Mohan Bhagwat: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

mohan_bhagwat_vijayadashmi_celebration_1664944682772_1664944713505_1664944713505

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা। রবিবার এ কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। কার্নালের একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভাগবত। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে সরসংঘ চালক বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আগে ভারতীয় জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত ছিলেন। সেই সময় কেউ বেকার থাকতেন না। সেই সমাজে শ্রেণি এবং রংয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য ছিল না।

মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন…

ভাগবত বলেন, সেই সময় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যাতে মানুষ আত্ম নির্ভরশীল হয়ে ওঠেন। কিন্তু ব্রিটিশরা আমাদের দেশে ইংল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল। এবং এভাবেই তারা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা কেবল মাত্র চাকরির জন্য ছিল না, ছিল জ্ঞানের মাধ্যমও। সেই সময় শিক্ষা ছিল সস্তা। প্রত্যেকের নাগালের মধ্যে ছিল। তাই সমাজই বহন করত শিক্ষার খরচ। স্কলার, শিল্পী এবং কারিগর, যাঁরা শিক্ষিত হতেন, তাঁদের পরিচিত ছিল বিশ্বজনীন। শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, এদিন তাও বুঝিয়ে দেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন।

আরও পড়ুুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

এদিন আত্ম মনোহর মুনি আশ্রম কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভাগবত। এই আশ্রম কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হাসপাতাল তৈরি করছেন। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের দেশের সব চেয়ে বড় প্রয়োজন হল সবার জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কারণ এই দুটি ক্রমেই খরচ সাপেক্ষ হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, সস্তায় যাতে মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ পান, তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরসংঘ চালক বলেন, আমরা তাঁরা নই, যাঁরা কেবল নিজের জন্য বাঁচেন। আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যই হল সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়। তিনি বলেন, সমাজের বাঁধনটাকে শক্ত করতে হবে, যাতে মানুষ দেশের ভাল জিনিসগুলি দেখতে পায়। মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, আমরা যদি সুখী হতে চাই, তাহলে আগে সমাজকে সুখী করতে হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share