মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি চাকরি হারাদের ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার আরও একবার হাইকোর্টের তোপের মুখে। চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদের সময়সীমাকে আরও একবার বৃদ্ধি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিন্হা নির্দেশ দেন, চাকরি হারাদের আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি সময় পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনও রকম ভাতা দিতে পারবে না । কোর্টের স্পষ্ট মত, যেখানে দেশের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দুর্নীতির (SSC scam) কারণে চাকরি বাতিল হয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকার ভাতা দেবে কোন যুক্তিতে।
অযোগ্য প্রার্থীদের অধিকাংশ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ (Calcutta High Court)!
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। টাকার বিনিময়ে রাজ্য সরকার চাকরি বিক্রি করেছিল— এই মর্মে ১৮০০ জনের বেশি অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ চাকরি প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতা-মন্ত্রীর সমর্থক বা ঘনিষ্ঠ। চাকারি হারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা সরকার গ্রুপ সি কর্মীদের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। আর এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রথমে চলতি মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষের আগেই পুনরায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেন বিচারপতি সিন্হা।
ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে?
রাজ্য সরকারের দেওয়া ভাতার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রথম থেকেই কোর্টের (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, টাকার বিনিময়ে পেছনের দরজার দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তারা আর যাই হোক যোগ্য নয়। সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি এবং অযোগ্যদের কীভাবে সরকার পক্ষ ভাতা দেওয়ার নৈতিক অধিকার রাখতে পারে। অযোগ্যদের ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে? তবে রাজ্যের অবশ্য বক্তব্য ছিল চাকরিহারাদের সাময়িক আর্থিক সাহায্য প্রদান করতেই ভাতার ভাবনা। তবে এই বিষয়ে রাজনীতির একাংশের মত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনরকম আলোচনা ছাড়া এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। সেইসঙ্গে ওয়াকিবহাল মহলের মত, সরকার কীভাবে দাগিদের ভাতা দিতে পারে! এই ভাবনাটাই সম্পূর্ণ ভাবে দুর্নীতিকে (SSC scam) উৎসাহী করবে।
Leave a Reply