মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্টকে (CAG Report) ঘিরে সোচ্চার হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁরা আলোচনার দাবিতে সরব হলে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন বিধানসভার স্পিকার। এরপর বিজেপি বিধায়করা সভার বাইরে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।
সিএজি রিপোর্টে কী বলা হয়েছে (CAG Report)?
সিএজি (CAG Report) অর্থাৎ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার কোনও রকম খরচের হিসাব দেয়নি রাজ্যে মমতার সরকার। ফলে রাজ্যের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য শাসক দলের পক্ষ থেকে এই সিএজি রিপোর্টকে অস্বীকার করা হয়েছে। এবার আজ মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি এই আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে আলোচনার দাবি জানায়। এরপর বিধানসভায় ব্যাপক হট্টগোলের কারণে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।
সিএজি নিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির
সিএজি (CAG Report) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, আলোচনার কথা বলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা করে বিজেপি। বিজেপির এই পরিষদীয় দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ ওঁরাও, শঙ্কর ঘোষ সহ মোট ছয় জন বিধায়ক। তাঁদের দাবি ছিল, সিএজি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। কিন্তু এই আলোচনায় সম্মতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
চোর চোর স্লোগান
সিএজি (CAG Report) নিয়ে আলোচনার অনুমতি না পেয়ে বিজেপি বিধায়কেরা সভার অন্দরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর শাসক দলের উদ্দেশ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে শাসক দলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে স্লোগান দেওয়া হয়।
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য
সিএজি (CAG Report) নিয়ে বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “সিএজির রিপোর্টে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদি কেউ কিছু করে না থাকেন তাহলে ভয় কিসের? স্পিকার তো নিরপেক্ষ, ওঁর উচিত ছিল আলোচনার অনুমতি দেওয়া।” উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আর্থিক খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবার মোদি রাজ্যের মমতার সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার শংসাপত্র দেখায়নি। অবশ্য মমতা পালটা চিঠি লিখে জানান, ২০০২-৩ সালের হিসাব চাওয়া হয়েছে। সেই সময় তৃণমূল ছিল না রাজ্যে। সিএজি নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours