Suvendu Adhikari: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

Suvendu_Adhikari

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর খুনের ঘটনায়  আগামী সাতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে মূল অভিযুক্তকে, নাহলে এই মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হস্তান্তরের জন্য আবেদন  জানাব”, শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন খাতড়ার দেদুয়া গ্রামে প্রয়াত দলীয় কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। দেন পাশে থাকার আশ্বাসও।

পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের (Suvendu Adhikari)

মঙ্গলবার খাতড়ার (Bankura) দেদুয়া গ্রামে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর। মৃতের ছেলে সনাতন মাহাত থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিজেপি কর্মী খুনে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে সকল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাদল মাহাত, হারু ওরফে হারাধন মাহাত ও তারাপদ পালকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

বুথে তৃণমূল হেরেছে, সেই আক্রোশে বিজেপি কর্মী খুন!

এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে খাতড়া পাম্প মোড় থেকে দাসের মোড় পর্যন্ত দলের কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। লাগাতার তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে ঘটনাটিকে জমি নিয়ে বিবাদে গন্ডগোল বলে দাবি করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তথা স্থানীয় তৃনমূল নেতা উত্তম মাহাতকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সাতদিনের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে। এদিন মৃতের বাড়িতে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার জন্য বাঁকুড়ার নব নির্বাচিত সাংসদ তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীকেও একহাত নেন শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বন্ধুবিহারী  মাহাতর অপরাধ, ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিজেপি করতেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বুথে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। সেই আক্রোশ থেকেই এই খুন। নিহত কর্মীর পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁর বাড়ির বাইরে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলেছি। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর পাশাপাশি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যে-কোনও সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।” 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share