মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) রাজ্যজুড়ে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। বুধবার রাতে রাস্তায় নেমেছিলেন মহিলারা। শনিবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আইএমএ। আর লাগাতার এই আন্দোলনে চরম ব্যাকফুটে শাসকদল তৃণমূল। আন্দোলনেও সামিল হয়েছে নেটিজেনরা। সমাজ মাধ্যমে আরজি করকে সামনে রেখে একের পর এক জ্বালাময়ী পোস্ট তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। তাই, নেটিজেনদের মুখ বন্ধ করতে আসরে নেমেছে মমতার পুলিশ (Kolkata Police)। এমনিতেই রাজধানীর বুকে ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকে তথ্য লোপাট করতেই ব্যস্ত ছিল পুলিশ। যতদিন পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে ছিল মূল অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে করা পোস্ট ডিলিট করতে তারা বাড়ি বাড়ি ছুটছে। এমনই অভিযোগ নেটিজেনদের। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
লেখক শেফালি বৈদ্যকে হুমকি চিঠি পুলিশের!
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পোস্ট ডিলিট করে দিন। আর ভবিষ্যতে এরকম কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সেটা মেনে না চললে আইনের নির্দিষ্ট ধারার আওতায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RG Kar Incident)। এমন কয়েকজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাঁরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছিলেন। লেখক শেফালি বৈদ্য অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে স্রেফ কয়েকটি প্রশ্ন করার জন্য কলকাতা পুলিশের থেকে হুমকি (Kolkata Police) দেওয়া চিঠি পেলাম। কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর যে দমিয়ে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটা।’’
দুষ্কর্মের টাকার যেত তৃণমূল নেতাদের পকেটে!
সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের নির্দেশে 'ভয়' পেয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন না। বরং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে, তারপর নিজের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। দেবায়ন সেন নামে এক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যে পোস্টটি ডিলিট করতে বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাতে দেবায়নবাবু লিখেছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়নি, নিহত চিকিৎসক আরজি কর মেডিক্যালে ড্রাগ, যৌন, ওষুধ ও অঙ্গ পাচার চক্রের ব্যাপারে জেনে ফেলেছিলেন। যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। এই সব দুষ্কর্মের টাকার একাংশ তৃণমূল নেতাদের পকেটে যেত। এখন সঞ্জয় রায়কে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!
কী বললেন সুকান্ত?
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট (RG Kar Incident) ডিলিট করতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছেন নোটিশ প্রাপকরা। শুক্রবার এক পোস্টে সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘নোটিশ পাঠিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের পুলিশ। যারা সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁদের প্রতি: আমরা তৃণমূলের পুলিশের হুমকিতে ভয় পাই না। আমরা লক্ষ্যে অবিচল অটল দৃঢ়তায় ন্যায়ের লক্ষ্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বাক স্বাধীনতা হরণ করতে কলকাতা পুলিশ নোটিশ পাঠিয়ে যাক।’’ সুকান্তবাবু তাঁর পোস্টে ৩ জনকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার পাঠানো নোটিশ প্রকাশ করেছেন। সাইবার ক্রাইম থানার ডেপুটি কমিশনারের তরফে নোটিশগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্ট ডিলিট না করলে তা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ গণ্য হবে বলে পুলিশের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে (RG Kar Incident)।
To everyone demanding justice for #BengalDoctor :
We will not be intimidated by TMC police. Our resolve remains unshaken. We will continue to fight for justice with unwavering determination.
Let TMC police issue notices in an attempt to stifle free speech. pic.twitter.com/6MgYO1YiGx
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) August 16, 2024 le="text-align: justify;">
আক্রমণ শানিয়েছেন অমিত মালব্য
এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের ভয় দেখানোর পরিবর্তে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে (RG Kar Incident) যদি মনোনিবেশ করত কলকাতা পুলিশ, তাহলে কাজে দিত। কলকাতা পুলিশ এবং তাদের মধ্যরাতের ছলচাতুরি কোনওদিন শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। রাত ১ টা ৩৭ মিনিটে লোকজনকে পোস্ট ডিলিট করতে বলছে। হাস্যকর।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours