Amit Shah: নকশাল দমনের গতিপ্রকৃতি জানতে দু’দিনের ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

Anti Naxal Review Meet: ছত্তিশগড় সফরে শাহ, যোগ দেবেন একাধিক বৈঠকে
amit-shah-3
amit-shah-3

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (PM Modi) জমানায় উপদ্রব কমেছে মাওবাদীদের (Anti Naxal Review Meet)। তবে এখনও নির্মূল হয়নি। ছত্তিশগড়ে এখনও মাঝেমধ্যেই হামলা চালায় ‘বনপার্টি’রা। এই মাওবাদীদের নির্মূল করে প্রত্যন্ত এলাকায়ও উন্নয়নের জোয়ার পৌঁছে দিতে পণ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই কারণেই দু’দিনের ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

নকশাল বিরোধী অভিযান নিয়ে মূল্যায়ণ (Amit Shah)

২৩ অগাস্ট ওই রাজ্যে যাচ্ছেন তিনি। এখানে তিনি নকশাল বিরোধী অভিযান নিয়ে মূল্যায়ণ করবেন। কথা বলবেন পুলিশ কর্তা ও নকশাল অধ্যুষিত পড়শি রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে। পুলিশ কর্তা ও মুখ্য সচিবদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হতে চলেছে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে। দেশে নকশাল-পীড়িত রাজ্য রয়েছে ৯টি। এই অঞ্চলকে রেড করিডর বলে। নকশাল দমনে এই রাজ্যগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কিনা, এবং নকশাল দমনে কতগুলি অভিযান চালানো হয়েছে, তাতে সাফল্যের হারই বা কেমন, এসবই জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শাহের সফর সূচি

জানা গিয়েছে, ২৩ অগাস্ট রাতে রায়পুরে পৌঁছবেন শাহ। পরের দিন একাধিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। এই বৈঠকগুলির উদ্দেশ্যই হল, নকশাল-পীড়িত রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রেড করিডরে নিরাপত্তা এবং উন্নয়নমূলক কী কী কাজকর্ম হচ্ছে, তাও জানার চেষ্টা করবেন শাহ (Amit Shah)।

আরও পড়ুন: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ছত্তিশগড়ের সর্বোচ্চ ১৫টি জেলায় মাওবাদীদের রমরমা। এগুলি হল, বীজাপুর, বস্তার, দান্তেওয়াড়া, ধামতাড়ি, কোন্দাগাঁও, মহাসামুন্ড, নারায়ণপুর, রাজনন্দগাঁও, মোহল্লা-মানপুর-আমবাগড়া চৌকি, ক্ষীরগড় চুইখান্ডান গান্ডাই, সুকমা, কবীরধাম এবং মুঙ্গেলি। ওড়িশার সাতটি জেলায়ও রয়েছে মাওবাদীদের দাপট। এগুলি হল, কালাহান্ডি, কান্ধামাল, বোলাঙ্গির, মালকানগিরি, নবরঙ্গপুর, নৌপাদা এবং রায়াগাদা। মাওবাদীদের উপদ্রব রয়েছে মহারাষ্ট্র-সহ আরও সাত রাজ্যেও।

সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় দেশে মাওবাদী হামলার ঘটনা কমেছে ৭৩ শতাংশ। নিরাপত্তা রক্ষী ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর হার কমেছে ৮৬ শতাংশ। ২০১০ সালে মাও হামলার বলি হয়েছিলেন ১ হাজার ৫ জন (Anti Naxal Review Meet)। ২০২৩ সালে সেটাই কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৩৮জনে (Amit Shah)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles