Author: pranabjyoti

  • Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার (Roundup Week)। ভারত তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বারবার হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ওপর। কোথাও কোথাও হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন রূপ নিচ্ছে গণহত্যার। বহু দশক ধরে এই নির্যাতন চললেও, ঘটনাগুলিকে গুরুত্বই দেয়নি তামাম বিশ্ব। তাই ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষের বিষবাষ্প। হত্যা, জোর করে ধর্মান্তর, জমিজমা দখল, হিন্দুদের উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত চলছেই। ২০২৫ সালের ৬ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই ছ’দিনে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যাতে করে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন।

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতন (Hindus)

    প্রথমে ধরা যাক ভারতের কথাই। কাশ্মীরের মাগামে মহরমের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ইসলামপন্থী একদল জনতা এক ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে আক্রমণ করে। শিবমোগার রাগিগুড়ার বাঙ্গারাপ্পা লেআউট এলাকায় কয়েকজন মুসলমান ভাঙচুর করে গণেশ ও নাগ দেবতার মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় একটি রথযাত্রার শোভাযাত্রায় হামলা চালায় মুসলমানরা। শোভাযাত্রা চলাকালীনই হঠাৎ করে একদল মুসলিম যুবক ওই রথযাত্রায় হামলা চালায়। বিহারের পূর্ব চম্পারণের মেহসি ব্লকের কানক্তি গ্রামে মহরমের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনায় অজয় যাদবকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় জখম হন আরও কয়েকজন। গত বছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গে (Hindus) মহরম উপলক্ষে হিংসার ঘটনা ঘটে। রাজ্যের একাধিক জেলায় মুসলমানরা হিন্দুদের আক্রমণ করে। দেশের বিভিন্ন শহর ও জেলায় মহরমের মতো শোকাবহ অনুষ্ঠানকে উসকানিমূলক আচরণ এবং মন্দিরের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননার রূপ দেওয়া হয়েছে। বিলাসপুর থেকে হাজারিবাগ পর্যন্ত একাধিক অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

    নির্যাতন বিহারেও

    বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় ইসলামপন্থীদের (Roundup Week) অসহিষ্ণুতার বর্বর রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে গৌরব কুমার সিংকে এক মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেয়েটির পরিবার ‘তালিবানি’ কায়দায় তার চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে নৃশংস কাণ্ড ঘটায়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয়। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ রাজশেখর বাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি নিয়মিতভাবে পুট্টুরে তাঁর নিজের শহরে ফি রবিবার গির্জার প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন। এটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার শামিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরে মহরমের আগেই চাঁদা না দেওয়ায় মুসলিম জনতা বেধড়ক মারধর করে টোটো চালক বেদন ঘোষকে। উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি বড় চক্র ধরা পড়েছে। এর মূলহোতা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

    বাদ নেই উত্তরপ্রদেশও

    উত্তরপ্রদেশের লখনউতে লুলু মলের এক হিন্দু মহিলা কর্মচারীকে তাঁর ম্যানেজার ফারহাজ ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। ফারহাজ তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্যও করেছিল (Hindus)। তিনি (Roundup Week) জানান, ফারহাজ তাঁকে মাদকমিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করে। উত্তরপ্রদেশেরই মুজফফরনগরে কাওর যাত্রা চলাকালীন একটি ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মহম্মদ শেহজাদ নামে একজন এক মহিলা ভক্তের কাঁধে থাকা ‘কাঁওর’-এর ওপর থুতু ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। অসমের গোয়ালপাড়া শহরে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতকারীরা দুর্গা মন্দির কমপ্লেক্সে একাধিক মূর্তি ভাঙচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিব, মনসা ও দেবী দুর্গার মূর্তি। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে শান খান নামে এক মুসলিম যুবক নিজের নাম শান শর্মা বলে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলে। প্রায় দুবছর ধরে সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    পাকিস্তানের ছবি

    এ তো গেল ভারতের কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের ছবিটা। পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে হিন্দু সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং বিয়ে খুব সাধারণ ঘটনা। শুধুমাত্র সিন্ধ প্রদেশেই প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই যৌন দাসত্বের শিকার হন (Roundup Week)। পাকিস্তানি হিন্দুরা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও অবহেলার শিকারও হন সে দেশে। হিন্দু মন্দিরে বারংবার আক্রমণ, পাঠ্যসূচিতে হিন্দুদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতিত্ব, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এমনকি ছোঁয়াছুঁয়ির মতো জাতিগত বৈষম্যও বজায় রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে একজন ভিল নারীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এই পরিস্থিতিরই আর একটি প্রমাণ। গত ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে সিন্ধ প্রদেশের শাহদাদপুরের একটি আদালত দুটি হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক দশিনা বাই (১৫) ও হরজিত কুমার (Hindus) ওরফে হানি (১৩)-এর হেফাজতের বিষয়ে একটি বিতর্কিত রায় দেয়। আদালত তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রত্যেকের জন্য ৩৫,০০০ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ব্যক্তিগত জামিন বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে শিশুদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা চালিত হয়, যা কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় শিক্ষার ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যেই নিহিত। যদিও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ দেখা যায়, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন, ভারত) সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে এক প্রকার সূক্ষ্ম হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে। এসবই হিন্দুবিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)। এই সূক্ষ্ম ও দৈনন্দিন বৈষম্য চোখে পড়ে না, যদি না কেউ প্রচলিত আইন ও সামাজিক ধারা পর্যবেক্ষণ করে। দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তার একটি উদাহরণ। দূষণজনিত কারণে আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও, সেটা প্রযোজ্য শুধু হিন্দু উৎসবগুলির ওপর। সবেবরাতের মতো মুসলমানদের অনুষ্ঠানের সময় দেদার শব্দবাজি এবং আতশবাজি পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ (Hindus)।

    বাদ নেই বাংলাদেশও

    পাকিস্তানের পাশাপাশি নির্বিচারে হিন্দু নির্যাতন চলছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন হিন্দুদের ওপর নির্যাতন তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরেই সে দেশে হিন্দু নির্যাতন চরমে ওঠে। হাসিনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের ভার তুলে দেন বাংলাদেশিরা। সেই সরকারের প্রধান নির্বাচিত হন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর জমানায় হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয় বলে অভিযোগ। মন্দির-মূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিন্দুদের জমিজমা দখল, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগও উঠেছে। মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু ধর্মগুরুদের। নানা অছিলায়, কখনও আবার মিথ্যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে হিন্দু পদাধিকারীদের। বাদ যাননি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কিংবা অধ্যাপকও (Hindus)।

    তার পরেও অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বনেতাদের একটা বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই নির্বিচারে চলছে হিন্দু নির্যাতন (Roundup Week)।

  • Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন (Terrorists), বিশেষত লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। এই মর্মে ভারতকে সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। নেপালি আধিকারিকদের সতর্কবার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নেপাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট আয়োজিত একটি সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতকে এই বার্তা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা সুনীল বাহাদুর থাপা।

    ভারত-নেপাল সীমান্ত (Terrorists)

    ভারতের সঙ্গে নেপালের স্থলসীমান্ত বিস্তৃত ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার। এটি একটি উন্মুক্ত সীমান্ত, ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে দুই দেশের নাগরিকরাই নিয়মিতভাবে চাকরি কিংবা অন্য কোনও কাজে নিত্য সীমান্ত পারাপার করেন। এই দুই দেশের মধ্যে একটি দৃঢ় সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে।  নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টার আশঙ্কা, এটাকেই কাজে লাগাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পরিচয় গোপন করে কিংবা ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে তারা।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গ্রেফতার

    ২০১৭ সালে সশস্ত্র সীমা বল পাক মদতপুষ্ট এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। নেপালের রুট ব্যবহার করেই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই সামরিক ও কৌশলগত সাফল্যের প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের সব সীমান্তেই সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে অনায়াসেই রোধ করা যায় কোনও অবৈধ কার্যকলাপ এবং সুরক্ষিত থাকে জাতীয় নিরাপত্তা (Terrorists)।

    মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও অস্থির শাসন ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিবেশও ভারতের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। এহেন আবহে এল নেপালি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সতর্কবার্তা। কাঠমাণ্ডুর ওই সেমিনারে নেপালের কর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত সার্ক-এর ঐক্য ও সমগ্র অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নেপালি কর্তাদের এহেন মন্তব্যে ফের একবার মান্যতা পেল ভারতের দাবি। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবারই দাবি করে আসছে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান (Terrorists)।

  • Ahmedabad: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে

    Ahmedabad: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোয়িংকে আড়াল করতে গিয়ে আহমেদাবাদে (Ahmedabad) বিমান দুর্ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে পাইলটকে। অভিযোগ, একাধিক বিদেশি সংবাদমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্টকে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ (Air India Plane Crash)। এই দুর্ঘটনায় তদন্তের মুখে ত্রুটিপূর্ণ বাণিজ্যিক জেট নির্মাতা সংস্থা। অভিযোগ, তাকে আড়াল করতেই বিকৃত করা হচ্ছে রিপোর্ট।

    বিমান দুর্ঘটনার রিপোর্ট (Ahmedabad)

    ভারতের এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো ১২ জুনের দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৭১ দুর্ঘটনায় ২৬০ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে মাটিতে থাকা ১৯ জনও ছিলেন। এই বিমানটি ছিল একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে যায়। বিমানবন্দরের কাছেই একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি।রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানটি ১৮০ নট গতিবেগে পৌঁছতেই দুটি ইঞ্জিনই কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ইঞ্জিন ১ এবং ইঞ্জিন ২–এর ফুয়েল কাটঅফ সুইচ একে অপরের এক সেকেন্ডের মধ্যে “রান” থেকে “কাটঅফ”-এ চলে যায়, যার ফলে জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। এক মুহূর্তের জন্য ইঞ্জিনগুলি সচল হলেও, স্থিতিশীল হয়নি। তার জেরেই মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানটি (Ahmedabad)।

    বিকল হয়ে যায় ইঞ্জিন

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিমানটি ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে যায় র‍্যাম এয়ার টারবাইন (এমন একটি যন্ত্র যা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়)। এটি নিশ্চিত করে যে বিমানটি সম্পূর্ণভাবে বৈদ্যুতিক শক্তি ও ইঞ্জিন শক্তি হারিয়েছিল। এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা সাইট পরিদর্শন, ড্রোন ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন করেছেন। দুটি ইঞ্জিনই একটি সুরক্ষিত হ্যাঙ্গারে সরানো হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিকে ভবিষ্যৎ পরীক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছে। তদন্তে পাখির ধাক্কার সম্ভাবনাও বাতিল করা হয়েছে। কারণ ওড়ার (Air India Plane Crash) সময় ওই অঞ্চলে পাখির কোনও গতিবিধির রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এসব খবর উপেক্ষা করেই পাইলটের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে বিদেশি কিছু সংবাদ মাধ্যম (Ahmedabad)।

  • Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের (Critical Minerals)। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তর, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এই খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস (REE), গ্রাফাইট, ভ্যানাডিয়াম, লিথিয়াম, কোবাল্ট এবং অন্যান্য উপাদান, যা ব্যাটারি, সেমিকন্ডাক্টর এবং উন্নত ধাতব মিশ্রণ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    জিএসআইয়ের রিপোর্ট (Critical Minerals)

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে (Northeast Region), “এ ধরনের সম্পদের প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেশীয় উৎস চিহ্নিত ও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে পূর্ব-উত্তর ভারতের মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে সম্ভাবনাময় অঞ্চলে নিবেদিত থিম্যাটিক স্টাডি, বেসলাইন সমীক্ষা এবং প্রকল্পভিত্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে, জিএসআই একাধিক অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করেছে।” ৫৭ পাতার এক প্রতিবেদনে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের অনুসন্ধানের ফলের সারসংক্ষেপ।

    চিনের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত

    বিশ্বের প্রধান রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিকারী দেশ হল চিন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেজিং। অথচ, এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর তৈরি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে (Critical Minerals)। প্রতিবেশী দেশের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমী দেশগুলির পাশাপাশি ভারতেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারত তার ৫৪০ টন ম্যাগনেট আমদানির ৮০ শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করেছিল ড্রাগনের দেশ থেকেই। ইউরোপের জ্বালানি খাতও প্রায় ৯৮ শতাংশ সংগ্রহ করেছিল চিন থেকেই। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল চিনের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের জন্য এক সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের উচিত বিকল্প সরবরাহ চেইন খুঁজে বের করা এবং চিনের ওপর নির্ভরতা কমানো (Northeast Region)।”

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন — যার মধ্যে ওফিওলাইট বেল্ট, ক্ষার-আল্ট্রামাফিক কমপ্লেক্স এবং গ্রাফাইটযুক্ত সিস্ট রয়েছে — তা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ভারত যখন খনিজ-নির্ভর পরিচ্ছন্ন জ্বালানির পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনিজ সম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত (Critical Minerals)। উত্তর-পূর্বাঞ্চল অঞ্চলটি অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত এবং এটি প্রায় ২.৬২ লাখ বর্গকিলোমিটার বা ভারতের মোট ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ৮ শতাংশ জুড়ে রয়েছে (Northeast Region)।

    অরুণাচলপ্রদেশে ভ্যানাডিয়ামের খোঁজ

    অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের প্রাকৃতিক ফ্লেক গ্রাফাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে উঠে এসেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিম সিয়াং, পাপুম পাড়ে এবং লোয়ার সুবনসিরি জেলায় প্রচুর মজুত চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং এ পর্যন্ত ১৭.৮৯ মিলিয়ন টনেরও বেশি গ্রাফাইট সম্পদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ব্যাটারি ও রিফ্র্যাক্টরি (উচ্চতাপ প্রতিরোধক) ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানের। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে (Critical Minerals), “এই অঞ্চলের গ্রাফাইট সাধারণত সূক্ষ্ম থেকে মাঝারি ফ্লেকযুক্ত হয়, যার ফিক্সড কার্বন কন্টেন্ট ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এটি পরবর্তী পর্যায়ের পরিশোধন এবং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অ্যানোড-সহ উচ্চ-মূল্যবান ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর কাঁচামাল হিসেবে বিবেচিত হয়।” জানা গিয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল ভ্যানাডিয়াম, যা স্টিল মিশ্র ধাতু এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অনুসন্ধানে মোট ১৩.৭৯ মিলিয়ন টন ভ্যানাডিয়াম পাওয়া গিয়েছে, যা এই গুরুত্বপূর্ণ মিশ্র ধাতুর ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম বড় রকমের উৎস।

    অসম-মেঘালয়ে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস

    জিএসআই জানিয়েছে (Critical Minerals), অরুণাচল প্রদেশের পাপুম পারে জেলায় লোদোসো গ্রামের আশপাশের এলাকায় ২.১৫ মিলিয়ন টন ‘আয়রনসমৃদ্ধ ফিলাইট’ (এক ধরনের রূপান্তরিত শিলা)-এ রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়া গিয়েছে। অসম ও মেঘালয়েও রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অসমে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টসের ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ এর মধ্যে। ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নের অর্থ হল, প্রতি এক মিলিয়ন অংশের মিশ্রণে কোনও নির্দিষ্ট পদার্থের একটি অংশ। মেঘালয়ে এই ঘনত্বের পরিমাণ প্রতি মিলিয়নে ৩,৬৪৬ থেকে ৫,১০০-র মধ্যে (Northeast Region)।

    লিথিয়াম মজুদ

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও অসমে লিথিয়াম মজুদের ইঙ্গিত মিলেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে অবস্থিত ওফিওলাইট শিলার সঙ্গে সম্পর্কিত নিকেল ও কোবাল্টের লক্ষ্যে সেখানে বিস্তারিত ভূ-রাসায়নিক সমীক্ষা ও শিলাচিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে (Critical Minerals)।”

  • Tawang: দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ফের খবরের শিরোনামে ভারতের তাওয়াং

    Tawang: দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ফের খবরের শিরোনামে ভারতের তাওয়াং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ৯০তম জন্মদিন পালন করলেন ১৪তম দালাই লামা (Dalai Lama)। একই সঙ্গে চলছে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রস্তুতিও। এহেন আবহে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এল ভারতের একটি হিমালয়ান মঠ তাওয়াংয়ের (Tawang) নাম। হয়তো এই মঠ থেকেই নির্বাচিত হবেন পঞ্চদশতম তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মগুরু। আর যদি তাই হয় তবে চিনের শতাব্দী প্রাচীন এই আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ভারত। নাম ছিল সানগ্যাং গিয়াস্তো।তখন তাওয়াং ছিল এক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নেটওয়ার্কের অংশ, যা হিমালয় অঞ্চলের বিভিন্ন মঠকে মধ্য তিব্বতের সঙ্গে যুক্ত করত। এই দূরবর্তী প্রান্ত থেকেই পরবর্তীতে এই শিশুকে ষষ্ঠ দলাই লামা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

    ব্যতিক্রমী দালাই লামা (Tawang)

    তবে লাসায় তাঁর সিংহাসনে আরোহণের পথটি ছিল অত্যন্ত ব্যতিক্রমী। পঞ্চম দালাই লামার মৃত্যুর খবর প্রায় পনেরো বছর গোপন রেখেছিলেন সে দেশের শাসক।  রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাতে এবং পোতালা প্রাসাদের কাজ সম্পন্ন করতেই মৃত্যুর খবর গোপন করা হয়েছিল। শেষমেশ যখন পুনর্জন্ম খোঁজার সময় এল, তখন তাঁরা এদিক ওদিক খুঁজে শেষমেশ তাওয়াংয়ে খুঁজে পান শিশুটিকে। ১৬৮৮ সালে তাঁকে মধ্য তিব্বতে নিয়ে আসা হয়। গোপনে দেওয়া হয় শিক্ষা। এবং প্রায় এক দশক পরে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসানো হয়। সেই থেকেই হিমালয়ের কোলের ছোট্ট জনপদ তাওয়াং আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক মানচিত্রে দখল করে নিয়েছে স্থায়ী আসন।

    আলোচনার কেন্দ্রে তাওয়াং

    আজ তিন শতকেরও বেশি সময় পরে ফের তাওয়াং আবারও দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। গত জুলাই মাসে দালাই লামা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে এই প্রতিষ্ঠানটি চলতে থাকবে এবং তাঁর পুনর্জন্ম চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে তাঁর নিজের দফতর গাদেন ফোদ্রাং ট্রাস্টের হাতে থাকবে, যা শীর্ষস্থানীয় তিব্বতি বৌদ্ধ নেতাদের (Dalai Lama) সঙ্গে পরামর্শ করে পরিচালিত হবে (Tawang)। বছরের পর বছর ধরে দালাই লামা স্পষ্ট করে বলে আসছেন যে তাঁর পুনর্জন্ম, অর্থাৎ পঞ্চদশ দালাই লামা, চিনের শাসনের অধীনে জন্ম নেবেন না। ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত ‘ভয়েস ফর দ্য ভয়েসলেস’ শীর্ষক বইয়ে তিনি লেখেন, “নতুন দালাই লামা একটি স্বাধীন বিশ্বে জন্ম নেবেন।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাক্যটি খুব সচেতনভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে, এবং সাধারণভাবে এটি চিন ও চিনের অধীনে থাকা তিব্বতের পুনর্জন্মস্থল হিসেবে প্রত্যাখ্যান বলেই ধরা হয়েছে। আগে একাধিকবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, ভারত, যেখানে তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে নির্বাসনে রয়েছেন, সেটাই হতে পারে তাঁর পুনর্জন্মের সম্ভাব্য স্থান।

    উল্টো অবস্থান চিনের

    এর ঠিক উল্টো অবস্থান নিয়েছে বেজিং। চিনা কমিউনিষ্ট সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে দালাই লামার যে কোনও বৈধ উত্তরসূরি অবশ্যই চিন সীমান্তের ভেতর থেকে হতে হবে এবং কমিউনিস্ট পার্টির অনুমোদন প্রাপ্ত হতে হবে। এর অর্থ, পরবর্তী দালাই লামার ওপর নিয়ন্ত্রণ মানেই তিব্বতের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ, এবং এর মাধ্যমে বৃহত্তর তিব্বতি জনগণের ওপরও চিনের প্রভাব বিস্তার। দালাই লামা ও চিনের এই দোটানার কারণেই ফের ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তাওয়াং (Tawang)। পূর্ব হিমালয়ের উচ্চভূমিতে ভারত, ভুটান ও তিব্বতের সংযোগস্থলের কাছে রয়েছে তাওয়াং মনাস্ট্রি। এটি (Dalai Lama) স্রেফ একটি উপত্যকাই নয়, বরং সমগ্র তিব্বতীয় বৌদ্ধ জগতের ওপর এক বিশাল আধ্যাত্মিক ভৌগোলিক এলাকার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এটি আজ ভারতের বৃহত্তম মনাস্ট্রি এবং লাসার দ্রেপুং মনাস্ট্রির পর গেলুগ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র।

    তাওয়াংয়ের প্রতিষ্ঠা

    তাওয়াং প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৮১ সালে মেরাগ লোদ্রে গ্যাতসো নামে এক সন্ন্যাসীর দ্বারা, যিনি পঞ্চম দালাই লামার ঘনিষ্ঠ শিষ্য ছিলেন। দালাই লামার নির্দেশেই এই মনাস্ট্রিটি নির্মিত হয়েছিল এবং এটি মূলত হিমালয়ের কিনারে অবস্থিত, সাংস্কৃতিকভাবে তিব্বতীয় কিন্তু ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী মন অঞ্চলে গেলুগ প্রভাব সুসংহত করার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল। এর ঠিক এক বছরের মধ্যেই ষষ্ঠ দালাই লামার আবির্ভাব তাওয়াংকে একটি সাধারণ ধর্মীয় কেন্দ্র থেকে গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে রূপান্তরিত করে। তাঁর স্বীকৃতি এবং পরবর্তী কালে সিংহাসনে অধিষ্ঠান তাওয়াংকে স্থায়ীভাবে তিব্বতীয় বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র ভৌগোলিক মানচিত্রে জায়গা করে দেয়। এটি শুধু গেলুগ শিক্ষার ও সাধনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রই নয়, বরং দালাই লামার পুনর্জন্মের বংশপরম্পরায় একটি আধ্যাত্মিকভাবে অনুমোদিত জন্মস্থান হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পায় (Tawang)।

    দালাই লামার আধ্যাত্মিক প্রভাবের প্রতীক

    শুরুর সময় থেকেই এই মনাস্ট্রিটি কেবল উপাসনা ও শিক্ষার কেন্দ্র ছিল না, বরং তিব্বতের বাইরেও দালাই লামার আধ্যাত্মিক প্রভাবের একটি প্রতীক ছিল এটি। পরবর্তী কয়েক দশকে তাওয়াং মনাস্ট্রি তখনকার “মন-ইউল” নামে পরিচিত অঞ্চলের ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। এই অঞ্চলটি বর্তমানে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং ভুটানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। মনাস্ট্রিটি কর আদায় করত, বিবাদ মেটাত এবং ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করত। এর প্রধানরা যাঁদের রিনপোচে বলা হত তাঁদের অত্যন্ত সম্মান করা হত এবং তাঁরা প্রায়ই লাসার বড় বড় মনাস্ট্রিগুলিতে শিক্ষাগ্রহণ করে ফিরে আসতেন তাওয়াংয়ে (Dalai Lama)। তাওয়াং এবং তিব্বতের প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন গ্যান্ডেন, সেরা এবং দ্রেপুংয়ের মধ্যে নিয়মিতভাবে তীর্থযাত্রী ও সন্ন্যাসীরা যাতায়াত করতেন। এর ফলে দূরবর্তী বিহারগুলিও মধ্য তিব্বতের শিক্ষামূলক ও আচারিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করত। ক্রমে তাওয়াং এমন একটি স্থান হয়ে ওঠে, যেখানে মোনপা পরিবারগুলির সন্ন্যাসীরা লাসায় না গিয়েও উচ্চতর ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করতে পারত।

    লাসা দখল করে পিএলএ

    এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ১৯৫১ সালে, যখন ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করে। তবে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) লাসা দখল করার পর ও সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পরেও তাওয়াং মঠের দালাই লামার প্রতি আধ্যাত্মিক আনুগত্য বজায় রাখে। ১৯৫৯ সালে দালাই লামা যখন ভারতে পালিয়ে আসেন, তিনিও তাওয়াং পেরিয়ে আসেন। সেখানে সন্ন্যাসী ও গ্রামবাসীরা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। পরে তেজপুর হয়ে শেষ পর্যন্ত ধর্মশালায় পৌঁছন তিনি (Tawang)। বর্তমান রাজনীতিতে এই ঘটনার প্রতীকী গুরুত্বও কম নয়। আজ তাওয়াং চিন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতের বাইরে গেলুগ পরম্পরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে আছে। এটি সম্ভবত একমাত্র বড় মাপের মঠ যা এখনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তিব্বতের পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন

    এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি দালাই লামার উত্তরাধিকার নির্বাচনকে একটি বিরল রাজনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখছে। তার কারণ তিব্বতি বৌদ্ধধর্মকে স্থায়ী রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। গত কয়েক দশক ধরে বেজিং চিনের ভেতরে থাকা প্রধান তিব্বতি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাজনৈতিক তত্ত্বাবধানে আনতে সফল হয়েছে। কেবলমাত্র নির্বাসিত দালাই লামাই চিনা কর্তৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন (Dalai Lama)। তাঁর মৃত্যু চিনের জন্য সেই কর্তৃত্বকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করার জন্য একটি বিরল সুযোগ এনে দেবে। তাই চিন চাইছে, এমন একজন উত্তরাধিকারী তৈরি করতে যিনি চিনের ভেতরে জন্মাবেন, পার্টির তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠবেন এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবেন (Tawang)।

  • Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনে (Maoist) ফের মিলল বড়সড় সাফল্য। আত্মসমর্পণ করল ১২ জন মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া জেলার নিরাপত্তা বাহিনী তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। দান্তেওয়াড়ার এসপি গৌরব রাইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে তারা। তাদের মধ্যে ৯ জনের মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের জন্য ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ডি ভাষায় এর অর্থ হল বাড়ি ফিরে আসার আবেদন)। যারা অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে ৪ জন মহিলা মাওবাদীও রয়েছে।

    মাওবাদীদের মাথার দাম (Chhattisgarh)

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে ৯ জনের মাথার মোট দাম ছিল সাড়ে ২৮ লাখ টাকা। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রান্না নামের এক প্রবীণ মাওবাদীও। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৮ লাখ টাকা। ৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল অমিত ওরফে হুঙ্গার মাথারও। করুণা, দেবা কাওয়াসি, রাজেশ মাদকম, পাইকে ওয়্যাম, রাজু এবং মহেশ এদেরও মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাওবাদীদের ফাঁপা আদর্শে বিরক্ত এবং দৈনন্দিন জীবনে বৈষম্যের শিকার হওয়ায় হতাশ হয়েছিল তারা। সেই কারণেই সমাজের মূলস্রোতে ফেরা।

    আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন

    ছত্তিশগড় প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবারের আত্মসমর্পণের পর সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ২০০জনেরও বেশি মাওবাদীকে ধরতে ঘোষণা করা হয়েছিল মাথার দাম (Chhattisgarh)। এদিকে, বস্তারের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল এবং নকশাল প্রভাবিত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী অভিযান আরও জোরদার করেছে। এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে কিংবা নিরস্ত্র করা গিয়েছে ৪০০ এরও বেশি মাওবাদীকে।

    মাওবাদী দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি সরকারের নেওয়া কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা এবং মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। যার ফলে বনপার্টিদের (মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে এই নামেই পরিচিত) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই প্রশাসনের কোনও গতিবিধি আর এখন জানতে পারছে না মাওবাদীরা। এর পাশাপাশি মাওবাদীদের অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানানো হচ্ছে (Maoist) সরকারের তরফে। তার জেরেই দেশ ক্রমেই হচ্ছে মাওবাদী মুক্ত (Chhattisgarh)।

  • Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    Vidyasagar University: তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হয়ে গেলেন ‘সন্ত্রাসবাদী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশপ্রেমী বিপ্লবীরা সন্ত্রাসবাদী! তৃণমূল জমানায় ফের একবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেগে দেওয়া হল ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে। এর আগে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইতে ক্ষুদিরাম বসুকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা দিয়ে বিতর্কে (Controversy) জড়িয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এবার খোদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ঘোর বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রশ্নপত্রে ভারতের মহান বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ স্রেফ একটা ভুল নয়, চরম অপমান। ইতিহাস বিকৃতির জঘন্য নজির।

    বিতর্কিত প্রশ্ন (Vidyasagar University)

    বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ পাতায় ১২ নম্বর প্রশ্নে লেখা হয়েছে, “মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?” শিক্ষাবিদদের মতে, প্রশ্নে যাঁদের উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুরের তিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট – বার্জ, পেডি এবং ডগলাস। পেডিকে হত্যা করেছিলেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত এবং জ্যোতিজীবন ঘোষ। ডগলাসকে হত্যা করেছিলেন প্রভাংশুশেখর পাল এবং প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য। বার্জকে হত্যা করেছিলেন অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ এবং ব্রজকিশোর চক্রবর্তী। এঁদের মধ্যে অনেকেই শহিদ হয়েছিলেন।

    ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা

    এই বিপ্লবীদের নামে আজও মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে মূর্তি ও স্মৃতিস্তম্ভ। প্রশ্নপত্রের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, “এই সব ব্যক্তিরা শহিদ এবং দেশপ্রেমিক হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছেন। তাঁদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?” প্রশ্ন উঠছে (Vidyasagar University), “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ কীভাবে এমন প্রশ্ন বা তার শব্দচয়ন অনুমোদন দিল? কীভাবে এমন একটি প্রশ্ন পরিষদের নজর এড়িয়ে ছাপা হল?” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে, প্রশ্নটি ভুল না ঠিক, তা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দচয়ন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

    বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের সাফ কথা, এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে এমন ভুল যাতে না হয়, সেজন্য (Controversy) প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিতে হবে (Vidyasagar University)।

  • Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। জাতীয় ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়েছে।

    কম্পনের উৎসস্থল (Earthquake)

    কম্পনের উৎসস্থল ছিল দিল্লি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে, হরিয়ানার ঝজ্জরে। কম্পনটি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ঝজ্জর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের মেরঠ এবং শামলিতেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পন টের পেয়েছেন হরিয়ানার সোনিপত ও হিসারের বাসিন্দারাও। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের নয়ডা ও হরিয়ানার গুরুগ্রামেও বহু সংস্থার অফিস রয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছে এই সব এলাকাও। ভয়ে অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা। রাজধানীর বাসিন্দারাও আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন খোলা জায়গায়। যদিও এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। মেলেনি ক্ষয়ক্ষতির খবরও।

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ (Earthquake) অনুযায়ী, ভারতকে চারটি সিসমিক জোন বা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল জোন ২, জোন ৩, জোন ৪ এবং জোন ৫। এই জোনগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হল জোন ৫। আর ঝুঁকি সব চেয়ে কম জোন ২-এ। দিল্লি পড়ে জোন ৪ এর আওতায়। তাই মাঝেমধ্যেই সেখানে দেখা দেয় ৫-৬ মাত্রার ভূমিকম্প। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। তখনও কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৫৯ শতাংশ এলাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দিল্লিতে ভূমিকম্প হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছে এনডিআরএফ। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কভাবে সিঁড়ি ব্যবহার করে বাইরে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভূমিকম্প চলাকালীন যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের খোলা জায়গায় (Delhi) দাঁড়িয়ে পড়ার পরামর্শও দেওয়া হয় (Earthquake)।

  • Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    Guru Purnima 2025: আজ গুরুপূর্ণিমা, জানেন দিনটির তাৎপর্য? পালনই বা করেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার, গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025)। ফি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটি গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত (Rituals) হয়। সংস্কৃতে ‘গু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার’। ‘রু’ শব্দের অর্থ দূর করা। তাই ‘গুরু’ শব্দের অর্থ হল, ‘যিনি আমাদের মনের অন্ধকার দূর করেন’। গুরু আমাদের আত্মোপলব্ধি করতে সাহায্য করেন। এক অর্থে তাই গুরুপূর্ণিমা আসলে নিজেকে চেনার দিন। কেবল হিন্দুধর্ম নয়, বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মেও গুরুপূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই এই তিন ধর্ম সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছেন, তাঁরাই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন দিনটি। গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও।

    গুরুপূর্ণিমার তিথি (Guru Purnima 2025)

    হিন্দুদের একটি অংশ আদিগুরু মানেন মহর্ষি বেদব্যাসকে। এই তিথিতেই জন্ম হয়েছিল তাঁর। তাই গুরুপূর্ণিমাকে অনেকে ব্যাস পূর্ণিমাও বলেন। এই ব্যাসদেব মহাভারতের রচয়িতা। বৈদিক জ্ঞানকে তিনিই ঋক, সাম, যর্জু এবং অথর্ববেদের চারটি খণ্ডে লিপিবদ্ধ করেন। এ বছর গুরুপূর্ণিমার তিথি শুরু হবে ১০ জুলাই, রাত ১টা ৩৬ মিনিটে, পূর্ণিমা ছাড়বে ১১ জুলাই রাত ২টো ৬ মিনিটে। হিন্দুদের বিশ্বাস, গুরুপূর্ণিমার দিনটি যে কোনও বিশেষ কাজ শুরু করার জন্য শুভ। এদিন বাড়িতে যে কোনও শুভ কর্ম করলে গৃহের উন্নতি হয়। ধর্মীয় কাজের জন্যও দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপ গুরুমূর্তি

    হিন্দুদের আর একটি মতে, শিবের দক্ষিণামূর্তি রূপকে গুরুমূর্তি বলা হয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং সপ্তঋষি এই দিনটিতে মহাদেবের কাছ থেকে পরম জ্ঞান লাভ করেন। তাই শিবই হলেন আদি গুরু। হিন্দুদের পাশাপাশি দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন বৌদ্ধরাও। কথিত আছে, বুদ্ধদেব নৈরঞ্জনা নদীর তীরে বোধিবৃক্ষের নীচে বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পরে বুদ্ধগয়া থেকে সারনাথে চলে যান। সেখানে তিনি তাঁর পাঁচ পুরানো সঙ্গীকে প্রথম তাঁর বাণী প্রদান করেন। কারণ, বুদ্ধদেবের মনে হয়েছিল, ওই পাঁচজন তাঁর ধর্মের বাণী সহজে বুঝতে এবং আত্মস্থ করতে পারবেন। এই দিনটিতেই তিনি তাঁদের সেই জ্ঞান দিয়েছিলেন। তার ফলে ওই পাঁচজনও বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হন গুরুপূর্ণিমা তিথিতেই। বৌদ্ধরা অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করেন। এই দিনে তাঁরা বিপাসনা পদ্ধতির মাধ্যমে সাধনা করেন গুরু নির্দেশিত পথে। নেপালে এই দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এই দিনটি সে দেশে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিন শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উপাদেয় খাবার, মালা এবং দেশীয় কাপড় দিয়ে তৈরি টপি নামক এক বিশেষ টুপি দিয়ে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানান (Rituals)।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন জৈনরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন জৈনরাও। তাঁরা এই দিনটিকে পালন করেন ট্রিনোক গুহ পূর্ণিমা হিসেবে। জৈন ঐতিহ্য অনুসারে এই দিনে চতুর্মার শুরুতে চার মাসের বর্ষাকালের পশ্চাদপসরণে ভগবান মহাবীর চব্বিশতম তীর্থঙ্কর কৈবল্য প্রাপ্তির পর ইন্দ্রভূতি গৌতমকে, পরে গৌতম স্বামী নামে পরিচিত, একজন গণধরা, তাঁর প্রথম শিষ্য, এভাবেই তিনি নিজেই একজন ট্রিনোক গুহ হয়ে ওঠেন।

    ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন সিংহলিরা

    সিংহলিরা এই  দিন থেকে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন, তাঁদের ক্যালেন্ডারে যখন বর্ষা আসে সেই অনুযায়ী। আর তাইল্যান্ডের বৌদ্ধরা একে বলেন ফানসা। জুলাই থেকে অক্টোবর অবধি শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘বর্ষাবাস’ পালন করেন তাঁরা। ভিয়েতনাম, তিব্বত এবং কোরিয়ার বেশ কিছু বৌদ্ধ গোষ্ঠী এই সময় এক স্থান থেকে অন্যত্র যান না। মায়ানমারেও অনেকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন গুরু পূর্ণিমা।

    গুরুপূর্ণিমা পালন করেন শিখেরাও

    গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2025) পালন করেন শিখ ধর্মাবলম্বীরাও। এটি গুরু বা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। শিখ ধর্মে গুরু বা শিক্ষককে ঈশ্বরের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গুরু পূর্ণিমার দিন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এদিন গুরুদের কাছ থেকে জ্ঞান ও নির্দেশনা লাভের জন্য প্রার্থনা করা হয় (Rituals)। শিখদের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল গুরুপূর্ণিমা। এদিন থেকেই গুরুদের দেখানো পথে চলতে প্রাণিত হন শিখেরা। গুরু পূর্ণিমা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধির একটি উপলক্ষ। এই দিনে শিখেরা এক সঙ্গে মিলিত হয়ে গুরুদের পূজা করে এবং তাঁদের শিক্ষাগুলি স্মরণ করে। গুরু পূর্ণিমার দিনে শিখেরা তাঁদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব পাঠ করেন। গুরুদের জীবনী আলোচনা করেন এবং তাঁদের আদর্শে জীবন যাপন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। গুরুপূর্ণিমা শিখদের জন্য একটি পবিত্র দিন (Rituals), যা তাদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য উৎসর্গীকৃত (Guru Purnima 2025)।

  • Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করার পর এবার পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট (Microsoft)। ২০০০ সালে পাকিস্তানে কাজ শুরু করেছিল এই সংস্থা। যদিও এখানে কোনও দিনই মাইক্রোসফটের পূর্ণাঙ্গ কর্পোরেট অফিস ছিল না। তবে শাহবাজ শরিফের দেশে (Pakistan) এন্টারপ্রাইজ, শিক্ষা এবং সরকারি খাতে মাইক্রোসফটের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। সংস্থা পাততাড়ি গুটোনোয় আশঙ্কিত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও।

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফটের অবদান (Microsoft)

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফট সংস্থা উচ্চশিক্ষা কমিশন ও পঞ্জাব গ্রুপ অফ কলেজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে যাতে মাইক্রোসফট টিমসের মতো প্লাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটার দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং দূরশিক্ষা দেওয়া যায়। পাকিস্তানের সরকারি খাতে মাইক্রোসফট ২০০টিরও বেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সমাধান দিয়েছে। এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং অনলাইন কোর্স করানোর মতো উদ্যোগেও জড়িত এই টেক জায়ান্ট। সেই সংস্থাই এবার ব্যবসা গুটোচ্ছে পাকিস্তান থেকে।

    কী বলছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার

    কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ মাইক্রোসফট পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রহমান বলেন, সংস্থার এই সিদ্ধান্ত ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জাওয়াদ। তিনি বলেন, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে একটি ইঙ্গিত স্পষ্ট, সেটি হল পাকিস্তানের বর্তমান পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বড় সংস্থাগুলিকে। নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, এক অধ্যায়ের অবসান হল।

    ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের (Microsoft) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিও। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অস্থিতিশীল মুদ্রার দর, জটিল বাণিজ্য নীতির কারণে পাকিস্তানে কাজ করতে অসুবিধা বোধ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সেক্টরের কাছে বড় ধাক্কা। যেখানে দেশে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে, আর্থিক উন্নতির কোনও দিশা নেই, সেখানে মাইক্রোসফটের মতো বড় সংস্থার বিদায়ের সে দেশের অর্থনীতির হাল যে বেহাল হবে, তা বলাই বাহুল্য।

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে মাইক্রোসফট পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের কথা ভেবেছিল। কিন্তু স্থিতাবস্থার অভাবে সংস্থাটি বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করে ভিয়েতনামকে। তার পর থেকেই আস্তে আস্তে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পাততাড়ি গুটোতে শুরু করে মাইক্রোটেক (Microsoft)।

LinkedIn
Share