মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর ডায়ালিসিস চলছে। বিকল হয়ে গিয়েছে দুটি কিডনিই। পরিবারের লোকজন যখন বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন, তখন ভগবানের দূত রূপে হাজির দিল্লি এইমসের (AIIMS) চিকিৎসকরা। ডায়ালিসিস চলাকালীনই ওই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হল দুটি কিডনিই।
এইমসের সাফল্য (AIIMS)
এইমসের সার্জিক্যাল ডিসিপ্লিনের চিকিৎসক এবং নেফ্রোলজি ডিপার্টমেন্টের যৌথ প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে অস্ত্রোপচার। এঁদের সঙ্গে কোলাবরেশন ছিল অর্গান রিট্রিভাল ব্যাঙ্কিং অর্গানাইজেশনের। কিডনিদাতা ৭৮ বছরের এক মহিলা। ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে এইমসের ট্রমা সেন্টারে মাথায় একাধিক আঘাত নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। পরে তাঁর ব্রেন ডেথ হয়। হাসপাতালের (AIIMS) সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আসুরি কৃষ্ণ বলেন, “ওই বৃদ্ধার পরিবার অঙ্গদানের বিষয়ে সম্মতি দেন।” তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জ ছিল দাতার বয়স। তাঁর একটি কিডনি ডায়ালিসিস চলা কোনও একজন রোগীর শরীরে যথেষ্ট নয়। তাই সিদ্ধান্ত হয়, ওঁর দুটি কিডনিই প্রতিস্থাপন করা হবে একজন রোগীর শরীরে। যাঁর শরীরে কিডনি দুটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তাঁর বয়স ৫১। তাঁর জরুরি ভিত্তিতে একটা কিডনির প্রয়োজন ছিল। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচার হয়। রোগীর উন্নতি হওয়ায় এতদিন পরে আমরা বিষয়টি জানাচ্ছি সংবাদ মাধ্যমে।”
কী বলছেন চিকিৎসক?
তিনি জানান, ওই রোগীর শরীরের ডান দিকেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে দুটি কিডনি, একটির ওপর আর একটি। অস্ত্রোপচারটি যে খুবই জটিল ছিল, তাও জানান তিনি। বলেন, “একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যেই দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে। সচরাচর একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এক্ষেত্রে করা হয়েছে দুটি, তাও আবার একই জায়গায়। অস্ত্রোপচারের পর রোগীর দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। তাঁর দুটি কিডনিই ঠিকঠাক কাজ করছে।”
আরও পড়ুুন: 'কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই', অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর
আসুরি কৃষ্ণ বলেন, “নির্দিষ্ট সম্পদ ব্যবহার করে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে। দেশে অঙ্গের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, বয়স্ক কোনও দাতার কাছ থেকে সেগুলি পাওয়া গেলে সমস্যা অনেকটাই মেটে। অথচ ওই অঙ্গগুলি ব্রেন ডেথ হওয়া রোগীর শরীরে থাকলে নষ্ট হয়ে যেত।” জানা গিয়েছে, অপারেশনের তিন সপ্তাহের মধ্যেই ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার পর থেকে তাঁর ওপর নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে (AIIMS)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours