Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

Suvendu_Adhikari

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘বোমা ফাটালেন’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, প্রায় আড়াই বছর জেলে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফোনে কথা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কীভাবে ফোনে কথা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলে বসে মোবাইল ব্যবহার করছে অপরাধীরা। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জঙ্গিরা। নাশকতার ছক পরিকল্পনা হচ্ছে সেখান থেকেই। এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কারা দফতর। আধুনিক প্রযুক্তি বিশিষ্ট জ্যামার লাগানো হচ্ছে রাজ্যের জেলগুলিতে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ হেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

পার্থকে নিয়ে আর কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

সোমবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমি আগের কথা বলব না। সম্প্রতির কথা বলব। পার্থ যেদিন চান, বেলের মোরব্বা খান। যেদিন চান, খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীতে লুচি-ছোলার ডাল খেয়েছেন। তাই, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ের মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। কনভিকশন করাতে চায়। তাদের বলব সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যান। আমি বরাবরই দাবি করি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই মামলাগুলি নিয়ে যাওয়া উচিত।”

আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

জেল কাকে বলে জানেন সুদীপ-অনুব্রত!

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘রোজভ্যালির মামলা ওড়িশায় ছিল বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন জেল কাকে বলে। আজ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এরা জানেন না। জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি রাজনীতি করছেন করুন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ভাষা অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও আমরা তফাৎ দেখি। কিন্তু, এখানকার জেল থেকে যারা ফিরে আসেন যেমন জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য, তাদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন, বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। একাধিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অযোগ্যদের তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে, সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share