ধস নামলো তৃণমূলে। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিকে আরও শক্ত করতে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা যোগদান করলেন বিজেপিতে। এই যোগদান সভায় বিশেষ নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
বিজেপির পার্টি অফিসে যোগদান (Cooch Behar)
তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের (Cooch Behar) রাসমেলা ময়দানে একাধিক প্রকল্পের কথা যখন ঘোষণা করে গেলেন। সেই সঙ্গে ২১০ টি রাজবংশী বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে গেলেন তিনি। আর ঠিক তার পরেই ২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর সভাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে কোচবিহার পৌরসভার ৫, ১৫, ১৬, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। একই সঙ্গে কোচবিহার শহর লাগোয়া মধুপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্য এবং মধুপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতৃত্বের একাধিক কর্মী-সমর্থকরা এদিন বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা গেল।
কোন কোন তৃণমূল নেতা যোগ দিলেন(Cooch Behar)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) মধুপুর অঞ্চলের উপপ্রধান তথা অঞ্চলের তৃণমূলের চেয়ারম্যান যোগেশচন্দ্র বর্মন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক দীপক রায়, মধুপুর অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম-এর সাথে আরও একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এক নেতা বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে আমি তৃণমূল করি। কোনও রাগের জায়গা থেকে দল ছাড়ছি না। কাউর প্রতি কোনও দোষারোপ করব না। বিজেপি একটি সর্ব ভারতীয় দল। ভারতে গত এক দশক ধরে শাসন করছে এই দল। তাঁদের উন্নয়নের কাজে আমি খুশি। আঞ্চলিক দলের হয়ে আর কাজ করব না। এবার জাতীয় দলের সৈনিক হয়ে কাজ করবো। আজ আমরা মোট ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করলাম। আগামী দিনে আরও অনেক মানুষ যোগদান করবে।”
কী বলেন নিশীথ প্রামাণিক?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারে (Cooch Behar) এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ ভাওতাবাজি দিয়ে গিয়েছেন। মানুষ এই ভাওতার প্রকল্পগুলিকে গ্রহণ করেনি। সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। কোচবিহার থাকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত সকল স্থানে মানুষ তৃণমূলকে আগামী লোকসভার ভোটে উচিত জবাব দেবেন। একই ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল দলটা পুরোপুরি উঠে যাবে। এই সরকারের দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ মানুষের হিতের বিপরীত।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours