Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল সন্দীপ ঘোষের কয়েকশো বিঘা জমিসহ বাংলোর

South 24 Parganas: এবার সন্ধান মিলল সন্দীপ ঘোষের বিলাসবহুল বাংলোর... কোথায় জানেন?
Sandip_Ghosh
Sandip_Ghosh

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় গত সোমবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। আলিপুরের বিশেষ আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দীপের একটি বিলাসবহুল বাংলোর হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার  (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।  

কয়েকশো বিঘার জমির ওপর বাংলো! (Sandip Ghosh)

ক্যানিং-২ ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজায় কয়েকশো বিঘা ফাঁকা জমির মাঝেই মাথা তুলেছে সবুজরঙা দোতলা একটি বাংলো। বাংলোর ওপরে লেখা 'সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা'। বাংলোটির চারদিকে রয়েছে লম্বা পাঁচিল। স্থানীয়দের একাংশে দাবি, এই বাংলোটি সন্দীপের। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে 'ডাক্তারবাবুকে' এই বাংলোতে আসতেও দেখছেন তাঁরা। সন্দীপের স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা ঘোষ। স্থানীয়দের বক্তব্য, স্ত্রী এবং নিজের নাম মিলিয়ে বাংলোটির নাম দিয়েছিলেন সন্দীপ। বাংলো এবং বাংলো সংলগ্ন কয়েকশো বিঘা জমিতে খামারবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। সন্দীপই এই খামারবাড়ি পরিচালনা করতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “বেশ কয়েক বছর আগে বাংলোটি তৈরি হয়। মাঝে মধ্যে ডাক্তারবাবুকে আসতে দেখেছি। শুনেছিলাম উনি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ।”

আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

সন্দীপের বাংলোর রক্ষী কী বললেন?

সন্দীপের (Sandip Ghosh) বাংলোর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় যুবক জাকির লস্কর। জানা গিয়েছে, জাকির এমনিতে চাষের কাজ করেন। একইসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের বাংলোর রক্ষীও। প্রথমে ৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। পরে তার সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করে দেন সন্দীপ। সন্দীপ কখন বাংলোয় আসতেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জাকির বলেন, “সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আসতেন। আবার বিকালে বেরিয়ে যেতেন। পরিবার ছাড়া অন্য কেউ আসতেন না। দিনের বেলা আসতেন বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি নিয়ে। রান্নাখাওয়া সেরে বিকালে বেরিয়েও যেতেন। আমি ওনার কাছে তিন বছর সাড়ে তিন বছর কাজ করছি। আমার কাছেই এই গেটের চাবি। তবে, ভিতরের ঘরের চাবি আমার কাছে নেই। তবে আরজি করের ঘটনার পর আর এখানে আসেননি তিনি। যোগাযোগও করেননি।”

তবে ইডি সূত্রে খবর, ভেতরের ঘরের চাবি থাকতে পারে পিএ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যাকে এদিনই সুভাষগ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেছে ইডি। তাঁকে এখন এখানে আনা হচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles