Pithe-Puli: পিঠে-পুলি আর পায়েসের আমেজে ওজন নিয়ন্ত্রণ কি বড় চ্যালেঞ্জ? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

Pithe_Puli_(1)

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

শীত মানেই নতুন গুড়! শীতের কুয়াশা আর বাঙালির পিঠে-পুলি (Pithe-Puli) যেন একসঙ্গে যোগ না হলে এই ঋতুর সৌন্দর্যে কিঞ্চিত ঘাটতি পড়ে। দুধপুলি থেকে পাটিসাপটা কিংবা নতুন গুড়ের পায়েসের গন্ধ! বাঙালির রান্নাঘর এই সময়ে ম ম করে! কিন্তু স্বাদের বাহারে স্বাস্থ্যের জন্য খানিকটা চিন্তা বাড়ে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের মরশুমে বাড়তি খাওয়া-দাওয়া দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে বড় চ‌্যালেঞ্জ। আর তার জেরেই বাড়ে নানান বিপদ। তবে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজরে থাকলেই ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে‌। স্বাস্থ্যের একাধিক ঝুঁকিও সহজে এড়ানো যাবে।

কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? (Pithe-Puli)

পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই নানান রকমের পুলি-পিঠে কিংবা পায়েস জাতীয় খাবার খান। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মিষ্টির পরিমাণে। এই ধরনের খাবার মিষ্টিজাতীয়। কিন্তু শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই মিষ্টি বা গুড়ের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যতটা পরিমাণ কম মিষ্টি ব্যবহার করা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে‌। আবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে‌। একাধিক পিঠে চালের গুঁড়ো দিয়েই তৈরি হয়। তাই কার্বোহাইড্রেট শরীরে পৌঁছয়। কার্বোহাইড্রেট অনেক সময়েই ওজন নিয়ন্ত্রণের কাজ কঠিন করে‌। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, দিনে একটা বা দুটো পিঠে খেলে, খাবারের তালিকা থেকে সেদিন ভাত বাদ দিতে হবে। যাতে শরীরে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট না পৌঁছয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আলু জাতীয় সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কারণ আলুতেও প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে।

কখন খাবেন, কতখানি খাবেন?

তাছাড়া, কখন কতখানি খাওয়া (Pithe-Puli) হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখাও জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সন্ধ্যায় পিঠে জাতীয় খাবার খেলে, রাতের খাবার বন্ধ করা দরকার। পিঠে চাল, নারকেল, গুড়ের মতো উপাদান দিয়েই তৈরি হয়। এই খাবার যথেষ্ট ভারী হয়। তাই সন্ধ্যায় এই ভারী খাবার খাওয়ার পরে, রাতের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আবার হজমের গোলমালের ঝুঁকিও কমবে‌।

হাঁটা জরুরি (Pithe-Puli)

খাওয়ার পরে নিয়মিত হাঁটা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ঠিকমতো শারীরিক কসরত না করা।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে বড়দিন, পৌষ পার্বণের মতো একাধিক উৎসব থাকে। মানুষ উৎসব উদযাপনে বাড়তি খাওয়া-দাওয়া করেন। কিন্তু নিয়মিত শারীরিক কসরত অনেক সময়েই বাদ পড়ে যায়। শীতে অনেকেই ক্লান্তি অনুভব করেন। আর সব মিলিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে যায়। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ভারী খাবার খাওয়ার পরে অবশ্যই হাঁটাচলা করতে হবে। পিঠে-পায়েস অত্যন্ত ভারী খাবার। তাই এই খাওয়ার পরেই অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট হাঁটাচলা করা দরকার। এতে সহজেই হজম হয়ে যাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন বাড়তি চিন্তা?

চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে (Weight control) রাখলে শরীরের একাধিক জটিল অসুখের ঝুঁকি সহজেই কমানো যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিস, যে কোনও রোগের অন্যতম কারণ দেহের অতিরিক্ত ওজন। শীতে নানান কারণে দেহের রক্তচাপ বাড়ে, হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকিও এই সময়ে বাড়ে। তাই ওজন বাড়িয়ে বাড়তি বিপদ তৈরি যেন না হয়, সে দিকে নজরদারি জরুরি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share