মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরসে পদপিষ্ট (Hathras Religious Event) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সুরজপাল সিং ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার (Bhole Baba)। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। এহেন ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি তাঁর নামে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে আগ্রা, কাসগঞ্জ, রাজস্থান-সহ বিভিন্ন জায়গায়। তার পরেও দিব্যি ‘ব্যবসা’ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু।
গুরুগিরির আড়ালেই কুকীর্তি! (Hathras Religious Event)
উত্তরপ্রদেশেরই এটা জেলার পাতিয়ালি পঞ্চায়েতের নাগরি গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম ভোলে বাবার। পড়াশোনা শেষে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশে। পরে পুলিশের চাকরি চলে যাওয়ায় শুরু করেন ‘ধর্ম ব্যবসা’ (Hathras Religious Event)। সেজে যান গুরু। নাম নেন ভোলে বাবা। এই গুরুগিরির আড়ালেই তাঁর যাবতীয় কুকীর্তি চলতে থাকে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ভোলে বাবার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল সেই ১৯৯৭ সালে। তার পরেই খোয়াতে হয় চাকরি। জেলও খেটেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে নাম নেন সাকার বিশ্ব হরি বাবা। পূর্ব পুরুষের ভিটেয় খোলেন আশ্রম। নাম নেন ভোলে বাবা। এর পরেই জমে যায় ‘ব্যবসা’। দিন দিন বাড়তে থাকে ভক্ত সংখ্যা। ফুলেফেঁপে ওঠেন যৌন নির্যাতনের অভিযোগে চাকরি খোয়ানো এই ‘ধুরন্ধর’।
আর পড়ুন: নিট প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
জেলের ভাতও খেয়েছেন!
পুলিশের দাবি, ২০০১ সালে নিজের ভাগ্নি মারা যাওয়ার পর তাঁকে বাচানোর ছল করেছিলেন ভোলে বাবা। সেই সময় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পাঠানো হয় জেলে। আইন ভাঙার অভিযোগও রয়েছে ভোলে বাবার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে অতিমারি-পর্বে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় জমায়েত আয়োজন করার অভিযোগ উঠেছিল। আর পাঁচজন ধর্মগুরুর মতো গেরুয়া পোশাক পরেন না ভোলে বাবা। তিনি পরেন সাদা জামা-প্যান্ট, সাদা স্যুট কিংবা সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। ভোলে বাবার বৈভবও চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। তাঁর কনভয়ে ৩০টির বেশি দামি গাড়ি রয়েছে। ভোলে বাবাকে (Hathras Religious Event) ঘিরে থাকেন মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁর বাহিনীতে রয়েছেন পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীও।
এহেন ভোলে বাবা (Bhole Baba) লুকোলেন কোথায়?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours