মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় পাকিস্তানের (Pakistan Airport) বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়েছে পাকিস্তানের কাছের বন্ধু চিনের সহায়তায়। বিমানবন্দরটি বেলুচিস্তান প্রদেশের গদরে অবস্থিত। প্রায় ২৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত বিমানবন্দরে এখনও পর্যন্ত তবে বাণিজ্যিকভাবে বিমান চলাচল শুরু হয়নি। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। কেন নির্মাণ করা হল চিনের সহায়তায় এত বড় বিমান বন্দর? কী উদ্দেশ্য রয়েছে এর পিছনে? কূটনৈতিকভাবে ভারতের উদ্বেগ বাড়াতেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিল চিন-পাকিস্তান? এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। প্রকল্পটি চিন-পাকিস্তান সিপিইসি (চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্প)-র অধীনে নির্মিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উদ্বোধনের দিনে করাচি থেকে উড়ে যায় প্রথম বিমান
এদিকে, এই নতুন গদর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Pakistan Airport) মাধ্যমেই পাকিস্তান ও চিনের সংযোগ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গদর পাকিস্তানের একটি বন্দর শহর। যার মাধ্যমে চিন ওমান উপসাগর এবং আরব সাগরে যাতায়াত আরও ভালোভাবে বাড়াতে পারবে। চিনা মিডিয়া গ্রুপ এবিষয়ে জানিয়েছে, গতমাসে উদ্বোধনের দিন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইট PIA503 করাচি থেকে ১১ টা ১৪ মিনিটে গদর বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। যেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি আধিকারিক যাত্রীদের স্বাগত জানান এবং অবতরণের সময় প্রথম ফ্লাইটটিকে ওয়াটার স্যালুটও দেওয়া হয়।
অত্যাধুনিক বিমানবন্দর (Pakistan Airport)
চিনা (China) সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, এই বিমানবন্দরটিতে 4F গ্রেডের অত্যাধুনিক সুবিধা রয়েছে। একইসঙ্গে ওই বিমানবন্দরটিতে বড় যাত্রীবাহী বিমান পরিচালনা করার জন্য ডিজাইনও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বেই অবস্থান কছ রয়েছে গদর বন্দর। ইরানের এই চাবাহার বন্দর পরিচালনা করে ভারত। এই বন্দরে অনেককিছু বিনিয়োগও করা হয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের এই নয়া বিমানবন্দর নির্মাণের ফলে, ওই অঞ্চলে ভারতীয় কোম্পানিগুলির জন্য কড়া প্রতিযোগিতা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে এখনও বাণিজ্যিকভাবে বিমান (Pakistan Airport) চলাচল শুরু না হওয়ায় সন্দেহ দানা বাঁধছে এই বিমান বন্দর তৈরির আসল কারণ নিয়ে।
Leave a Reply