BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

BJP_(31)_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

 বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share