RG Kar: চেয়েছিলেন ফাঁসি, হল আমৃত্যু কারাবাস! উচ্চ আদালতের পথে কি তিলোত্তমার বাবা-মা?

Untitled_design(1093)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলোত্তমার ধর্ষক-খুনির আমৃত্যু কারাবাস হল। হয়নি ফাঁসির সাজা। সাজা ঘোষণার সময় চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায় তিলোত্তমার বাবা-মাকে। প্রসঙ্গত, আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে দোষী সঞ্জয়ের ফাঁসিই চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। একইসঙ্গে তাঁদের আরও দাবি ছিল, সঞ্জয়ের সঙ্গে বাকি অভিযুক্তদের ধরতে হবে। সে কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সোমবার ফাঁসির সাজা হয়নি। বিচারক সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই শাস্তি শোনার পরেই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যান নির্যাতিতার বাবা, মা। এই রায়ে যে তাঁরা খুশি নন, তাও ব্যক্ত করলেন। সেইসঙ্গে, ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়েও।

ক্ষতিপূরণ নিতে অস্বীকার (RG Kar)

শাস্তি ঘোষণার পর নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। সেই সময় নির্যাতিতার বাবা বিচারককে জানান, তাঁরা কোনওভাবেই ক্ষতিপূরণ চান না (RG Kar case)। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘ক্ষতিপূরণ চাই না। আমি মেয়ের জন্য বিচার চাইছি।’’ জবাবে বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, ‘‘আমিও মনে করি না, টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ (RG Kar) হয়। আপনি মনে করবেন না যে, টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে এমনি বলা হলে আমি দিতাম না। আপনি যে নিতে চান না, সেটাও লিখেছি। এটা নিয়ম।’’

সিবিআই ফাঁসি চেয়েছিল (RG Kar)

চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে দোষী সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এদিন বলে, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা আছে। কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে। এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। মানুষকে পরিষেবা প্রদানের জন্যই ছত্রিশ ঘণ্টা ধরে ডিউটিতে ছিলেন। মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু শুধুমাত্র তাঁর পরিবারের ক্ষতি নয়, সমাজেরও ক্ষতি।” সিবিআই বলে, “বহু মেয়ে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির জন্য লড়ে যাচ্ছে। সেখানে যদি সুরক্ষা না থাকে, তবে সমাজ ব্যবস্থা ব্যর্থ বলে পরিগণিত হবে। সমাজ তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে চাইছে। সুরক্ষা চাইছে।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা এও বলে (RG Kar Case), “কর্মস্থলেই সেবার কাজে ব্রতী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন, বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সমাজের আস্থা থাকে।” কিন্তু শাস্তি ঘোষণার সময় বিচারক এদিন জানিয়ে দেন সঞ্জয়ের অপরাধ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয়। এর পরেই বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।’’

রায় শোনার পর আদালতেই কেঁদে ফেলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। পরে, আদালতের বাইরে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আমরা ক্ষতিপূরণ নেব না। আমরা তো এ ভাবে আমাদের মেয়েকে বিক্রি করতে পারব না। তাই টাকা নিতেই পারব না। আমরা এখনও বিচার পাইনি। বিচারের প্রথম ধাপ পার করলাম মাত্র। বিচার পাওয়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিলেন বিচারক। উনি যা ভাল মনে করেছেন, তা-ই করেছেন। প্রকৃত অপরাধী শাস্তি পেলে মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’’ তাঁদের কথাতেই ইঙ্গিত, হয়ত উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারেন তাঁরা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share