মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই সিঙ্গুর থেকে টাটাকে উচ্ছেদ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ১,৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাটাকে এই টাকা দেবে 'পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম'। প্রসঙ্গত, রাজ্য থেকে ন্যানো বিদায়ের ১৫ বছর পরে সিঙ্গুর মামলায় ধাক্কা খেল মমতা সরকার। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত টাটা মোটরসকে সুদ দিতে হবে। ৭ বছরে ১১ শতাংশ সুদ ধরলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়ায় ১,৩০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, মামলার খরচ চালানোর জন্য টাটাকে বাড়তি ১ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে সিঙ্গুরের। গতকাল ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
সিঙ্গুর ইস্যুতে সমাজ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্পায়নের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছেন। যুবকরা বাড়ির কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন। যে জমি চাষিদের ফেরত দেওয়া হয়েছে তা আর চাষযোগ্য নয়। উনি সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন।’’ বিগত বছরে সিঙ্গুর আন্দোলনকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করেছে মমতা সরকার। রাজ্যের স্কুল পাঠ্য ইতিহাস বইতে পড়ানো হচ্ছে সেই আন্দোলন। এনিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর পর্বকে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলপাঠ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন শুধুমাত্র নিজের মহিমাকীর্তন করার জন্য। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে আমরা এই ভাষ্যের পরিবর্তন করব, দেখাব আসলে এটা কী বিশাল ব্যর্থতা।’’
রাজ্য বিজেপি কী বলছে?
সোমবার ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরেই সিঙ্গুর ইস্যুতে সিপিএম এবং তৃণমূলকে একযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, ‘‘যখন জমির চরিত্র বদলে গিয়েছিল, চাষের সম্ভাবনা ছিল না, তখন আমাদের প্রস্তাব ছিল বাজারমূল্যের তিনগুণ অর্থ জমির মালিকদের দিতে হবে, পরিবারের একজন সদস্যের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, ভাগচাষি ও জমির মালিকদের স্বার্থবাহী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়াও আমাদের প্রস্তাব ছিল আরও ১০০ একর জমি কিনে সরকার অনিচ্ছুক ৪০০ জনকে কিছুটা পরিমাণ করে জমি ফিরিয়ে দিক। কিন্তু তৃণমূলের হঠকারী সিদ্ধান্ত ও সিপিএম সরকারের অদূরদর্শিতা সিঙ্গুরে শিল্প সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটিয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours