মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার-১ ব্লক অফিসে কোনও ব্যবস্থা না থাকার কারণে বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী দলের বহু প্রার্থী মনোনয়ন জমা না দিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। বীরভূমের রামপুরহাট-২ ব্লকেও একই ঘটনা ঘটে। সেখানেও ব্লক অফিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বিজেপির শতাধিক প্রার্থী। শনিবারও মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় তৃণমূলীদের বাধায় মনোনয়ন জমা দিতে পারল না বিজেপি। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের কী বক্তব্য?
শনিবার কাটোয়া-১ ব্লকে এদিন বিজেপি (BJP) কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে যান। বিডিও অফিসের মুখে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করে দাঁড়িয়ে থাকে। বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য, এদিন ২৩ জন মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। মনোনয়ন করা যাবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসন বিডিও অফিসের ভিতরে থাকলেও কেউ আমাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। ফলে, আমরা এদিন মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তৃণমূলীদের বাধায় ফিরে আসতে বাধ্য হই। পরে, রাস্তা অবরোধ করে আমরা প্রতিবাদ জানাই।
কী বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী?
বিজেপি (BJP) নেত্রী সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৮ সালে যে কায়দায় তৃণমূল ভোট করেছিল, এবারও সেই একই কায়দায় ওরা ভোট করতে চাইছে। আমাদের প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি তৃণমূল। কোনও হিন্দু থাকবে না। এটার অর্থ কী? সংখ্যালঘুরা শুধু প্রার্থী দেবে। আমরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলবে।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, বিজেপি (BJP) কর্মীদের বাধা দেওয়ার ঘটনা কোথাও ঘটেনি। কাউকে বাধা দেওয়া হলে সেটা জেলাশাসক, মহকুমা শাসকের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারে। কিন্তু, সেটা করা হয়নি। আসলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভযোগ করে তারা প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours