মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ অপেক্ষার। রূপায়ণ হতে চলেছে ইরানের চাবাহার বন্দর চুক্তি (Chabahar Port Contract)। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলছিল। শেষমেশ রাজি হয়েছে তেহরান (ইরানের রাজধানী)। বর্তমানে ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এই পর্ব চুকে গেলেই স্বাক্ষরিত হবে চাবাহার বন্দর চুক্তি।
চিনকে চাপে রাখার কৌশল! (Chabahar Port Contract)
ভারতকে চাপে রাখতে বিভিন্ন দেশের বন্দরের দখল নিচ্ছে চিন। এর পরেই ভারতও উদ্যোগী হয় বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নিতে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের একটি বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। ভারত-ইরান চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে চাবাহার বন্দরের রশিও চলে আসবে নয়াদিল্লির হাতে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনের পর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইরানের ওই বন্দর পরিদর্শনে যাবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি ওই দল যেতে পারে চাবাহার (Chabahar Port Contract) দর্শনে। চাবাহার বন্দর চুক্তির জল যে অনেক দূর গড়িয়েছে, তা জানিয়েছে ইরানও। ইরানিয়ান দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, “চুক্তি শেষ পর্যায়ে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল কবে ইরান সফরে যান, আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। এই চুক্তির ফলে উভয় তরফই লাভবান হবে।”
কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী?
চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব যে খুব কম নয়, সে ইঙ্গিত মিলেছিল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়। ২০১৮ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রওহানি। তাঁর সেই সফরে ভারতের সঙ্গে ইরানের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “চাবাহার বন্দর তৈরি হওয়ার পর আফগানিস্তানের মতো স্থলবেষ্টিত একটি দেশের সামনে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ এসে গেল।”
আরও পড়ুুন: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই
প্রসঙ্গত, শত্রুদেশ পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ট্রানজিট রুট গড়ে তুলতে চাইছে ভারত। সেই কারণেই চাবাহার বন্দরের রাশ হাতে নিতে চাইছে নয়াদিল্লি। এই সমুদ্রবন্দরটি বাড়ানো হচ্ছে সাড়ে ৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের গ্বদরে চিনের অর্থ সাহায্যে যে সমুদ্রবন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখান থেকে চাবাহার বন্দরের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। ভূকৌশলগতভাবে চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব ভারতের কাছে অপরিসীম। ’২২ সালের বাজেটে তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই বন্দরের উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ করেছিলেন ১০০ কোটি টাকা (Chabahar Port Contract)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours