Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

https://dtuxpyit8mln9.cloudfront.net/wp-content/uploads/2025/09/24174039/1e577bea5c31e4ae7ce7f73171c5de601758637036285394_original.avif

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের সূচনার পরেপরেই প্রবল বর্ষণে (Rain in Kolkata) জমা জলে নাজেহাল কলকাতা শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকা। ইতিমধ্যে শহরে ১০ জনের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত দুদিন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। বিপর্যয় উত্তরণে বেসামাল হয়ে আগেভাগেই সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এত বড় দুর্যোগ আসতে চলেছে এমন ইঙ্গিত তো আগে থেকেই আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল! প্রস্তুতি বা সুরক্ষার ব্যাপার ভেবে কেন নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা? কলকাতায় জলজমার জন্য ফরাক্কা-ডিভিসিকে দায়ী করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার মিথ্যাচারকে একযোগে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু-সুকান্ত (Suvendu Adhikari)। মমতার দাবিকে খারিজ করেছে ডিভিসিও। তারাও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, “ফরাক্কার জল কলকাতায় যায় না।” পুজোর মুখে চরম দুর্ভোগে কলকাতাবাসী, আর তাতেই চরম চাপে তৃণমূল কংগ্রেস।

ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার (Rain in Kolkata)

বৃষ্টির জল জমে কার্যত অবরুদ্ধ গোটা কলকাতা শহর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেন, “রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে। তিনি এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টিকে (Rain in Kolkata) হঠাৎ ও আকস্মিক বলে চালানোর চেষ্টা করে আসল সত্যকে চেপে দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করলেন। আসলে তিনি এবং তার সরকার প্রশাসনিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন।”

সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন

কলকাতার মেয়র ববি হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আবহাওয়া দফতর (IMD) আগেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন হবার অনেক আগেই রাজ্য সরকার এই সতর্কবার্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। মানুষ জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন আর শহরের জলমগ্ন রাস্তায় তাদের প্রাণহীন দেহ ভাসছে এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যও রাজ্যবাসীকে দেখতে হচ্ছে কারণ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন। আগাম সতর্কতা পেয়েও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। শুধুমাত্র প্রশাসনিক অবহেলা ও অব্যবস্থার কারণে এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেলো। আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতে মাননীয়া ঈশ্বরের দোহাই দিচ্ছেন।”

পুজোর আগে এতোগুলি মৃত্যু

জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সিইএসসি এবং সঞ্জীব গয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছেন। সম্পূর্ণ বিষয়ের উপর নজর রাখছেন তিনি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পাল্টা সুকান্ত মজুমদার, মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “পুজোর আগে এতোগুলি পরিবার নিজেদের পরিজনদের হারালেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসি এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কার উপর যে দায় চাপিয়ে দিয়েছেন তা ঠিক নয়। দায় এড়িয়ে অন্যের অপর দায় চাপানো ঠিক নয়। দেশের কোনও মেট্রোপলিটন শহরে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে না । সম্প্রতি বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদে জল জমে ছিল কিন্তু বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে কোনও মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। কলকাতায় বারবার এমন ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার! সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কাদের সম্পর্ক রয়েছে? ভোটের সময় কারা টাকা নিয়েছে সবাই জানে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

ডিভিসির অজুহাত মমতার

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতাকে ঢাকতে সামাজিক মাধ্যমে ডিভিসির ওপর দায় ঠেলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আকস্মিক দুর্যোগের (Rain in Kolkata) আক্রমণে বিপর্যয়ে কলকাতা শহরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। ডিভিসির একতরফা জল ছাড়ায় রাজ্য এমনিতেই প্লাবিত ছিল, নদী, খাল সব টইটুম্বুর ছিল। ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের প্রচুর জল, যেখানে ড্রেজিং না হওয়ায় সমস্যা তো ছিলই। তার ওপরে এলো জল।” পাল্টা ডিভিসির সাফ কথা, “ডিভিসির জল কলকাতায় যায় না। আমতা হয়ে গঙ্গায় মিশে যায়, কলকাতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share