মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদ দখলের লড়াইয়ে বিরোধীদেরকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সারাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও আগেভাগে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। যাদের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে বিস্তারক। শনিবার এই নতুন বিস্তারকদের প্রশিক্ষণ পর্ব সারল গেরুয়া শিবির। তারাপীঠের এক হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রশিক্ষণ পর্ব। নব নিযুক্ত বিস্তারকদের কাজ কী হবে? উত্তর পাওয়া গেল বিজেপির (BJP) বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কাছে। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘‘গত ৯ বছর ধরে মোদিজীর নেতৃত্বে নতুন ভারত তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দরবারে কদর বেড়েছে দেশের। একাধিক জনমুখী কর্মসূচির বাস্তবায়িত হয়েছে, যার সুবিধা পাচ্ছেন দেশের সমস্ত ধরনের মানুষ। নতুন বিস্তারকরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য তুলে ধরবে মানুষের কাছে। এছাড়াও সাংগঠনিক ভাবে তাঁরা বুথ স্তরের কাজও দেখাশোনা করবেন। ’’
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমানু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?
কারা হাজির ছিলেন প্রশিক্ষণ পর্বে
প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে গতকালই রাজ্যে পা রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। তাঁর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি বিজেপির ধ্রুব সাহা সমেত অন্যান্যরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিনিধিদের সামনে আগামীদিনের কর্মসূচি তুলে ধরেন বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রশিক্ষণ শিবিরের খুঁটিনাটি
এদিন সকাল ন'টায় দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের শুরু হয়। তার আগে অবশ্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে নিয়ে তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দিতে যান বিজেপির রাজ্য নেতারা। রবিবার দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন পর্যন্ত বিধানসভার বিস্তারকদের এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। আজ সন্ধ্যায় দিল্লি রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বিএল সন্তোষের। অন্যদিকে রবিবার তারাপীঠে পা রাখবেন সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডে, তাঁরা দুজনেই রাজ্য বিজেপির (BJP) দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। বিজেপি সূত্রে খবর, বুথ স্তরের সংগঠনের কাজে সুনীল বনসলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় দল, দীর্ঘদিন তিনি উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) দায়িত্বে থেকেছেন। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বীরভূমের সিউড়িতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। এবার সেই লক্ষ্যেই এগোতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours