মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে দুই বন্ধু মিলে গঙ্গার ঘাটে স্নানে নেমেছিল। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে অন্য বন্ধু তাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির (Naihati) লিচুবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঠিক কী হয়েছে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ দুই যুবকের নাম শুভম দে ( ১৮) এবং সুজল সাউ ( ১৭)। শুভমের বাড়ি নৈহাটির (Naihati) মক্রেশ্বর ঘাট রোডে। সে এবছর নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। নৈহাটির সঞ্জীব চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা সুজল। সে মহেন্দ্র হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তারা দুজনে খেলা করতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়। ওরা মাঠে খেলাও করে। পরে, তারা বঙ্কিমঘাটে আসে। সেখানে দুজনেই একসঙ্গে স্নান করতে নামে। সুজল একটু বেশি জলে গিয়ে স্নান করছিল। আর শুভম ঘাটের সামনের দিকে ছিল। আচমকা সুজল তলিয়ে যেতে থাকে। সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করতে থাকে। চোখের সামনে বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে শুভম তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। দুজনেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। ঘাটের আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে আসেন। অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। কিন্তু, অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের দুজনের হদিশ মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একজন গঙ্গার অনেকটাই ভিতরে চলে গিয়েছিল। আর সে ফিরতে পারেনি। অন্যজন তাকে বাঁচাতে গিয়ে এই বিপত্তি হয়েছে।
কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?
ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা এবং নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান যান। গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু. তাদের আর হদিশ মেলেনি। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, গঙ্গার ঘাট সংস্কার না হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। গঙ্গায় ড্রেজিং করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি এই ঘাটের সংস্কার করার প্রয়োজন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours