Darien Gap: এ যেন নরকের দ্বার! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ পার হন ডারিয়েন গ্যাপ, কেন জানেন?

Darien Gap Migrants crossing this area with Risk Death on the Journey to the united state

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডারিয়েন গ্যাপ (Darien Gap), একে নরকের দ্বারও বলা যেতে পারে। ফি বছর প্রাণের তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ মানুষ পাড়ি জমান এই পথেই। কী কারণে বিপদসঙ্কুল, বিস্তৃত, দুর্ভেদ্য ঘন অরণ্যের মাঝ দিয়ে যেতে চান লাখ লাখ মানুষ? মূলত ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, কলম্বিয়া, ব্রাজিলের মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি থেকে উত্তর আমেরিকার অভিবাসী হওয়ার জন্য জীবন বাজি রেখে এই পথে পানামা পৌঁছতে চায়। পুরোটাই চলে বেআইনি অনুপ্রবেশ।

১০৬ কিমির বিস্তৃত এই জঙ্গল (Darien Gap)

প্রসঙ্গত, কলম্বিয়া-পানামার মাঝে বিপজ্জনক জঙ্গল হল এই ডারিয়েন গ্যাপ। এতটাই ঘন ও দুর্ভেদ্য যে বহু চেষ্টা করেও, ১০৬ কিমি এই জঙ্গল কেটে তৈরি করা সম্ভব হয়নি কোনও রাস্তা। নিস্তব্ধ, জনমানবহীন।অনেকে বলেন, উত্তর আমেরিকার আলাস্কা থেকে কোনও ব্যক্তি যদি গাড়ি চালিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা যেতে চান, তাহলে সেই যাত্রায় ছেদ টানতে হবে ডারিয়েন গ্যাপের কারণে। জঙ্গলের মধ্যে নেই যানবাহন চলার মতো কোনও রাস্তাই নেই। ভরসা একমাত্র জলপথ। এই অঞ্চলে তুরিয়া নদী ও তার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলিতে ছোট ছোট পিরাগুয়া বোট চলে। এই দুর্গম অঞ্চল পেরোতে সেগুলিই ভরসা।

মাদক পাচারকারী ও চোরাশিকারিদের ব্যাপক দৌরাত্ম্যও (Darien Gap)

জঙ্গলে কী না নেই (Darien Gap Migrants)! যেন ঠিক চাঁদের পাহাড় উপন্যাসকেই তুলে ধরেছে ড্যারিয়েন গ্যাপ। বিষাক্ত সাপ, কাঁকড়াবিছে, আগুনে পিঁপড়ে, জাগুয়ার, বন্য শূকর এবং অন্য হিংস্র জীবজন্তু ছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে মাদক পাচারকারী ও চোরাশিকারিদের ব্যাপক দৌরাত্ম্যও। এখান দিয়েই চলে মানব পাচার। প্রশাসনের সাধ্য নেই এই অঞ্চলে নজরদারি চালানোর। সঙ্গে রয়েছে তুরিয়া নদীর হড়পা বান, সামান্য বৃষ্টিতেই বনভূমি ভাসিয়ে নিয়ে যায় চোখের পলকে। ভরা বর্ষায় তো হড়পা বান রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। এত বিপদের হাতছানি সত্ত্বেও ডারিয়েন গ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে উঠেছে (Darien Gap), লাখ লাখ মানুষ পেরতে চান উন্নত জীবন পাওয়ার আশায়।

কী জানাচ্ছেন ইউনিসিফের কর্তা

ইউনিসেফের এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক টেড চাইবান জানিয়েছেন, ডারিয়েন গ্যাপ শিশুদের চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। এই কঠিন ও বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক শিশু মারাও গিয়েছে। এমনকি নারীরা এ পথে চলতে চলতে সন্তান প্রসবও করেছেন। পুরনো পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই ১ লক্ষ ১৭ হাজার অভিবাসী দীর্ঘ বিরামহীন যাত্রা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share