মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। এমন সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর (Durga Puja) অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। যেসব কমিটি পুজো করছে, নমাজ আদায়ের সময় তাদের নীরবতা বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
চলছে প্রতিমা ভাঙচুর (Bangladesh)
এদিকে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা ভাঙচুর। কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে।
জিজিয়া কর
বাংলাদেশ সরকারের এক শীর্ষ সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর আগে ৯ অক্টোবর থেকে পুজো কমিটিগুলির প্রত্যেক সদস্যকে ৫ লাখ টাকা করে জিজিয়া কর (অ-মুসলমানদের কাছ থেকে মুসলমানরা ধর্ম পালনের জন্য যে কর আদায় করে) দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জিজিয়া করের ভয়ে অনেক উদ্যোক্তাই পুজো বন্ধ করে দিয়েছেন (Bangladesh)। শুক্রবার ভোরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের
দুর্গাপুজোর আগে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসায়, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা (Bangladeshi Hindus) যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় যদি কোনও (অনভিপ্রেত) ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা ভালো কথা নয়। দুর্গাপুজো সবসময়েই শুভ বার্তা বয়ে আনে এবং এই উৎসব উপলক্ষে আমি সকলকে আমার শুভ কামনা জানাচ্ছি।’’ রণধীর আরও বলেন, রণধীর বলেন, ‘‘ভারত সরকার আশা করছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমনকী, এই বিষয়টি সর্বোচ্চ স্তরেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রণধীর।’’
#WATCH | MEA Spokesperson Randhir Jaiswal says, "Many times, even at the highest level we have said that minorities should be protected there (in Bangladesh). This is our expectation that the government there will provide security to the minorities. Any incident happening during… pic.twitter.com/4AsT3lQq13
— ANI (@ANI) October 4, 2024
ইউনূস প্রশাসনের আশ্বাসই সার
বাংলাদেশের আইজিপি মহম্মদ ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা। তাঁদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে (Bangladesh)। প্রয়োজনে সে দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা স্থানীয় থানায় যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। তার পরেও অবশ্য দিব্যি চলছে পুজো উদ্যোক্তাদের হুমকি দেওয়ার কাজ, চলছে প্রতিমা (Durga Puja) ভাঙচুরের কাজ। আদায় করা হচ্ছে জিজিয়া করও (Bangladesh)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours