মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় হয়েছে প্রতারণাচক্র। প্রতারকরা নিত্যনতুন কৌশল প্রয়োগ করে প্রতারণার (Fraud) ছক কষে। এবার ওটিপি কেনাবেচার একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি বিক্রির অবৈধ চক্র চালানোর অভিযোগে মূল পাণ্ডাকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওই চক্রের জাল পাকিস্তান এবং চিনে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ থেকেই এই চক্রের হদিশ মেলে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কীভাবে প্রতারণার ছক? (Fraud)
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাধারণত প্রতারকরা সিম ক্লোন করে ওটিপি সংগ্রহ করে। ধরা যাক একটি ফোন নম্বরের সিম ক্লোন করা হল, তারপর থেকে ওটিপি যাবে ওই ভুয়ো নম্বরে। ফলে, সহজেই গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। একদল লোক সিম ক্লোন করার কাজে যুক্ত থাকে, আবার আর একদল ওটিপি বিক্রি করে বলে জানা যায়। মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশে তথ্য পাচার করে দেওয়া হত। প্রতারকরা বিদেশে কী কী তথ্য পাচার করেছে তা জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
পাকিস্তান-চিন যোগ!
দু সপ্তাহ আগে মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওটিপি কেনাবেচার অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নকল সিম কার্ড বানিয়ে ওটিপি তৈরি করা হয়, তারপর ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ধৃতদের জেরা করার পর পুলিশ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা গৌরব শর্মার নাম পুলিশ জানতে পারে। জানা যায়, ওটিপি কেনাবেচার আন্তর্জাতিক প্রতারণা (Fraud) চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৌরব শর্মার। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা থেকে ওটিপি সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফোন নম্বর সহ ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। টাকার লেনদেন হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের লোকজনের লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours