RSS: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

আরএসএস-এর শাখা সংগঠন 'রাষ্ট্রীয় সেবা ভারতী'র উদ্যোগে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে 'একল বিদ্যালয়ে'-র কাজ....
Untitled_design(571)
Untitled_design(571)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাথর ছোড়া, সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ, সেসব এখন অতীত। কাশ্মীরে ভারতীয়ত্ববোধ জাগরণের জন্য অনবরত কাজ করে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার (RSS)। আরএসএস-এর শাখা সংগঠন 'রাষ্ট্রীয় সেবা ভারতী'র উদ্যোগে চলে 'একল বিদ্যালয়'গুলির কাজ। কাশ্মীরের মুসলিম শিশুদের পড়ানো হচ্ছে কোরানের আয়াত, তাদের শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম। এছাড়া, ভারতীয় হিসেবে তাদের কর্তব্যও বোঝানো হচ্ছে। পাঠদান চলছে ভারতীয়ত্ববোধের এবং কাশ্মীরিয়ত-র। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সূত্রে জানা গিয়েছে, এরকম একল বিদ্যালয় ১,২৫০টি চলছে উপত্যকায়। এই স্কুলগুলি সেই সমস্ত জায়গাতেই অবস্থান করছে যেখানে ৯৫ শতাংশেরও বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাস রয়েছে।

২ বছরে স্কুল বেড়েছে ৫৩ শতাংশ

জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের দশটি জেলাতে চলছে একল বিদ্যালয়ের কাজ। যার মধ্যে কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলাতেই এমন স্কুলের সংখ্যা ১৮০টি। প্রসঙ্গত, এই জেলায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) তরফ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে একল বিদ্যালয়ের কাজ হঠাৎই ৫৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। গত দু'বছরে একল বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮০০ থেকে ১,২৫০ হয়েছে।

কাশ্মীরি এবং উর্দু এই দুই ভাষাতে শিক্ষাদান চলে

স্কুলগুলি গড়ে উঠেছে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। তাদেরকে দেখাশোনা করে মুসলিম শিক্ষকরা। একজন করে অভিযান প্রমুখও রয়েছে স্কুলগুলিতে। যে সমস্ত গ্রামে 'একল বিদ্যালয়' রয়েছে সেখানে পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির মধ্যে বেশ কিছু জায়গাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি এবং উর্দু এই দুই ভাষাতে শিক্ষাদান চলে।

কী বলছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা?

কাশ্মীরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা চাই না, আমাদের ছেলেরা পাথর ছোড়ার দলে নাম লেখাক অথবা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যুক্ত হোক। আমরা এটাও চাই না, আমাদের ছেলেরা মাদকাসক্ত হোক।’’ বিগত পাঁচ বছরে বারমুল্লা জেলাতে একজন একল বিদ্যালয়ের (RSS) ছাত্রও স্কুল ছেড়ে যায়নি অথবা টাকার জন্য পাথর ছোড়ার দলে নাম লেখায়নি। এমন কথাই জানাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা আরও বলছেন, ‘‘একল বিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করে, তারা প্রত্যেকেই গর্বিত হিন্দুস্তানি-মুসলমান। আমরা তাদেরকে কোরান পড়াই।’’

পরিবর্তন হচ্ছে কাশ্মীরের সমাজের

প্রসঙ্গত, গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'বিকশিত ভারত-বিকশিত জম্মু কাশ্মীর' অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এই ভিড়ই জানান দিচ্ছে যে কাশ্মীরের সমাজ কত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, এ কথা বলেন একল বিদ্যালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক। একল বিদ্যালয়ে চার ধরনের প্রমুখ বানানো হয়েছে। 'অঞ্চল অভিযান প্রমুখ', 'পরীক্ষণ প্রমুখ', 'মূল্যায়ণ প্রমুখ' ও 'জাগরণ প্রমুখ'। আরও চমকপ্রদ তথ্য হল, একল বিদ্যালয়ে যাঁরা পাঠদান করেন তাঁদের ৭০ শতাংশই হলেন মহিলা। জানা গিয়েছে, একল বিদ্যালয়ের কাজ চালানোর জন্য দেশের ভিতরের বিভিন্ন বিশিষ্টজন এখনও পর্যন্ত ১২৯ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অনুদানের পরিমাণ হল ৪৪ কোটি টাকা। কাশ্মীরে মোট ৪৮০টি গ্রামে চলছে একল বিদ্যালয়ের কাজ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles