মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর আলিপুরের দফতরে হানা দেয় ইডি (ED)। জানা গিয়েছে, সেখানে নথির পাশাপাশি কম্পিউটারের হার্ডডিক্সও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (ED)। এখান থেকেই নাকি একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে(ED)। প্রসঙ্গত,এই সংস্থারই চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন তিনি।
কালোটাকা সাদা করাই কী ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর কাজ ছিল?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (ED) সূত্রে খবর যে পরামর্শ দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কিন্তু তাদেরকে কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। আদৌ যে সংস্থাগুলিকে দেখানো হয়েছে, পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে, তাদের অস্তিত্ব আছে নাকি সেটাও তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে সংস্থার কর্ণধারদের নামের লিস্ট বানিয়েছে ইডি (ED) এবং তাদের প্রত্যেককে ডেকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা (ED) সংস্থা মনে করছে আসলে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির কাজই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করা। সেই কালো টাকার সাদা করারই একটা প্রক্রিয়া হলো পরামর্শ দেওয়ার নাম করে অন্য সংস্থার কাছ থেকে টাকা তোলা।
ইডির প্রেস বিবৃতিতে অভিষেকের নাম, কটাক্ষ শুভেন্দুর
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (ED) সংস্থার প্রেস বিবৃতিতেও উঠে এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর এক্স অ্যাকাউন্ট পূর্বতন ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘কারও স্মৃতি আমি একটু তাজা করে দিতে চাই যিনি প্রায় বলে থাকেন এজেন্সি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে পড়বেন। ফাঁসির মঞ্চের দরকার নেই, তদন্তকারী অফিসে গিয়ে সহযোগিতা করলেই হবে।’’
আরও পড়ুুন: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours