Author: pranabjyoti

  • Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপেক্ষাই করে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মস্কোর (Russia) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছেন। তাকে উপেক্ষা করেই এই মে মাসে ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি (Indian Refiners) রাশিয়া থেকে সব চেয়ে বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই পরিমাণ মোট মাসিক আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ।

    কী বলছে কেপলার? (Russia)

    বৈশ্বিক বাণিজ্য ডেটা বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে রাশিয়া ভারতে পাঠিয়েছিল প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেলের চেয়ে বেশি তেল। আর ২৮ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা সরবরাহ করেছে ১.৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল। বাজারে সব চেয়ে সস্তা তেল আমদানির নীতিই অনুসরণ করেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন, ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই আগের তুলনায় কমে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং কুয়েত থেকে তেল আমদানি। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ তেলের চাহিদাই আমদানির ওপর নির্ভর করে। তাই এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশগুলির একটি।

    তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে ভারত

    রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে মূলত কমদামের জন্য, বিশেষ করে সাওয়ার গ্রেডের উরাল অঞ্চলের অপরিশোধিত তেলে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সম্মত না হওয়ায় গত ২৬ মে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাগল আখ্যা দেন। তিনি মস্কোর (Russia) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ান তেলের ওপর ইতিমধ্যেই আমেরিকার পক্ষ থেকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম নেফট এবং সুরগুতনেফতেগাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এর পাশাপাশি মস্কো থেকে তেল পরিবহণকারী প্রায় ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এদিকে, জি-৭ দেশগুলি রফতানি করা রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধার্য করেছে ৬০ মার্কিন ডলার (Indian Refiners)।

    কী বলছেন সুমিত রিতোলিয়া

    কেপলারের প্রধান তথ্য বিশ্লেষক সুমিত রিতোলিয়া বলেন, “এটি (রাশিয়ান তেল আমদানির উচ্চ হার) ভারতের রাশিয়ান ব্যারেলের ওপর স্থায়ী নির্ভরশীলতা প্রতিফলিত করে, যার পেছনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মূল্যছাড় এবং লজিস্টিক সুবিধা। মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ ছিল উরাল গ্রেড, যা সবচেয়ে পছন্দের তেলের তালিকায় শীর্ষে। এরপরেই ছিল সিপিসি এবং ইএসপিও (মিষ্টি গ্রেডের তেল)।” তিনি জানান, মে মাসে উরালের গড় ফ্রি অন বোর্ড মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল প্রায় ৫০ ডলার, যা পশ্চিমি মিত্রদের নির্ধারিত ৬০ ডলারের মূল্যমানের অনেক নীচে। নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেগুলির প্রয়োগ এখনও দুর্বল। তাই ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের নিয়মিত প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে পারছে (Russia)।”

    অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যেমন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রোসনেফ্ট-সমর্থিত নয়ারা এনার্জি (Indian Refiners)। রিতোলিয়া বলেন, “মে মাসে ভারতে তৈল পরিশোধনাগারের রক্ষণাবেক্ষণজনিত বন্ধের হার এপ্রিলের তুলনায় কম ছিল। তাই অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি এপ্রিলের শেষ নাগাদ পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করেছে। যার ফলে মে মাসে তেলের গ্রহণক্ষমতা বেড়েছে। এটি ভারতের স্বাভাবিক রিফাইনারি রক্ষণাবেক্ষণ চক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বেশিরভাগ রক্ষণাবেক্ষণ কাজকর্ম এপ্রিল বা মে মাসের শুরুতেই শেষ হয় (Russia)।”

    আমদানির পরিমাণ মধ্য প্রাচ্য থেকে

    জানা গিয়েছে, মে মাসে ভারত প্রতিদিন ১০.৯ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ইরাক থেকে, সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছে ৫.৬৮ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমদানি করেছে ৪.৯৫ লাখ ব্যারেল এবং ২.২৮ লাখ ব্যারেল আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অথচ, এপ্রিল মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ইরাক থেকে ৮.৩৫ লাখ ব্যারেল, সৌদি আরব থেকে ৫.৩৯ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২.৬৮ লাখ ব্যারেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩.৩৭ লাখ ব্যারেল (Indian Refiners)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ান তেলের পাশাপাশি ভারত এখন মধ্যপ্রাচ্য মায় আমেরিকা থেকেও আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে আদতে আসছে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগত বৈচিত্র্য। অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকটিও রয়েছে (Russia)।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মানুষ ভারতীয় পরিবারের অঙ্গ। নিজে থেকেই তাঁরা একদিন ভারতে ফিরে আসবেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে একমাত্র কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

    সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা (Rajnath Singh)

    প্রসঙ্গত, ভারত বার বার দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কেবল দুটি বিষয়েই আলোচনা হতে পারে –সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নয়াদিল্লির সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। জল ও রক্ত পাশাপাশি বইতে পারে না।” এদিন সিআইআই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অঙ্গ। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, একদিন তাঁরা নিজেদের মনের তাগিদেই ভারতের মূল স্রোতে ফিরে আসবেন।”

    রাজনাথের বক্তব্য

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই যে ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করেন, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেখানকার কিছু মানুষকেও ভুল বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও সঠিক পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন।” রাজনাথ বলেন, “ভারত সব সময় হৃদয়ের বন্ধনের কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সত্যের পথে হেঁটেই একদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে ফিরবেন এবং বলবেন, আমরা ভারতীয়। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই (Rajnath Singh)।” এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের পর সেটা উপলব্ধি করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়ও এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্ব পেয়ে গিয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জন হিন্দুর। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত (Rajnath Singh)।

  • PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। শাসকদলের কাউন্সিলর বেছে বেছে লোকেদের বাড়ি আক্রমণ করেছেন। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতি বার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এ ভাবে কি কোনও সরকার চলতে পারে?’’ বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জনসভায় এভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর এই প্রথম বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই আলিপুরদুয়ারের সভাস্থলে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তোলেন মুর্শিদাবাদের হিংসার প্রসঙ্গ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ (PM Modi)

    তার পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির জন্য এখানকার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এঁরা নিজেদের ভুল মানতেই চাইছেন না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি এটা হতে দেবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি করে তৃণমূল শুধু হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়নি, রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল আদিবাসীদের ভালো চায় না। তাই ২০২২ সালে এনডিএ সরকার যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোর চেষ্টা করছিল, তখন সবার আগে তার বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল।”

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ

     রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘কেন্দ্রের অনেক বড় বড় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর করা হয় না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এখানে চালু হতে দেওয়া হয়নি। এখানকার লোকেরা বাইরে গেলে ওই প্রকল্পের সুবিধা পান না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বাড়ি পেতে পারতেন। কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হয়নি। তা করতে দেয়নি এখানকার নির্মম সরকার।’’ তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ নিষ্ঠুর সরকার চায় না। তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় তাঁদের কোনও বিশ্বাস নেই। বাংলার শাসক দলের স্বার্থপর রাজনীতি সাধারণ মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”

    অপারেশন সিঁদুর

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী চলে যান অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আপনাদের প্রবল রাগ হয়েছিল। সেই রাগই আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। যারা পহেলগাঁওকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কল্পনাই করতে পারেনি পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তিন বার ঘরে ঢুকে মেরেছি। ফের হামলা হলে শত্রুদের আবার বড় মূল্য চোকাতে হবে (Alipurduar)।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বক্তব্যের আগে ভাষণ দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘটনার মিল রয়েছে। এই সরকারকে আমাদের উৎখাত করতেই হবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তা হবে।’’ তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মতোই এ রাজ্যে অপারেশন তৃণমূল করতে হবে।”

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    সুকান্তর পরে ভাষণ দিতে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে চাই বিজেপির সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার। আজ দেশের জন্য বাংলাকে বাঁচাতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। এটাই এই সভার সংকল্প হওয়া উচিত। এই বাংলার তিন জনকে পহেলগাঁওয়ে খুন করা হয়েছে ধর্ম দেখে। নরেন্দ্র মোদি তার বদলা নিয়েছেন।’’

    বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়

    এদিন সরকারি প্রকল্পের শিলন্যাস করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়। আর তাই গত দশ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করেছে (Alipurduar)।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়ন ভারতের উজ্জ্বল আগামীর ভিত্তি স্থাপন করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলা মেক ইন ইন্ডিয়ার কেন্দ্র হয়ে উঠুক। বাংলার উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি স্টেশনের উন্নয়ন হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর উন্নয়নের কাজ হয়েছে।”

    সিকিম সফর বাতিল…

    এদিন সকালেই রাজ্যে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বাগডোগরা থেকে তাঁর সিকিমে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই সভা বাতিল হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। পরে চলে যান আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায়। সেখানেই তিনি তাক করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান হাসিমারায় (Alipurduar)। সেখান থেকে তিনি রওনা দেবেন পাটনার উদ্দেশে (PM Modi)।

  • Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন করতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) ওপর। বুধবার ইউনূস সরকার জানিয়েছে যে, তারা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কথায় বিশ্বাস করছে না অধিকাংশ বাংলাদেশিই। ঘটনাপ্রবাহ দেখে তাঁরা বলছেন সাধারণ নির্বাচন হবে হয় চলতি মাসের ডিসেম্বরেই, নয়তো তা পিছিয়ে করা হতে পারে ২০২৬ সালের শেষে।

    বিএনপির সংশয় (Bangladesh Crisis)

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ইউনূসের জুনে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে সংশয় প্রকাশ করছে। তাদের মতে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়া আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার ওপর আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপির পক্ষে ফাঁকে মাঠে গোল দেওয়া সহজ হয়েছে। তাই তারা চাইছে নির্বাচন হোক ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই। যদিও তাদের আশঙ্কা, নানা অছিলায় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ইউনূস সরকার ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চাইছে।

    নানা অছিলায় সময় নষ্ট!

    বিএনপির দাবির আগেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আদতে বেলা গড়াতে চাইছেন ইউনূস। তাতে আর কিছু হোক বা না হোক তাঁর দলের পায়ের নীচের মাটিটা অন্তত শক্ত করার সময় পাওয়া যাবে। শহরাঞ্চলে ইউনূসের নবগঠিত দলের একটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলেও, গ্রামীণ বাংলাদেশে এখনও পানি পায়নি তাঁর দল। অথচ এই গ্রামীণ বাংলাদেশের ভোট না পেলে ক্ষমতায় ফেরা ইউনূসের পক্ষে মুশকিল। তাই নানা অছিলায় বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী, নির্বাচিত সরকারের পতন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হয়।

    জুনে নির্বাচন কীভাবে

    আগামী বছরের জুনে যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তা মালুম হয় বাংলাদেশে উৎসবের ক্যালেন্ডার দেখলেই। ২০২৬ সালের প্রথমার্ধজুড়ে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা, রমজান, ইদ, কালবৈশাখী, ঝড়, মৌসুমি বৃষ্টি এবং কোরবানির ইদের মতো উৎসব। এই উৎসবের জেরে সৃষ্টি হতে পারে লজিস্টিক জটিলতা। তাই জুনের মধ্যে নির্বাচন করা আদতেই সম্ভব নয় বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দিন কয়েক (Bangladesh Crisis) আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট করাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, তাঁরা হতাশ এবং বিভ্রান্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কেন একজন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এমন কঠিন আবহাওয়ার সময়ই নির্বাচনের আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর?

    বিএনপির বক্তব্য

    বিএনপির প্রবীণ নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন (Bangladesh Crisis), “আমরা আগেই বলেছি যে ডিসেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সঠিক সময়, এবং আমরা সেই অবস্থানেই অটল আছি। ডিসেম্বরের পর ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হবে। তারপর বর্ষাকাল। এসএসসি ও এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাগুলিও রয়েছে এই সময়। তাই আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের পর আর কোনও সময় নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নয়।” তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিস্থিতিতে। বাকি আর সব জাতীয় নির্বাচন সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    ঝড়-বৃষ্টি

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয় মার্চ ও এপ্রিল মাসে। মে বা জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলে বর্ষাকাল। এই সময় প্রায়ই বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশের জনজীবন। ঝড়ের দাপটে গৃহহীন হন বহু মানুষ। রমজান মাস উপবাস ও আত্মিক সাধনার মাস। এই সময় বাংলাদেশে কাজের সময়সীমা কমে যায়। তাই এই সময় নির্বাচন পরিচালনা করা কঠিন। পাবলিক পরীক্ষাগুলির সময় (সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল) অধিকাংশ স্কুল-কলেজের শিক্ষক পরীক্ষার তত্ত্বাবধান, মূল্যায়ন এবং ফল প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই এই সময় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের পাওয়া যায় না। হোসেন বলেন, “আমরা নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে প্রেস সেক্রেটারির দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের স্পষ্ট অভাব প্রতিফলিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

    জাতীয় পার্টির বক্তব্য

    আওয়ামি লিগের পূর্বতন মিত্র জাতীয় পার্টি, যেটি অগাস্ট ২০২৫-এ হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলার শিকার হয়, তারাও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী সময়সূচি দাবি করছে। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির নেতা মাসরুর মাওলা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ডাক দিয়ে বলেন, “যতক্ষণ না নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হচ্ছে, ততক্ষণ বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগ আসবে না।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলি, তারা শুধু নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন করে। তারা বাংলাদেশে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ শুনতে চায়। নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও বিনিয়োগ আসবে না। পুরোনো বিনিয়োগকারীরাও —মানে যারা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন — তাঁরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।” ইউনূস সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মাওলা বলেন, “গত ছ’-সাত মাস ধরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু আমরা কোনও উন্নয়ন দেখিনি। বরং প্রতিদিন অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগকারী আসছেন না (Muhammad Yunus)।” এদিকে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত সপ্তাহে ইউনূসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই আছে (Bangladesh Crisis)।”

    ইউনূস জমানায় ব্যাপক অত্যাচার

    ২০২৪ সালের অগাস্টে ছাত্র-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগের প্রধান শেখ হাসিনা। এর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয় ইউনূসকে। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বাংলাদেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। মন্দির-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়েও হামলা চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘরে। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আওয়ামি লিগকে। এই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপরও ব্যাপক অত্যাচার করা হয় (Muhammad Yunus)। তার পরেও ঠুঁটো হয়ে বসে থাকেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস। তা নিয়ে দেশে তো বটেই, বিদেশেও সমালোচিত হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

    জল্পনা ছড়িয়ে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা!

    এহেন আবহে দিন কয়েক আগে হঠাৎই জল্পনা ছড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চলেছেন ইউনূস। গত শনিবার দুপুরে আচমকাই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ডাকেন তিনি। তারপরেই জল্পনার জল ক্রমশ গড়াতে থাকে। বৈঠক শেষে পরিষদের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাফ জানিয়ে দেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গেই থাকছেন। উনি বলেননি উনি পদত্যাগ করবেন (Bangladesh Crisis)।”

    ক্ষমতার লোভ বোধহয় এমনই হয়!

  • FIEO: ভারতের পণ্য রফতানি পৌঁছতে পারে ৮৮.৫ লাখ কোটি টাকায়!

    FIEO: ভারতের পণ্য রফতানি পৌঁছতে পারে ৮৮.৫ লাখ কোটি টাকায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় চড়চড়িয়ে উঠছে অর্থনীতির পারা। বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও ভারতের পণ্য ও পরিষেবা রফতানি (Export) ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে পৌঁছতে পারে ৮৮.৫ লক্ষ কোটি টাকায়। অন্তত এমনই অনুমান রফতানিকারীদের শীর্ষ সংস্থার (FIEO)। বিশ্ববাণিজ্যে প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও, ভারতের অগ্রগতি অক্ষুণ্ণ থাকতে পারে বলে অনুমান।

    এফআইইওর বক্তব্য

    রফতানিকারীদের শীর্ষ সংস্থা ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের  (FIEO) সভাপতি এসসি রালহান বলেন, “আমরা বর্তমান অর্থবর্ষ শেষে প্রায় ৮৮.৫ লাখ কোটি টাকা রফতানি টার্গেট করছি, যেখানে পণ্য রফতানি ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২৫-৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পরিষেবা রফতানি ২০ শতাংশ বেড়ে ৪৬৫-৪৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।

    ভারতের মোট রফতানি  (FIEO)

    ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারতের মোট রফতানি পৌঁছেছে ৭০,৪২,৫৪৮ কোটি টাকায়। তার আগের বছর এর পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৪,৭৬,৮৮৬ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে বৃদ্ধির হার ৬.০১। এই বৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি ছিল পরিষেবা রফতানি, যা ১৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকায়। এর নেপথ্যে রয়েছে আইটি, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ভ্রমণ সংক্রান্ত পরিষেবার শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ভূমিকা। পণ্য রফতানি হয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার। পেট্রোলিয়াম ছাড়া অন্যান্য পণ্য রফতানি হয়েছে প্রায় ৩০,৬৭২ কোটি টাকার। গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ বেশি।

    এফআইইওর মতে, উদীয়মান বাজারে সম্প্রসারণ এবং বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। কাঁচামালের (FIEO) পরিবর্তে ভ্যালু-অ্যাডেড পণ্যের দিকে বেশি করে মনোযোগ দিলে রফতানি আয় বৃদ্ধি পাবে এবং বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের ওঠানামা থেকে সৃষ্ট ঝুঁকি কমবে। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) বাস্তবায়ন করলে বিদেশি বাজারে প্রবেশ অনায়াস হবে এবং বাণিজ্য বাধা কমবে। উন্নত পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ, পরিবহণ (Export) খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা — এই সব উদ্যোগ ভারতের রফতানির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান উন্নত করবে (FIEO)।

  • Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    Shashi Tharoor: মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী থারুর, কী বলছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর কথায় মোদি সরকারের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। এর পরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে কোন্দল। শশীকে ‘বিজেপির সুপার মুখপাত্র’ বলে দেগে দিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল (Operation Sindoor)।

    বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রতিনিধি দল (Shashi Tharoor)

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে এবং অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে ভারত। তারই একটিতে রয়েছেন কংগ্রেসের শশী। বর্তমানে পানামা সিটিতে রয়েছেন শশী ও তাঁর প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় মোদি সরকারের গুণগান। তিনি বলেন, “চার দশক ধরে একের পর এক হামলা সয়েছি আমরা। শোক, যন্ত্রণা, আঘাত, ক্ষয়ক্ষতি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। কাঁহাতক আর আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দরবার করা যায়, কাঁহাতকই বা সাহায্য চাওয়া যায়!” ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “সব প্রমাণ ছিল আমাদের কাছে। এক জঙ্গিকে আমরা জীবিতও ধরে ফেলি। আজমল কাসভকে ধরতে গিয়ে আত্মবলি দেন এক পুলিশকর্মী। ওর পরিচয়, বাড়ি, ঠিকানা, পাকিস্তানের গ্রামের নাম পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছিল। পাকিস্তান থেকে হ্যান্ডলার প্রতি মিনিটে যে নির্দেশ দিচ্ছিল, তার রেকর্ডিং ছিল (Operation Sindoor) পশ্চিমি সংস্থাগুলির কাছেও।” তিনি বলেন, “কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হল? একজনকেও কি দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া গিয়েছে? পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত জোগানোর রাস্তাই বেছে নিয়েছে।”

    শশীর গলায় মোদি-স্তুতি

    শশী বলেন, “সম্প্রতি পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। জঙ্গিরা বুঝতে পেরেছে, তাদের মূল্য চোকাতে হবে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি হামলার পর প্রথমবার পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত, যা আগে কখনও করিনি আমরা। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে জঙ্গিদের আঘাত করি। আর এবার একেবারে পাকিস্তানের বুকে আঘাত হেনেছি। ন’জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির, জঙ্গিদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিয়েছি।” কংগ্রেসের এই সাংসদ বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। অপারেশন (Shashi Tharoor) সিঁদুর চালাতেই হত। ২৬ জন মহিলার কপালের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল, তাঁদের স্বামীদের ছিনিয়ে নিয়েছিল জঙ্গিরা। আমরা ওঁদের কান্না শুনেছি। আর তাই আমাদের মেয়েদের মাথার সিঁদুরের (Operation Sindoor) লাল রংয়ের সঙ্গে হত্যাকারী, হামলাকারীদের রক্তের লাল রং মিলিয়ে দেওয়ার সঙ্কল্প নিই (Shashi Tharoor)।”

  • Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    Unified Command: এবার থেকে একই কমান্ডারের নেতৃত্বে এক সঙ্গে কাজ করবে স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক দ্বন্দ্বের আবহে ভারতীয় সেনার কাজের ধরন বদল করে দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। এত দিন সীমান্তে সংঘাতের আবহে আলাদা ভাবেই কাজ করত ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী – স্থল, নৌ এবং বিমান। এবার থেকে (India Pakistan Tensions) তারা একই কমান্ডারের নেতৃত্বে (Unified Command) এক সঙ্গে কাজ করবে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ২৭ মে থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত ইন্টার সার্ভিসেস অর্গানাইজেশন বিল পাশ হয়েছিল সংসদের দুই কক্ষেই। পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করলে বিলটি পরিণত হয় আইনে। আইন কার্যকর হয় চলতি বছরের ১০ মে। এবার জারি হল বিজ্ঞপ্তি।

    জারি বিজ্ঞপ্তি (Unified Command)

    বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী যাতে যৌথভাবে দ্রুত কাজ করতে পারে, তাই এই নয়া নিয়ম। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, সীমান্তে তিন বাহিনী এক সঙ্গে কাজ করলেও, তারা যে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম মেনে চলে, তাতে কোনও বদল হবে না। জানা গিয়েছে, এতদিন সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিতে তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন হত অত্যন্ত ধীর গতিতে। নয়া নিয়মে তেমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ তিন বাহিনীই একই কমান্ডারের অধীনে কাজ করবে। এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, তা নেবেন নেতৃত্বে থাকা কমান্ডারই। যৌথ অপারেশনেও কোনও দ্বন্দ্ব বা বিভ্রান্তির জায়গা থাকবে না (Unified Command)।

    ডিফেন্স স্টাফের প্রধানের বক্তব্য

    এদিকে, ডিফেন্স স্টাফের প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান রবিবার অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর উত্তর ও পশ্চিম সমরাঙ্গণে যুদ্ধ প্রস্তুতির কৌশলগত পর্যবেক্ষণ করেন। অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই দুই কমান্ডের আলাদা আলাদা সফর করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সময়মতো দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের সামগ্রিক সমন্বয় ও দক্ষতার প্রশংসা করেন জেনারেল চৌহান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করেন জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি সকল স্তরের জওয়ানদের সাহস, দৃঢ়সংকল্প, নিখুঁততা ও শৃঙ্খলার প্রশংসা করেন (Unified Command)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    জেনারেল চৌহান জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিল্ড ফরমেশনগুলিকে “অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্বের” স্বীকৃতি দিয়েছেন। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ৭ মে সকালের দিকে ন’টি জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর নিখুঁতভাবে আঘাত হানা হয় ভারতের তরফে। পরবর্তী কালে পাকিস্তানি হামলার চেষ্টাগুলিকেও জবাব দেওয়া হয় কঠোরভাবে (India Pakistan Tensions)। ১০ মে তারিখে সামরিক অভিযান বন্ধ করার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো হয় বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উধমপুরে, প্রতিরক্ষা প্রধানকে উত্তরাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর সাফল্য সম্পর্কে অবহিত করা হয় – যেখানে জঙ্গি নেটওয়ার্ক, শত্রুর জঙ্গি-সমর্থিত সম্পদ ধ্বংস করা এবং অপারেশন সিঁদুরের সময় নিজেদের সামরিক কাঠামো ও অসামরিক জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানানো হয়।”

    এতদিন কী হত জানেন?

    প্রসঙ্গত, এতদিন সীমান্তে কোনও সংঘর্ষ হলে আলাদা আলাদাভাবে কাজ করত তিন বাহিনী। এতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগত। নয়া নিয়ম চালু হওয়ায় এখন একই কমান্ডারের নেতৃত্বে অপারেশন হলে, অপারেশনের গতি অনেকটাই বাড়বে। এতে অপারেশনের সময় তিন বাহিনীর দ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে। এড়ানো যাবে বিভ্রান্তিও (Unified Command)। জানা গিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহে সব চেয়ে সক্রিয় ছিল ভারতীয় সেনার পশ্চিম ও উত্তর কমান্ড। সূত্রের খবর, শুরুতে জম্মু-কাশ্মীরের পশ্চিম এবং উত্তর কমান্ডে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে এটি দেশের অন্যান্য সীমান্তেও কার্যকর করা হবে।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চালায় অপারেশন সিঁদুর। তাতে ওই এলাকায় থাকা বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর সংঘাতে জড়ায় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। ভারতের ওপর পাল্টা হামলার চেষ্টা করে শাহবাজ শরিফের দেশ। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, তারা পাক সেনার ওই হামলা প্রতিহত করেছে। পাল্টা জবাবও দিয়েছে। দিন তিনেকের ওই সংঘাতের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ। যদিও সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব ভারতকে আগে দেয় পাকিস্তানই (India Pakistan Tensions)। এখনও সংঘর্ষ বহাল রয়েছে। সেই আবহে ভারতীয় সেনার নয়া নিয়মকে রণকৌশল হিসেবেই দেখছেন সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Unified Command)।

  • Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    Operation Push Back: ‘অপারেশন পুশ-ব্যাকে’ ব্যাপক সাফল্য, ফেরানো হল ৭৪২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন পুশ-ব্যাকে (Operation Push Back) ব্যাপক সাফল্য মিলল শনিবার। এদিন রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৭২ জন অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারীকে নিজের দেশে ফেরত পাঠাল ভারত। এটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ভারতের করা অপারেশন পুশ-ব্যাকের অংশ। এই পুশ-ব্যাক অপারেশন করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত সিলেট, মেহেরপুর এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে। রবিবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে মোট ১৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাদের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে পড়া এই অনুপ্রবেশকারীরা হরিয়ানায় বসবাস করছিল।

    অপারেশন পুশ-ব্যাক (Operation Push Back)

    আটক করার পর এই ১৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশে। জানা গিয়েছে, মোট ১৫৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে বিএসএফ শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ৩২ জন এবং মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ১২১ জনকে। এরা সবাই বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে কাজ করছিল তারা। বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, “শনিবার কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের পর আমরা সীমান্তে নজরদারি বাড়াই। তবে বিএসএফ রাত ২টো থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সীমান্তের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে মোট ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে।”

    বিজিবির বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বিএসএফ তাদের সীমান্তের অংশে থাকা আলো বন্ধ করে দেয় এবং এই মানুষগুলিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। আমরা তাদের আটক করার পর তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করি। জানতে পারি, বাংলাদেশি। মানবিক বিবেচনায় আমরা তাদের আটক করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দিই।” বিজিবির তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই অবৈধ অভিবাসীরা ভারতের বিভিন্ন পাথর খনি এবং ইটভাটায় কাজ করছিল। এর আগেও বিএসএফ ২০২৫ সালের ১৪ মে ১৬ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল। বিজিবি জানিয়েছে, ভারত এখন পর্যন্ত একইভাবে বাংলাদেশের ১১টি জেলার সীমান্ত দিয়ে মোট ৬৬৪ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে, খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুমিল্লা, ফেনি এবং ঝিনাইদহ। অপারেশন পুশ-ব্যাকের আওতায় এখনও পর্যন্ত ফেরত পাঠানো হয়েছে মোট ৭৪২ জন অভিবাসীকে।

    প্রোটোকলে সমস্যা

    প্রসঙ্গত, দশকের (Operation Push Back) পর দশক ধরে ভারত প্রোটোকল অনুসরণ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করে আসছে। এতে ব্যয় হচ্ছিল প্রচুর সময়। ফলে পুশ-ব্যাক করতে সময় লাগছিল। কারণ বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি প্রায়ই তাদের দেশের নাগরিকদের স্বীকৃতি দিত না। ফলে ক্রমশই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফোকর দিয়ে এজেন্ট ও দালালদের সাহায্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। যদিও তাদের ফেরত পাঠাতে গেলেই দেখা দিত যত সমস্যা।

    ভারতে ২ কোটিরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি

    ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ২ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিকভাবে অপসারণ এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের ফলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন এক অঘোষিত পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার (Operation Push Back)। লোকমুখে এটাই হল অপারেশন পুশব্যাক। এই অপারেশনের মাধ্যমে দেশের পূর্ব সীমান্তে হাতেনাতে ধরা পড়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরও দেশছাড়া করা হচ্ছে। অপারেশন পুশ-ব্যাকের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলে চালু হয়েছে অপারেশন পুশ-ব্যাক।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাব না। আগে আমাদের সিদ্ধান্ত (Operation Push Back) ছিল, কাউকে গ্রেফতার করে তাকে ভারতীয় আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। আগেও আমরা প্রতি বছর ১,০০০ থেকে ১,৫০০ বিদেশিকে গ্রেফতার করতাম। তাদের জেলে পাঠানো হত এবং পরে আদালতে পেশ করা হত। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের দেশের ভেতরে আনা হবে না, বরং ঠেলে (push back) দেওয়া হবে। এই ‘পুশব্যাক’ একটি নতুন ধারা। প্রতি বছর প্রায় ৫,০০০ মানুষ ভারতে ঢোকে। এই পুশব্যাক পদ্ধতির কারণে এখন সেই সংখ্যা অনেকটাই কমবে।” জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladesh) বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ফলে এতটাই সাফল্য এসেছে যে এখন অনেক বাংলাদেশিই স্বেচ্ছায় নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছে (Operation Push Back)।

  • Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান,” ফ্রান্সে বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান (Pakistan) মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।” ফ্রান্সে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।

    বাংলাদেশকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান (Shamik Bhattacharya)

    বিশ্ব সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং অপারেশন সিঁদুরে ভারতের সাফল্যের কথা আন্তর্জাতিক মহলকে জানাতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধিদলকে বিদেশে পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। পদ্ম সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি ইউরোপে গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক সেই দলের সদস্য। ফ্রান্সে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মঙ্গলবার প্যারিসের ভারতীয় দূতাবাসে প্রবাসী ভারতীয়দের জমায়েতেও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে প্রতিনিধি দলটি। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন শমীক। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে, আমাদের (ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে)২ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের অনেক জায়গায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে ভারতে নাশকতা চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে তাদের লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করতে। সন্ত্রাসের জন্য, সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য।”

    এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শমীককে। সে সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, “মতভেদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ভারতের সব রাজনৈতিক শক্তি একত্রিত হয়ে এখানে এসেছি একটাই বার্তা দিতে। তা হল, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে আমরা এখানে আসিনি। তাই আমি কিছু প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছি।”

    শমীক বলেন, “পাকিস্তান এমন একটা দেশ, যারা কোনওদিনই শুধরাবে না। আমরা দাবি করছি, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে এক ঘরে করতে হবে।” তিনি বলেন, “কোন পরিস্থিতিতে ভারত অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল, তা বিশ্বকে জানানো আমাদের কর্তব্য। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে লালনপালন করেছে (Pakistan)। ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের লেলিয়ে দিয়েছে (Shamik Bhattacharya)।”

  • Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    Bangladesh: ক্ষমতার লোভে পদ ছাড়তে চাইছেন না ইউনূস! সরানোর উদ্যোগ শুরু বাংলাদেশের সেনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা ছুতোয় দেশে সাধারণ নির্বাচন না করিয়ে দিব্যি ক্ষমতায় বসে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)! সূত্রের খবর, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সম্ভাব্য সব বিকল্প পথের সন্ধান করছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ইউনূসের অনুগামীরা জানিয়েছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে। তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নন সেনাপ্রধান। তিনি চান, নির্বাচন সম্পন্ন হোক চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। সূত্রের খবর, সেনা প্রধান বিভিন্ন বিকল্পের সন্ধান করছেন, যাতে সংবিধানের ফোকর গলে চ্যালেঞ্জ করা যায় ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

    বাংলাদেশের সংবিধান (Bangladesh)

    বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও সরকার ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধান পরিকল্পনা করেছেন শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দলগুলিকে একত্রিত করে নির্বাচন হোক। দেশের এই দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিক বাংলাদেশবাসী। ইউনূসের কাছ থেকে ক্ষমতার রশি হস্তান্তর নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি একটি ‘সফট টেকওভার’ করতে পারেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মনে করে নির্বাচনে দেরি করার অর্থ সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন। এজন্য রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবউদ্দিনকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল!

    এই জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য চাপ সৃষ্টিও করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণের অধিকার দেয় তখনই, যখন দেশে সাংবিধানিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে এই ধারা প্রয়োগ করে ইউনূসের কর্তৃত্ব উপেক্ষা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেনাপ্রধান এখন সামরিক ঐক্য রক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের সমর্থন আদায় করে তার প্রভাব দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইউনূসের বিরুদ্ধে (Muhammad Yunus) জনমত গড়ে তুলছেন এবং শীঘ্রই নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন (Bangladesh)।

LinkedIn
Share