মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান হল দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে চলা লড়াইয়ের। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কল্যাণ জেলার দুর্গাদি দুর্গ (Durgadi Fort) নিয়ে চলছিল মামলাটি। ১০ ডিসেম্বর কল্যাণ জেলা ও দায়রা আদালত জানিয়ে দেয়, দুর্গটি দুর্গা মাতার মন্দির। এই দুর্গটিকেই মসজিদ এবং ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করেছিল মজলিশ-ই-মুশাভরিন।
দুর্গাদি দুর্গ (Durgadi Fort)
দুর্গাদি দুর্গের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। ছত্রপতি শিবাজির যুগ থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই দুর্গ। মজলিশ-ই-মুশাভরিন ট্রাস্টের দাবি, এটি একটি মসজিদের জায়গা। সম্পত্তিটি ভুলবশত একটি ধর্মীয় স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে সিনিয়র ডিভিশন বিচারক এএস লঞ্জেওয়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে রায় দেন। এবং মামলাটি ওয়েলফেয়ার কোর্ট থেকে ওয়াকফ বোর্ডে স্থানান্তরের আবেদন খারিজ করে দেন।
কী বলছেন হিন্দু মঞ্চের সভাপতি
হিন্দু মঞ্চের সভাপতি ও মামলার আবেদনকারী দীনেশ দেশমুখ বলেন, “এই মামলা ৫০ বছর ধরে চলছিল। প্রথমে এই মামলার শুনানি হয়েছিল ঠাণে আদালতে। পরে এটি স্থানান্তরিত হয় কল্যাণ জেলা ও দায়রা আদালতে। এদিনের এই সিদ্ধান্ত দুর্গের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়কে ফের নিশ্চিত করল।” ১৯৭১ সালে, ঠাণে জেলা কালেক্টর ওই জায়গাটিকে হিন্দু মন্দির হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এরই কিছুদিন পরে একটি আবেদন দাখিল করা হয় যা জায়গাটিকে মসজিদ হিসেবে পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব দেয়। ফলে পরিদর্শন ও আইনি তদন্ত শুরু হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের তরফে আইনজীবী ভাউসাহেব মোদক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যগত প্রমাণ দেন। এর মধ্যে ছিল মন্দিরের জানালা এবং একটি চৌথারা (মঞ্চ)। এই মঞ্চেই দেব-দেবী বসিয়ে পুজো হয় হিন্দু মন্দিরে। এই তথ্যগুলো আদালতের সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
আরও পড়ুন: এবার এটিএম থেকেই তোলা যাবে পিএফের টাকা! বড় ঘোষণা কেন্দ্রের, জানুন প্রক্রিয়া
বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলমান গোষ্ঠীগুলি দুর্গে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ করেছে (Durgadi Fort)। কাঠামোগুলিকে সাদা ও সবুজ রংয়ে রাঙানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মসজিদ নির্মাণেরও। শিবসেনার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিবসেনার নেতারা দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের ন্যায্য দাবির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। বালাসাহেব ঠাকরে দুর্গাদি দুর্গে নবরাত্রি উৎসব শুরু করেছিলেন এবং একনাথ শিন্ডে শিবসেনার (Maharashtra) সদস্যদের সঙ্গে দুর্গে আরতিও করেছিলেন (Durgadi Fort)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply