Kosba Clash: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কসবায় গুলি করে মারার চেষ্টা তৃণমূল কাউন্সিলরকে!

TMC Inner Clash: তৃণমূলের রাজত্বে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, নেপথ্যে কোন রসায়ন?...
gun_f
gun_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের নেতা। রাজ্যও তৃণমূলের (TMC Inner Clash) দখলে। সেই রাজ্যেই তৃণমূলের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল এক দুষ্কৃতী (Kosba Clash)। বরাত জেরে বেঁচে গিয়েছেন সুশান্ত। গ্রেফতার হয়েছে মূল ষড়যন্ত্রী জনৈক গুলজার। প্রশ্নটা সেখানে নয়, যে প্রশ্নটা তৃণমূল নেতাদের বুকেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছে, তা হল দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই কী দুষ্কৃতীর চাঁদমারিতে পরিণত হয়েছিলেন সুশান্ত?

‘টাগ অফ ওয়ার’

এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের যেতে হবে দক্ষিণ কলকাতার কবসা অঞ্চলে। এই অঞ্চলেরই নেতা সুশান্ত। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। তাঁকে যেখানে খুন করার চেষ্টা করা হয়, সেই জায়গাটা আবার পড়ে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্না। ২০১০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১০৭-এর কাউন্সিলর ছিলেন সুশান্ত। আসনটিকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় সুশান্তকে সরানো হয় পাশের কেন্দ্রে। ১০৭-এ প্রার্থী করা হয় লিপিকাকে। পুরসভা নির্বাচনে দু’জনেই জিতেছেন ঘাসফুলের টিকিটে। তার পর থেকে এলাকার দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দুই কাউন্সিলরের মধ্যে চলছে ‘টাগ অফ ওয়ার’।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!

অথচ, সুশান্ত ও লিপিকা দু’জনেই রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খানের কাছের লোক (Kosba Clash)। লিপিকাকে জাভেদের লোক বলেই চেনেন তৃণমূলের লোকজন। আবার সুশান্তর সঙ্গেও জাভেদের সম্পর্কও বেশ ভালো। এহেন সমীকরণের চালচিত্র যেখানে শোভা পাচ্ছে, সেখানেই কিনা প্রকাশ্যে গুলি করা হল সুশান্তকে লক্ষ্য করে! এবং তার পরেও কোনও মন্তব্য করেননি জাভেদ। লিপিকাও স্পিকটি নট। দায়সারা গোছের উত্তর দিয়েছেন সুশান্ত। তিনি বলেন, “এর মধ্যে রাজনীতি নেই।” বিরোধীদের হাত রয়েছে, তাও বলছেন না তিনি। তাহলে কী পরকীয়া কিংবা পারিবারিক শত্রুতা?

আরও পড়ুন: লাহোরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাক জঙ্গি লখভি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

স্থানীয় সূত্রে খবর, দুটোর কোনওটাই নয়। তাঁদের দাবি, ঘটনার নেপথ্য রয়েছে নির্ভেজাল রাজনীতি। সুশান্ত ১০৮ এর কাউন্সিলর হলেও, পুরানো ওয়ার্ডের দখল ছাড়েননি। লিপিকো গোষ্ঠীর দাপটে তাঁর বাহিনী অবশ্য কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাই তৃণমূলের জমানায় তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে গুলি করার সাহস দেখাল দুষ্কৃতী। বুকের পাটা আছে বলতে হয়!

খেয়োখেয়ির এই রাজনীতিতে আর যাই হোক উন্নয়ন হয় না বলেই দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের মতে, উন্নয়ন না হলেও, ‘কামাই’ হয়। যে ‘কামাই’কে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। চলে গোলা-গুলি (TMC Inner Clash)। আক্রান্ত হন খোদ শাসক দলের নেতাই (Kosba Clash)!

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles