মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ এবং ‘খালিস্তানপন্থী-প্রেমী’ সাজাই ‘কাল’ হয়েছিল কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। তার জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। সোমবারই পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছন লিবারেল পার্টির এই নেতা। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় রাজ করছিলেন ট্রুডো। সোমবার রাতে অবসান ঘটল তার।
তালিকায় অনিতা আনন্দ (Anita Anand)
কানাডার সম্ভাব্য নয়া প্রধানমন্ত্রী কে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন ট্রুডো সরকারের পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ (Anita Anand)। তিনি যদি ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন, তাহলে তা হবে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বিশ্বজয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে। এই তিন মাস কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে তাঁর দল লিবারেল পার্টি। এই ক’দিন স্থগিত থাকবে সংসদের অধিবেশন।
কে এই অনিতা আনন্দ?
ট্রুডো পদত্যাগ করতেই উত্তরসূরি বাছাই করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে লিবারেল পার্টি। সেখানেই সামনের সারিতে রয়েছেন অনিতা (Anita Anand)। পরিবহণ দফতর সামলানো ছাড়াও নানা সময় জনসেবা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কোষাগার বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনিতার জন্ম নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের কেন্টভিলে। অনিতার বাবা তামিল, নাম এসভি (অ্যান্ডি) আনন্দ। মায়ের নাম সরোজ ডি রাম। পেশায় দুজনেই ছিলেন চিকিৎসক। অনিতার দুই বোন রয়েছেন। তাঁদের নাম গীতা ও সোনিয়া।
ঈর্ষনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা
বছর সাতান্নর অনিতা (Anita Anand) অক্সফোর্ডের প্রাক্তনী। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঈর্ষনীয়। স্থানীয় কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলায় স্নাতক। এর পর, অক্সফোর্ড থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। পরে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন তিনি। রাজনীতিতে আসার আগে অধ্যাপনা করতেন অনিতা। সম্মানীয় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?
রাজনৈতিক উত্থান
২০১৯ সালে রাজনীতির জগতে পা রাখার পরে পরেই দ্রুত দলে উত্থান ঘটতে থাকে অনিতার (Anita Anand)। সেই বছর ওকভিলের সাংসদ নির্বাচিত হন পলিটিক্যাল স্টাডিজের এই ছাত্রী। সাংসদ হওয়ার পরেই ঠাঁই হয় ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়। তার জেরেই সটান চলে আসেন ট্রুডো মন্ত্রিসভায়। যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, অনিতা ছাড়াও কানাডার (Canada) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মেলাইন জলি, ক্রিস্টিয়া, ফ্রিল্যান্ড, মার্ক কার্নি, ফ্রাঙ্কেইস-ফিলিপ শ্যাম্পেন প্রমুখ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Leave a Reply