Author: ishika-banerjee

  • India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও মজবুত হতে চলেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক (India-US Relation)। আগামী মাসেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার এই কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার নানা বিষয় নিয়ে ফোনে কথা হয় মোদি-ট্রাম্পের। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের বিষয়টি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ভারতের উপরে আস্থা রেখে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, ‘বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যেটা ঠিক, ভারত সেটাই করবে।’ জানা গিয়েছে, বিশ্ব শান্তির পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিশেষত ভারত-আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এবং চিনের দাপট রুখতে কোয়াড জোটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

     

    ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সফরে মোদি

    সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প (Trump Talks With Modi) শুধু বলেছেন যে ‘ফেব্রুয়ারির কোনও একটা সময় আমেরিকায় আসবেন মোদি।’ তবে ঠিক কবে আমেরিকায় যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কতদিন থাকবেন, সফরসূচিতে কী কী থাকবে, সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিছু জানাননি। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প ৷ শপথ নেওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি ৷ তবে সোমবার দু’জনের মধ্যে প্রথমবার ফোনে কথা হয় ৷ তারপরই মোদির আমেরিকা সফরের কথা বলেন ট্রাম্প। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।

     

    ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপ

    দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট (India-US Relation) হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথমবার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁদের এই ফোনালাপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং ভারত-মার্কিন সহযোগিতার পথ আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে৷ আমেরিকার অভিবাসীদের মধ্যে একটা বড় অংশ ভারতীয় জনতা। সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “অভিবাসন নিয়ে কথা হয়েছে মোদির সঙ্গে। অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে ভারত সঠিক পদক্ষেপই করবে।”

     

    বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত

    ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের (Trump Talks With Modi) পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’ ট্রাম্প ও মোদির ফোনালাপ সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপ ফলপ্রসূ হয়েছে । দুই রাষ্ট্রনেতা পারস্পরিক সহযোগিতা গভীর ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকায় তৈরি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয় বৃদ্ধির জন্য দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্ব দিয়েছেন ’’

     

    বেআইনি অভিবাসন

    নতুন করে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই আমেরিকা থেকে বেআইনি অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির (India-US Relation) তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে উপযুক্ত নথি দেওয়া হলে বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আমরা বেআইনি অভিবাসনের বিরোধী। কারণ সেই বিষয়টা বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরও বলেছেন, “শুধুমাত্র আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যদি ভারতীয়রা নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি থাকেন বা উপযুক্ত নথি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে থাকেন, তাহলে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। আমাদের সঙ্গে উপযুক্ত নথি ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করে নিতে পারি এবং নিশ্চিত হতে পারি যে তাঁরা সত্যিই ভারতীয়। যদি সেটাই বিষয় হয়, তাহলে আমরা পুরো বিষয়টা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং তাঁদের ভারতে ফেরানোর কাজটা প্রশস্ত করব।”

     

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের গুরুত্ব

    কূটনৈতিক মহলের মতে, বেআইনি অভিবাসীদের ফেরানোর মতো ‘ছোট’ ব্যাপারে ট্রাম্পের মন জিতে নিয়ে ‘বড়’ কাজের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি (India-US Relation)। যে তালিকায় এইচ-১বি ভিসা, বাণিজ্যের মতো বিষয় থাকতে পারে। মোদি এবং ট্রাম্প উভয়ই ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াড অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন ৷ চলতি বছরের শেষের দিকে প্রথমবার ভারতে হবে কোয়াড বৈঠক৷ অনেক দেশের মতোই অভিবাসন এবং শুল্কের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগে রয়েছে ভারত৷ ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন ৷ ৯ সদস্যভুক্ত ব্রিকসে ভারতও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আসন্ন মোদি-ট্রাম্প বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ৷

  • Waqf Amendment Bill: পাশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ১৪টি নিয়মের সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত জেপিসি-র

    Waqf Amendment Bill: পাশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ১৪টি নিয়মের সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত জেপিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ নিয়মের (Waqf Amendment Bill) সংশোধনে সবুজ সঙ্কেত দিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। জেপিসি-তে পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ সংশোধনী বিলের খসড়া। এই খসড়া বিলে কেন্দ্রের তরফে আনা ১৪টি সংশোধনীই গৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের পেশ করা সবকটি সংশোধনী ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে যায়।

     

    সংসদে কবে আসছে ওয়াকফ বিল

    আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। আসন্ন অধিবেশনের প্রথম পর্বেই সংসদে এই বিলটি (Waqf Amendment Bill) আনতে পারে সরকার। গত বছরের ২৯ নভেম্বরই এই খসড়া বিল জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরে কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধের শেষদিন পর্যন্ত করা হয়। সূত্রের খবর, ওয়াকফ বিলে বিরোধীরা যে সংশোধন করতে বলেছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। জেপিসি-র এই খসড়া রিপোর্ট ২৮ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে ও ২৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে। এরপর নিয়মাফিক সংসদের দুই কক্ষে পেশ করা হবে বিল। পাশ হওয়ার পর, রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলেই বদলে যাবে ওয়াকফ আইন। নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’।

     

    ওয়াকফ সম্পত্তির চরিত্র বদল নয়

    যে-সব সম্পত্তি ওয়াকফ না হওয়া সত্ত্বেও ওয়াকফের (Waqf Amendment Bill) মর্যাদা পেয়ে আসছিল, সেগুলির পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছিল সংসদে পেশ হওয়া বিলে। বিলের সেই ধারা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সংশোধনী আনেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি সংশোধনীতে বলেন, যেগুলি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার চরিত্র বদলের চেষ্টা না করে বরং বিল পাশের পরে ভবিষ্যতে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি-না তা ভালো করে খতিয়ে দেখা হোক। নিশিকান্তের আনা ওই সংশোধনীটি আজ পাশ হয়। এর ফলে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত বা ব্যবহার করা হচ্ছে এমন কোনও সম্পত্তির চরিত্র পরিবর্তন হওয়ার আশু কোনও বিপদ থাকছে না।

     

    প্রক্রিয়া মেনেই বিল পাশ

    বিজেপি সাংসদ তথা যুগ্ম সংসদীয় কমিটির প্রধান জগদম্বিকা পাল বলেন, “ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill) আইনের ৪৪টি ধারা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ৬ মাস ধরে আলোচনার পর চূড়ান্ত বৈঠকে ১৪টি সংশোধন গ্রহণ করা হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে। বিরোধীরাও সংশোধনের সুপারিশ করেছিল। প্রতিটি প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা ও ভোটাভুটি হয়েছে। তাদের প্রস্তাবের পক্ষে ১০টি ভোট পড়েছে, বিরোধিতায় ১৬টি ভোট পড়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এই কমিটির বৈঠক নিয়ে বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে শাসক পক্ষের বিরোধ চরমে ওঠে।

     

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল কী

    ১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন পাশ হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনে সংশোধনী (Waqf Amendment Bill) এনে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বার বার প্রশ্ন উঠেছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। বর্তমানে ওয়াকফ আইনের ধারা ৪০ অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মালম্বী ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সংশোধনের মূল লক্ষ্য হল একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

     

    কী কী সংশোধনের প্রস্তাব ওয়াকফ বিলে?

    নতুন আইনে ওয়াকফ কাউন্সিল যেকোনও জমিতে দাবি জানাতে পারবে না বলা হয়েছিল।
    কমপক্ষে ৫ বছর ইসলাম ধর্ম পালনের পরই ওয়াকফে সম্পত্তি দান করা যাবে।
    ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য ও অন্তত দুইজন মহিলা সদস্য যোগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
    কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তিনজন সাংসদ, দুইজন প্রাক্তন বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক সদস্য যোগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
    মূলত সম্পত্তিতে মুসলিম মহিলা ও শিশুদের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই ওয়াকফ আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

  • Jyothi Yarraji: জাতীয় রেকর্ড জ্যোতির, ফ্রান্সের মাটিতে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা ভারতের মেয়ের

    Jyothi Yarraji: জাতীয় রেকর্ড জ্যোতির, ফ্রান্সের মাটিতে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা ভারতের মেয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের রেকর্ড ভেঙে ৬০ মিটার হার্ডলে নতুন রেকর্ড গড়লেন জ্যোতি ইয়ারাজ্জি। ইউরোপের প্রতিযগিতায় সোনাও জিতে নিলেন এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ভারতের এই অ্যাথলিট। ফ্রান্সে নন্ত শহরে আয়োজিত এলিট ইন্ডোর মিটে মাত্র ৮.০৪ সেকেন্ড সময়ে ৬০ মিটার হার্ডল অতিক্রম করেছেন। ২৫ বছরের তরুণী অ্য়াথলিট এর আগে ৬০ মিটার হার্ডল অতিক্রম করার ক্ষেত্রে ৮.১২ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন।

     

    জ্যোতির রেকর্ড

    আগামী মার্চ মাসে চিনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। সেখানে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ৭.৯৪ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে হার্ডল পূরণ করতে হবে। জ্যোতি সম্প্রতি কিছুদিন আগেই অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ইরানের তেহরানে ৮.১২ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে গত বছর এশিয়ান ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটার হার্ডলে সোনা জিতেছিলেন জ্যোতি। জাতীয় আউটডোর ১০০ মিটার হার্ডলেও ১২.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড ধরে রেখেছেন জ্যোতি। ১০০ মিটার হার্ডলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ও ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে ১২.৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপো জিতেছিলেন।

     

    জ্যোতির লক্ষ্য

    ১৯৯৯ সালের ২৮ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেন জ্যোতি ইয়ারাজ্জি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে বেড়ে ওঠা তাঁর। তাঁর বাবা সূর্যনারায়ণ ইয়ারাজ্জি একজন নিরাপত্তারক্ষী। আর তাঁর মা পোশায় একজন সাফাইকর্মী। বাবা মা শখ করে মেয়ের নাম রাখেন ‘জ্যোতি’। নিজের নামকে যথার্থ করে তুলেছেন জ্যোতি। ছোট থেকেই বেশ লম্বা তিনি। তাই স্কুল শিক্ষকের কথা শুনে হার্ডলস রেসিং শিখতে শুরু করেন। এখন তিনি ভারতের গর্ব। জ্যোতির এই সাফল্য ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার ফর্ম ও ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য এনে দেবে। তবে, জ্যোতির আশু লক্ষ্য ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল ফল করা।

  • Ratanti Kali Puja 2025: অমাবস্যা নয়, চতুর্দশীতে হয় দেবীর আরাধনা! জানুন রটন্তী কালী পুজোর মাহাত্ম্য

    Ratanti Kali Puja 2025: অমাবস্যা নয়, চতুর্দশীতে হয় দেবীর আরাধনা! জানুন রটন্তী কালী পুজোর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমাবস্যা তিথির একদিন আগে মাঘ মাসের চতুর্দশী তিথিতে রটন্তী কালী পুজো হয়। অন্যান্য কালী পুজো অমাবস্যা বা পঞ্চদশী তিথিতে হলেও একমাত্র এই কালীপুজোই চতুর্দশী তিথিতে হয়ে থাকে। আসলে এই কালীপুজো রটনা থেকে শুরু হয়েছিল সেই জন্য এর নাম রটন্তী কালীপুজো। এই কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশেষ কাহিনি। দক্ষিণেশ্বর ও তারাপীঠে মহা সমারোহে এই পুজোর আয়োজন করা হয়।

     

    রটন্তী কালী পুজোর কাহিনী

    রটন্তী কালীর নামে রটন্তী শব্দটি এসেছে ‘রটনা’ শব্দ থেকে। যার অর্থ কোনওকিছু রটে যাওয়া বা প্রচারিত হওয়া। কথিত আছে, এই দিনেই মা দুর্গার উগ্রকেশী করাল রূপ মা কালীর দেবী মাহাত্ম্য ত্রিলোকজুড়ে রটে গিয়েছিল। তবে রটনার নেপথ্যে আরও একটি তত্ত্ব খাড়া করা হয়। সেই তত্ত্বের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন মহাভারতের অন্যতম নায়ক দেবকীপুত্র শ্রীকৃষ্ণ। শোনা যায় মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে রাত ছিল অন্ধকার ঘুটঘুটে, কৃষ্ণের বাঁশি শুনে শ্রীরাধা নিজের মন এর ডাককে উপেক্ষা করতে পারেননি, তিনি যান কৃষ্ণর সঙ্গে দেখা করতে। তখন তিনি ছিলেন আয়ান ঘোষের স্ত্রী। রাধার পিছনে ধাওয়া করেন তাঁর দুই ননদ জটিলা-কুটিলা। তাঁরা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে শ্রীরাধাকে মিলিত হওয়ার দৃশ্য চাক্ষুষ করে অয়ন ঘোষকে বলেন সে কথা। আয়ান ঘোষ সে কথা বিশ্বাস না করাতে তাঁরা জোর করে আয়ান ঘোষকে কুঞ্জবনে নিয়ে যান। শ্রীরাধা ভীত হয়ে উঠলে তখন অভয় দেয় স্বয়ং কৃষ্ণ। আয়ান ঘোষ ছিলেন মা কালীর উপাসক, তিনি দেখেন তার আরাধ্যা দেবী মা কালী গাছের তলায় বসে আছেন, শ্রী রাধিকা তাঁর চরণ কমল নিয়ে সেবা করছে। এদিকে দেবী কালীর দর্শন পেয়ে আপ্লুত হয়ে যান আয়ান ঘোষ। চারিদিকে ছড়িয়ে দেন এই বার্তা, রটে গেল তিনি কালীর দর্শন পেয়েছেন। কৃষ্ণ কালীর ভেদাভেদ এইভাবে মুছে গেল। আর সেদিন থেকেই মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে শুরু হল বিশেষভাবে কালীপুজোর প্রচলন যা রটন্তী কালী পুজো নামে পরিচিত।

     

    শ্রীরাধাই আদ্যাশক্তি!

    অপর এক প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী কৃষ্ণের প্রেমে মত্ত ছিলেন রাধা। এক দুপুরে কৃষ্ণের বাঁশির সুর শুনে গোপীনিরা সে দিকে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন সামনেই কালীর মূর্তি। সেদিন গোপীনিরা বুঝতে পারেন যে, শ্রীরাধাই আসলে আদ্যাশক্তি। তার পর থেকে কালীর মাহাত্ম্য প্রচারিত হয়। এই দিন উপলক্ষেই এই বিশেষ তিথিতে প্রতি বছর রটন্তী কালী পুজোর আয়োজন করা হয়।

     

    ছিন্নমস্তার কাহিনী

    রটন্তী কালীর পুজোয় পাওয়া যায় তন্ত্রের অনুষঙ্গও। তন্ত্রশাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে দশমহাবিদ্যার কথা। দশমহাবিদ্যার অন্যতম ভয়াল দেবী হলেন ছিন্নমস্তা। লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, এই তিথিতেই দেবী ছিন্নমস্তার আবির্ভাব হয়েছিল। দেবী পার্বতী তাঁর সহচরীদের খিদে মেটানোর জন্য এই তিথিতেই স্বমুণ্ড ছেদ করেন। ছেদিত অংশ থেকে বেরিয়ে আসা তীব্র রক্তস্রোত তিনটি ধারায় উৎসারিত হয়েছিল।

     

    এই বছর কখন পুজো

    চলতি বছর চতুর্দশী তিথি ২৭ জানুয়ারি রাত্রি ৭টা ৪৪ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এবং এই তিথি শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি ৭টা ৩১ মিনিটে। তার পরই মৌনী অমাবস্যা তিথি শুরু হবে। রটন্তী কালী পুজো পড়েছে ২৮ জানুয়ারি। স্মার্ত মতে – মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে শুরু, সন্ধে ৬টা ৫৩ মিনিটে শেষ। তন্ত্র মতে – আজ ২৭ তারিখ, সোমবার সন্ধ্যে ৭টা ৪৪ মিনিটে পুজো শুরু। সারা রাত চলবে রটন্তী কালীর আরাধনা।

     

    রটন্তী কালী পুজোর মাহাত্ম্য

    রটন্তী কালী পুজো করলে দাম্পত্য সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অযথা কলহ জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে না। অনেকেই মায়ের কাছে বিভিন্ন মনোবাসনা নিয়ে হাজির হন এদিন। আবার প্রেম সম্পর্কে ভেঙে গেলে বা ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পাওয়ার জন্যও এই তিথিতে কালী পুজো করা যায়। এ ছাড়াও গভীর রোগে গ্রস্ত থাকলে কালীর চরণে সাদা আবির নিবেদন করুন। মনে করা হয় কালীর আশীর্বাদে শীঘ্র স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটবে। উল্লেখ্য, শুক্রবার এই উপায় করলে বিশেষ লাভ হবে।

     

    দক্ষিণেশ্বরে বিশেষ পুজো

    দক্ষিণেশ্বরে বিশেষভাবে এদিন পূজিতা হন মা কালী। ফলহারিণী পুজো ও দীপাবলির অমাবস্যার পুজো ছাড়া এদিনটিতে দক্ষিণেশ্বরে বিশেষ পুজো হয় ভবতারিণীর। দক্ষিণেশ্বরে বিশেষ ভাবে রটন্তী কালীপুজোর প্রচলন শ্রীরামকৃষ্ণের এক বিশেষ দর্শনের পর থেকে। ঠাকুর বলেছিলেন, এদিন ভোরে তিনি একবার দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় এক অদ্ভুতদৃশ্য দেখেছিলেন। তিনি দেখে ছিলেন , দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় স্বর্গ থেকে দেবতারা নেমে এসে স্নান করছেন। এই দিন মন্দিরে বহু ভক্তের সমাগম হবে। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন ভবতারিণী দর্শনে। সন্ধেয় হয় গঙ্গা আরতি। প্রতিবারের মতো এবারও মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে রীতি মেনে রটন্তী কালীপুজো হবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। পুজো উপলক্ষে শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় দক্ষিণেশ্বরে। তারাপীঠে পুজো উপলক্ষ্যে এই দিন তারা মা-কে বিশেষ সাজে সাজানো হয়। দুপুরে দেওয়া হয় ভোগ। সন্ধ্যা আরতির পর মাকে রটন্তী কালী রূপে সাজানো হয়। অনেকেই এইদিনকে ভোরবেলা গঙ্গাস্নান করে মায়ের পুজো দিয়ে নিজের সামর্থ্য অনুসারে গরীব দুঃখীকে দান করে থাকেন। এই পবিত্র তিথিতে মায়ের আরাধনায় সকল দুঃখ কষ্ট দূর হয় বলে বিশ্বাস।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ইউনূসের বাংলাদেশ। গতকালই একটি তালিকা প্রকাশ করে বিশ্বের একাধিক দেশে যে ত্রাণ পাঠিয়ে থাকে আমেরিকা, তা বন্ধের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সদ্য় নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই তালিকায় নাম বাংলাদেশেরও। আমেরিকার থেকে আগামী ৯০ দিনের জন্য আর কোনও রকম সাহায্য পাবে না ইউনূসের সরকার। ফলে আমেরিকার টাকায় যেসব কাজ বাংলাদেশে চলছিল তা বন্ধ হতে বসেছে।

     

    সাহায্য বন্ধ কোন কোন খাতে

    মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির (USAID) অর্থায়নে বাংলাদেশে সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউএসএআইডির বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড বিষয় অ্যারন গত শনিবার সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনের জন্য এ নির্দেশনামা জারি করে চিঠি দেন। এতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির আওতাধীন সকল প্রকল্প ও কর্মসূচির মার্কিন অংশের ব্যয় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

     

    টালমাটাল বাংলাদেশ

    ইতিমধ্যেই ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশে তাদের সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যার হাত ধরে আপাতত আর্থিক অনুদান ও ত্রাণবিলি ছাড়াও বাংলাদেশে আমেরিকার উন্নয়নমূলক সকল কাজে বাধ পড়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, গত বছর পালাবদলের পর দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিকে সামাল দিতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলির কাছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের আবেদন করেছিল ইউনূসের সরকার। যার মধ্যে ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের থেকে নিয়েছিল তারা। যা বাংলাদেশকে চারটি কিস্তিতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত আইএমএফ-এর চতুর্থ ও শেষ কিস্তির টাকা পায়নি ইউনূস সরকার। তার মধ্যে আবার হাত তুলে নিল আমেরিকা।

     

    আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্কে টান

    গত বছর, বাংলাদেশ- আমেরিকার সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ‘ফরেইন অ্যাসিস্ট্যান্স ডট গভ’ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালের ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, ওই সাহায্য বন্ধ হওয়ার পর এবার স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ।

     

    ট্রাম্প সরকার আসতেই চাপে ঢাকা

    অতীতে বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য কথা বলেছিল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। মনে করা হচ্ছিল, মার্কিন নির্বাচনে জিতেই বাংলাদেশ সফরে আসবেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেডিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও নির্বাচনে উল্টে ফল হতেই আশঙ্কা বাড়ছিল বাংলাদেশে। কারণ, মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশে সব ধরনের আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করলেন তিনি। এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ইউক্রেন (Ukraine) ছাড়াও অনেক দেশে আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন , আগামী ৯০ দিন কোনও দেশকে আর্থিক সাহায্য় দেবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা থেকে বিদেশে যে আর্থিক সাহায্য যাচ্ছে, তা তাঁর নীতি অনুসারে হচ্ছে কি না তা আগে দেখে নেবেন তিনি। একবার ছাড়পত্র পেলে তবেই ছাড়া হবে ফান্ড।

  • POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি শত্রুর দখলে যাওয়া নিজ জমি পুনর্দখল করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। তাহলে কি অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মোদি সরকার? প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইঙ্গিত তেমনই, মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (POK) সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও  (Rajnath Singh) পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সওয়াল করলেন।

     

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ইতিহাস

    ভারত ক্রমাগত স্পষ্ট করছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ একীকরণ, যেটা দেশ ভাগের সময়কার মতো ছিল, তা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে হওয়া উচিত। একত্রীভূত জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি বৃহৎ রাজ্য, যার আয়তন ছিল প্রায় ২,১৮,৭৭৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু, তবে কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। রাজ্যের সীমান্তে আরও নানা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠী ছিল, যার মধ্যে ছিল লাদাখের বৌদ্ধরা, গিলগিট-বালতিস্তানের শিয়া ও ইসমাইলি মুসলিমরা।

     

    ভারতের সঙ্গে চুক্তি হরি সিংয়ের

    কাশ্মীরের ভারতের সঙ্গে যুক্তির ইতিহাসও অনেক পরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার পর, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীরকে (POK) তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং এর পরপরই পাকিস্তানী সেনারা কাশ্মীরে আক্রমণ শুরু করে। ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনা এবং ট্রিবাল বাহিনী কাশ্মীরের বন্দরমুল্লা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আক্রমণের ফলে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, এবং ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’ স্বাক্ষর করেন। এরপর ভারতীয় সেনা ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরে এসে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল, ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি প্রস্তাবের পর, কাশ্মীরের সীমান্তে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। এর ফলে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশ হারায়, বিশেষ করে পাকিস্তান-অধিকৃত উত্তরাঞ্চল, যাকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে দাবি করে। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (POK) আয়তন প্রায় ১৩,২৯৭ বর্গ কিলোমিটার, এবং সেখানে বসবাসকারী জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% মুসলিম। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত।

     

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    গত ১২ জানুয়ারি সোনামার্গ টানেল উদ্বোধনের সময় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সবচেয়ে বড় সংযুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের উভয় পাশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা একীভূত হওয়ার জন্য ইচ্ছুক, যদিও এই অনুভূতি এখনও প্রকাশ্যে স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ পুরোপুরি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় হয়, যদিও জনগণের মধ্যে পুনঃএকীকরণের ব্যাপারে বড় কোনও বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে কাশ্মীর-ভূমে অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও জটিল হচ্ছে। ভারত এই সংকটের সমাধান করার ক্ষেত্রে শক্তি ও ঐক্যবদ্ধতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।

     

    সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)

    সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিবাসীদের ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বার্তা দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আপনাদের সঙ্গে বিদেশির মতো আচরণ করে। আমরা তা করব না। আমরা আপনাদের আপন করে নেব।” রাজনাথ জানান, পিওকে ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর অসম্পূর্ণ। রাজনাথ সিং বলেন, “অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। পাকিস্তান নিজেও জানে এই অংশ আসলে তাদের কাছে বিদেশের মাটি। তাই এই মাটিকে তারা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করে। অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ওরা জঙ্গি তৈরির কারখানা খুলেছে। সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে ওখানে।”

     

    ভারতের মাথার মুকুটমণি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে অধিকৃত কাশ্মীরকে পাক দখলমুক্ত করার বার্তা। ভারতের দাবি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে আছে। জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি এই অঞ্চল।

  • Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি (Republic Day 2025) মানেই রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডেও সেই আড়ম্বর চোখে পড়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়। আর বেশিদিন নেই ভারত অধীর আগ্রহে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করছে। উৎসবের মূল আকর্ষণ হবে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে কর্তব্য পথে দর্শনীয় কুচকাওয়াজ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কুচকাওয়াজে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেবেন। এতে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে।

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস 

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে। এ বছর সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে, যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (76th Republic Day) উদযাপন করবে। অনেকেই ১৯৪৯ সাল থেকে গণনা শুরু করেন এবং ভাবেন যে সংবিধান সেই দিনেই কার্যকর হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। ১৯৫০ সালে দেশে সংবিধান কার্যকর করা হয় এবং ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে, এ বছর ৭৭তম নয়, ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2025) পালিত হচ্ছে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব

    ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট বিদায় নেয় ব্রিটিশরা। ২০০ বছরের কালিমা মুছে স্বাধীনতার সূর্যোদয় হয় ভারতের আকাশে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জওহরলাল নেহরু। যদিও তখনও ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়নি। ১৯৪৭-এর ২৯ আগস্ট একটি খসড়া কমিটি তৈরি করে প্রথম সরকার। উদ্দেশ্য সংবিধান রচনা ও কার্যকর। সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বাবাসাহেব বিআর আম্বেদকর। ১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর ওই কমিটি সংবিধানের একটি আনুষ্ঠানিক খসড়া পেশ করে গণপরিষদে। এর তিন বছর পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় প্রস্তাবিত সংবিধান। যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২৬ জানুয়ারি।

    RepublicDayParade preparations are in full swing! The 76th Republic Day Parade will showcase the strength, diversity and resilience of India with six elite contingents from the Indian Army, stunning displays of advanced tech & weaponry and the spirit of indigenisation. pic.twitter.com/sYs0seNxpT

    — Republic Day 2025 (@republicday2025) January 18, 2025

    সংবিধানের শাসন কার্যকর

    স্বাধীনতা দিবসের সমান গুরুত্বপূর্ণ এই দিন। সেই কারণেই বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রের পোশাকি নাম ‘ভারতীয় সাধারণতন্ত্র’ (Republic Day 2025) । যে সাধারণতন্ত্রের গণতান্ত্রিক, সমতাবাদী এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজের কাঠামো হল সংবিধান। সাধারণতন্ত্র দিবস স্মরণ করে স্বাধীন ভারতের চেতনাকে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি (76th Republic Day) থেকেই সদ্য স্বাধীন দেশটির রাষ্ট্র পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধানের শাসন কার্যকর হয় আসমুদ্রহিমাচলে। ২৬ জানুয়ারি সকালে বর্ণাঢ্য সামরিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এদিন দেশের বাছাই করা নাগরিকদের পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত করেন তিনি। এছাড়াও সেনাকর্মীদের পরমবীর চক্র, অশোক চক্র ও বীর চক্রে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি।

    আরও পড়ুন: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম

    এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) থিম হল ‘স্বর্ণিম ভারত’  যা ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের প্রতি নিবেদিত। ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে, ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, চণ্ডীগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ – দিল্লির কর্তব্যপথে তাদের ট্যাবলো প্রদর্শন করবে। এ বছর প্রথম বার দেশের তিন বাহিনী সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা একসঙ্গে কর্তব্য পথে সামরিক কৌশল দেখাবে।

  • Republic Day 2025: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে স্কুলগুলিকে হুমকি খালিস্তানিদের, পাঞ্জাবে জারি হাই অ্যালার্ট

    Republic Day 2025: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে স্কুলগুলিকে হুমকি খালিস্তানিদের, পাঞ্জাবে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসকে (Republic Day 2025) কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য তৎপর পাঞ্জাব (Punjab)। রাজ্যের আনাচে-কানাচে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তল্লাশি ৷ জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) প্রধান গুরপতবন্ত সিং পন্নুন পাঞ্জাবের একাধিক স্কুলকে হুমকি পাঠিয়েছেন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে থাকতে এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে হুমকি মেলে

    পাটিয়ালার (Punjab) কিছু স্কুলে সম্প্রতি একটি ইমেল পাঠানো হয়েছিল, যা পান্নুনের নামে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে “বাচ্চারা ঘরে থাকুন – নিরাপদ থাকুন… অভিভাবকরা, এটা একটি কঠোর পরামর্শ: আপনার সন্তানদের পাটিয়ালা পোলো গ্রাউন্ডে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠানে পাঠাবেন না। শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) ২৬ জানুয়ারি পাটিয়ালায় উপস্থিত থাকবে।” এরপরেই পাটিয়ালা-সহ সমগ্র পাঞ্জাবে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    পাঞ্জাবে (Punjab) সক্রিয় শিখস ফর জাস্টিস

    প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের আগে খালিস্তানি সংগঠনগুলি বিশেষভাবে পাঞ্জাবে সক্রিয় হয়েছে। ফরিদকোট শহরের প্রধান প্রবেশদ্বারে এবং নেহরু স্টেডিয়ামের কাছে খালিস্তানি পতাকা এবং গ্রাফিটি পাওয়া গিয়েছে, যা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে এই উপাদানগুলি প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) অনুষ্ঠান ফারিদকোট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেখানকার প্রধান প্রবেশদ্বারে খালিস্তানি গ্রাফিটি পাওয়া যাওয়ার পর অনুষ্ঠানটি পাটিয়ালার পোলো গ্রাউন্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে সরকারের দাবি, অনুষ্ঠানস্থল পরিবর্তন কোনো হুমকির কারণে নয়, বরং উড়ান পরিস্থিতির কারণে।

    পাঞ্জাব (Punjab) সরকারকে হুমকি

    ফের ভারত-বিরোধী হুমকি শোনা গিয়েছে খালিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত পান্নুনের মুখে। ২৬ জানুয়ারি (Republic Day 2025) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা ভগবন্ত মান ও পাঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদবকে সরাসরি খুনের হুমকি দিয়েছেন পান্নুন। ২৬ জানুয়ারিই তাঁদের উপর হামলা চালানো হবে বলে ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন এই জঙ্গি নেতা। প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁর গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সেই কাজের জন্য পাঞ্জাবের (Punjab) গ্যাংস্টারদের একত্র হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি এই ভিডিও বার্তাটি গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক বার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধী হুমকির সুর শোনা গিয়েছে শিখ ফর জাস্টিস প্রতিষ্ঠাতা পান্নুনের মুখে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় পতাকা ছেড়ে পান্নুন খালিস্তানের পতাকা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।

    মার্কিন মুলুকে পান্নুনের উপস্থিতি

    মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে (Gurpatwant Singh Pannun) সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (US President Trump) অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় লিবার্টি হলে উপস্থিত ছিলেন পান্নুন। দাবি করা হয়েছে, সরকারের তরফ থেকে পান্নুন আমন্ত্রিত ছিল না। তবে নিজের টাকা খরচ করে অনুষ্ঠানের টিকিট কিনতে সমর্থ হয়েছিলেন পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun)।

    এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, লিবার্টি হলে অনুষ্ঠান চলাকালীন খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান তুলছিল পান্নুন। এরপরই ফের একবার আন্তর্জাতিক স্তরে খালিস্তান নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল (Randhir Jaiswal) বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করবে ভারত। যেখানেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে, আমরা বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সরকারকে অবগত করব। যে যে ক্ষেত্রে ভারত-বিরোধী অ্যাজেন্ডা আছে, এবং যেখানে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে মুখ খুলবে ভারত।’’

     

  • Planetary Parade: আজ সন্ধ্যার আকাশে এক সারিতে ৬ গ্রহ! মহাকাশে ঘটবে বিরল ‘প্ল্যানেট প্য়ারেড’

    Planetary Parade: আজ সন্ধ্যার আকাশে এক সারিতে ৬ গ্রহ! মহাকাশে ঘটবে বিরল ‘প্ল্যানেট প্য়ারেড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। মহাকাশে এক সারিতে আসবে সৌরজগতের ছয়টি গ্রহ (Planetary Parade)। তার বেশিরভাগটাই খালি চোখে দেখা যাবে। শনি-সন্ধ্যায় মহাকাশে ঘটতে চলেছে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। সূর্যাস্তের ৪৫ মিনিট পর এক সারিতে আসছে ৬ গ্রহ। ঝকঝকে রাতের আকাশে চলবে গ্রহ নক্ষত্রের খেলা। ‘প্ল্যানেট প্য়ারেডে’ অংশ নিচ্ছে ইউরেনাস-নেপচুনও। এটাকে বলা হয় প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট। একই সরলরেখায় আসবে মঙ্গল-বৃহস্পতি-শুক্র-শনি-ইউরেনাস-নেপচুন।

    কতক্ষণ দেখা যাবে

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৩ ঘণ্টা স্থায়ী হবে গ্রহের প্যারেড। খালি চোখেই দেখা যাবে মঙ্গল-বৃহস্পতি-শুক্র-শনিকে। তবে ইউরেনাস-নেপচুনকে (Planetary Parade) দেখতে প্রয়োজন হবে টেলিস্কোপের। এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে জোর চর্চা। সকাল থেকেই বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে ব্যাপক ভিড়। গ্রহের সারিবদ্ধতা এমন একটি ঘটনাকে বোঝায় যেখানে সৌরজগতের গ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে এক সরলরেখায় অবস্থান করতে দেখা যায়। খালি চোখের তুলনায় যন্ত্রের সাহায্যে এই দৃশ্য আরও ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

    কখন, কোন আকাশে দেখা যাবে বিরল দৃশ্য 

    জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলছেন, সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে দেখা যাবে এই অতি-বিরল দৃশ্য। তাঁর কথায়, “সন্ধ্যাবেলার আকাশে মোটামুটি ৭টা সাড়ে ৭টার দিকে খুব ক্ষীণভাবে হলেও শনি গ্রহকে দেখতে পাওয়া যাবে। তার ঠিক একটু উপরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিগন্তে থাকবে শুক্র গ্রহ। ওটা কিন্তু বেশ উজ্জ্বল।” দেখা যাবে বৃহস্পতিকেও। তাঁর কথায়, “একইসময় মাথার মোটামুটি উপরে থাকবে বৃহস্পতি। বেশ কিছুটা পূর্ব দিগন্তে থাকবে মঙ্গলগ্রহ। সুতরাং পশ্চিম থেকে পূর্ব দিগন্ত ঘিরে একটা সরলরেখায় এই গ্রহগুলিকে দেখা যাবে। খালি চোখেই দেখা যাবে। আরও দুটো গ্রহ থাকছে এই রেখায়। তবে তাঁদের খালি চোখে দেখা যাবে না। ইউরেনাস-নেপচুন। ওরা থাকবে শুক্র গ্রহের কাছাকাছি অঞ্চলে। কিন্তু এত ক্ষীণ যে খালি চোখে দেখা কার্যত অসম্ভব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share